আজান দেওয়ার সঠিক নিয়ম এবং আজানের গুরুত্ব
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
আবু উমাইর ইবনু আনাস (রাঃ) থেকে তার এক আনসারী চাচার সূত্রে বর্ণিতঃ তিনি। বলেন,
নবী সাঃ সালাতের জন্য লােকদেরকে কীভাবে একত্রিত করা যায় সে বিষয়ে চিন্তিত
ছিলেন। কেউ পরামর্শ দিলেন, সালাতের সময় হলে একটা পতাকা উড়ানাে হােক। তা দেখে
একে অন্যকে সংবাদ জানিয়ে দেবে। কিন্তু রসূল সাঃ এর নিকট এটা পছন্দ হলাে না। কেউ
কেউ প্রস্তাব করল, ইহুদীদের ন্যায় শিঙ্গায় ধ্বনি দেওয়া হােক। রসূল সাঃ এটাও
পছন্দ করলেন না । কারণ তা ছিল ইহুদীদের রীতি। কেউ কেউ ঘণ্টাধ্বনি ব্যবহারের
পরামর্শ দিলে তিনি বললেন, এটা নাসারাদের রীতি। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) রসূল
সাঃ এর চিন্তার কথা মাথায় নিয়ে প্রস্থান করলেন। অতঃপর স্বপ্নে তাকে আযান
শিখিয়ে দেওয়া হলাে। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তী দিন ভােরে তিনি রসূল সাঃ এর নিকট
গিয়ে বিষয়টি অবহিত করে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কিছুটা তন্দ্রাচ্ছন্ন
ছিলাম। এমন সময় এক আগন্তুক এসে আমাকে আযান শিক্ষা দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন,
একইভাবে ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-ও বিশ দিন আগে স্বপ্নযােগে আযান দেখেছিলেন।
কিন্তু তিনি তা গােপন রেখেছিলেন। অতঃপর তিনি তার স্বপ্নের কথা রসূল (সাঃ) -কে
জানালেন। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) এ বিষয়টি আমার আগেই বলে দিয়েছিলেন।
এজন্য আমি লজ্জিত। রসূল (সাঃ) বললেন, বেলাল! উঠো এবং আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ
(রাঃ) তােমাকে যেরূপ বলতে নির্দেশ দেয়, তুমি তাই করাে। অতঃপর বেলাল (রাঃ) আযান
দিলেন।
নবী সাঃ সালাতের জন্য লােকদেরকে কীভাবে একত্রিত করা যায় সে বিষয়ে চিন্তিত
ছিলেন। কেউ পরামর্শ দিলেন, সালাতের সময় হলে একটা পতাকা উড়ানাে হােক। তা দেখে
একে অন্যকে সংবাদ জানিয়ে দেবে। কিন্তু রসূল সাঃ এর নিকট এটা পছন্দ হলাে না। কেউ
কেউ প্রস্তাব করল, ইহুদীদের ন্যায় শিঙ্গায় ধ্বনি দেওয়া হােক। রসূল সাঃ এটাও
পছন্দ করলেন না । কারণ তা ছিল ইহুদীদের রীতি। কেউ কেউ ঘণ্টাধ্বনি ব্যবহারের
পরামর্শ দিলে তিনি বললেন, এটা নাসারাদের রীতি। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) রসূল
সাঃ এর চিন্তার কথা মাথায় নিয়ে প্রস্থান করলেন। অতঃপর স্বপ্নে তাকে আযান
শিখিয়ে দেওয়া হলাে। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তী দিন ভােরে তিনি রসূল সাঃ এর নিকট
গিয়ে বিষয়টি অবহিত করে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কিছুটা তন্দ্রাচ্ছন্ন
ছিলাম। এমন সময় এক আগন্তুক এসে আমাকে আযান শিক্ষা দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন,
একইভাবে ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-ও বিশ দিন আগে স্বপ্নযােগে আযান দেখেছিলেন।
কিন্তু তিনি তা গােপন রেখেছিলেন। অতঃপর তিনি তার স্বপ্নের কথা রসূল (সাঃ) -কে
জানালেন। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) এ বিষয়টি আমার আগেই বলে দিয়েছিলেন।
এজন্য আমি লজ্জিত। রসূল (সাঃ) বললেন, বেলাল! উঠো এবং আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ
(রাঃ) তােমাকে যেরূপ বলতে নির্দেশ দেয়, তুমি তাই করাে। অতঃপর বেলাল (রাঃ) আযান
দিলেন।
বি.দ্রঃ যদিও আযানের সূচনা ও শব্দসমূহ স্বপ্নযােগে লাভ হয়েছে তথাপি এটি
আমল হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে রসূল (সাঃ) -এর সম্মতি ও অনুমতিক্রমে। আল্লাহর অকাট্য
বাণী ও রসূল (সাঃ) -এর সন্দেহাতীত বর্ণনা ও খােলাফায়ে রাশেদিনের সুন্নত ছাড়া আর
কিছু দিয়েই আমল সাব্যস্ত হয় না। এখন আর নতুন করে কোনাে আমল শরিয়তসিদ্ধ
বানানাের সুযােগ নেই।
আমল হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে রসূল (সাঃ) -এর সম্মতি ও অনুমতিক্রমে। আল্লাহর অকাট্য
বাণী ও রসূল (সাঃ) -এর সন্দেহাতীত বর্ণনা ও খােলাফায়ে রাশেদিনের সুন্নত ছাড়া আর
কিছু দিয়েই আমল সাব্যস্ত হয় না। এখন আর নতুন করে কোনাে আমল শরিয়তসিদ্ধ
বানানাের সুযােগ নেই।
আযানের ফজিলত
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, লােকেরা যদি আযান
দেওয়া ও (নামাযে) প্রথম কাতারে দাঁড়ানাের ফজিলত জানতাে এবং এই সঙ্গে একথাও
জানতাে যে, লটারীর সাহায্য ছাড়া তা লাভ করা সম্ভব নয়, তাহলে অবশ্যই তারা লটারীর
সাহায্য নিত। (বুখারী-৬১৫)
দেওয়া ও (নামাযে) প্রথম কাতারে দাঁড়ানাের ফজিলত জানতাে এবং এই সঙ্গে একথাও
জানতাে যে, লটারীর সাহায্য ছাড়া তা লাভ করা সম্ভব নয়, তাহলে অবশ্যই তারা লটারীর
সাহায্য নিত। (বুখারী-৬১৫)
মুয়াবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি
কিয়ামতের দিন মুয়াযিনের ঘাড় সর্বাধিক লম্বা হবে। (মুসলিম-৭৩৮)
কিয়ামতের দিন মুয়াযিনের ঘাড় সর্বাধিক লম্বা হবে। (মুসলিম-৭৩৮)
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি সওয়াবের আশায়
একাধারে সাত বছর আযান দিবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লিখে দেওয়া
হবে। (তিরমিযী-২০৬)
একাধারে সাত বছর আযান দিবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লিখে দেওয়া
হবে। (তিরমিযী-২০৬)
আযানের কথা বা বাক্যসমূহ
- থেমে থেমে ৪ বার । আল্লাহু আকবার
অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
- থেমে থেমে ২ বার । আশহাদু-আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনাে মাবুদ নেই।
- থেমে থেমে ২ বার । আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রসূল ।
- থেমে থেমে ডানে তাকিয়ে ২ বার । হাইয়া আলাস সালাহ
অর্থঃ সালাতের জন্য এসো ।
- থেমে থেমে বামে তাকিয়ে ২ বার । হাইয়া আলাল ফালাহ
অর্থঃ সাফল্যের জন্য এসো ।
- শুধু ফজরের আযানে ২ বার । আস সলাতু খাইরুম মিনান নাউম
অর্থঃ ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম ।
- থেমে থেমে ২ বার । আল্লাহু আকবার
অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় ।
- ১বার । লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই ।
আজানের জবাব ও দোয়া
যারা আযান শুনে তাদের জন্য আযানের জবাব দেওয়া জরুরি। মুয়াযিন যেভাবে বলবে
শ্রবণকারীও তার মতো বলবে । তবে শুধু (হাইয়্যা আলাস সালাহ) ও (হাইয়্যা আলাল
ফালাহ) এর জবাবে ( লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইলাবিলাহ ) বলবে।
শ্রবণকারীও তার মতো বলবে । তবে শুধু (হাইয়্যা আলাস সালাহ) ও (হাইয়্যা আলাল
ফালাহ) এর জবাবে ( লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইলাবিলাহ ) বলবে।
তেমনিভাবে মুয়ায্যিন যখন ফজরের আযানে ( আস সালাত খাইরুম মিনান নাউম ) বলবে (
ছাদাকতা ওয়া বারারতা ) বলবে। (বুখারী-৬১১)
ছাদাকতা ওয়া বারারতা ) বলবে। (বুখারী-৬১১)
আযান শেষে দরূদ শরীফ পড়া
এরপর এই দোয়া পড়া
অর্থঃ “হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব! মুহাম্মদ (সাঃ)
কে ওসিলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফজিলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত
মর্যাদা দান করুন। আর তাকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌছে দিন, যার
প্রতিশ্রুতি আপনি তাকে দিয়েছেন।” (বুখারী-৬১৪)
কে ওসিলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফজিলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত
মর্যাদা দান করুন। আর তাকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌছে দিন, যার
প্রতিশ্রুতি আপনি তাকে দিয়েছেন।” (বুখারী-৬১৪)
ইকামতের বাক্যগুলো কি কি
- ১ শ্বাসে ৪ বার । আল্লাহু আকবার
অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
- ১ শ্বাসে ২ বার । আশহাদু-আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনাে মাবুদ নেই।
- ১ শ্বাসে ২ বার । আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ
অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রসূল ।
- ১ শ্বাসে ২ বার । হাইয়া আলাস সালাহ
অর্থঃ সালাতের জন্য এসো ।
- ১ শ্বাসে ২ বার । হাইয়া আলাল ফালাহ
অর্থঃ সাফল্যের জন্য এসো ।
- ১ শ্বাসে ২ বার । আস সলাতু খাইরুম মিনান নাউম
অর্থঃ সালাত আরম্ভ হল ।
- ১বার । আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় ।আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই ।
ইকামত দেওয়ার নিয়ম
-
পবিত্রতার সাথে উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে সালাতের আযান দেওয়া উত্তম।
(তিরমিযী-২০০) -
যথাসম্ভব উচ্চ স্বরে আযান-ইক্বামত দেওয়া দরকার। তবে একা একা নামাজ আদায়ের
জন্য স্বাভাবিকভাবে আযান ও ইকামত দিলেও চলবে। -
আযানের সময় শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা উভয় কানের ছিদ্র বন্ধ করে রাখা মুস্তাহাব
(তিরমিযী-১৯৭) -
মাদ্দ ও গুন্নাহ আদায়পূর্বক আযানের শব্দগুলাে লম্বা করে থেমে থেমে বলা
সুন্নত যাতে প্রত্যেক বাক্য উচ্চারণের পর শ্রোতারা জবাব দিতে পারে। তবে
ইকামতের নিয়ম এর ব্যতিক্রম। (তিরমিযী-১৯৫)। -
হাইয়্যা আলাস সালাহ্’ বলার সময় ডান দিকে ও হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময়
যথাক্রমে বাম দিকে মুখ ফিরানাে সুন্নত। (বুখারী-৬৩৪) -
আযান ও ইক্বামতের সময় কেবলার দিকে ফিরে দাঁড়ানাে এবং দুই পায়ের মাঝে চার
আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁকা থাকা সুন্নত। (আবু দাউদ-৫০৭) -
আযান বা ইক্বামত দেওয়ার সময় কথা বলা নিষেধ। (মুসান্নাফে আবদুর
রাজ্জাক-১৮৪৯)
tag…
আজানের জবাব দেওয়ার ফজিলত, আজানের উত্তর দেওয়ার ফজিলত, আজানের উত্তর ও দোয়া,
আজানের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব, আজানের উত্তর দেওয়ার সঠিক নিয়ম, আজানের জবাব
দেওয়া কি সুন্নত, আজানের জবাব আরবি, আজানের জবাব না দিলে কি গুনাহ হবে, আজানের
জবাব দেওয়ার নিয়ম, আজানের উত্তর ও দোয়া, আজানের গুরুত্ব ও ফজিলত, আজানের জবাব
আরবি, আজানের জবাব দেওয়া কি সুন্নত, আজানের জবাব না দিলে কি গুনাহ হবে, আজানের
অর্থ, ফজরের আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম, আজানের ফজিলত, মুয়াজ্জিনের গুরুত্ব,
আজানের সূচনা, আযানের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব, ইকামতের ফজিলত, মুয়াজ্জিনের
ফজিলত, ইকামত কে দিবে, নামাজের ইকামত দেওয়ার নিয়ম,
আজানের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব, আজানের উত্তর দেওয়ার সঠিক নিয়ম, আজানের জবাব
দেওয়া কি সুন্নত, আজানের জবাব আরবি, আজানের জবাব না দিলে কি গুনাহ হবে, আজানের
জবাব দেওয়ার নিয়ম, আজানের উত্তর ও দোয়া, আজানের গুরুত্ব ও ফজিলত, আজানের জবাব
আরবি, আজানের জবাব দেওয়া কি সুন্নত, আজানের জবাব না দিলে কি গুনাহ হবে, আজানের
অর্থ, ফজরের আযানের জবাব দেওয়ার নিয়ম, আজানের ফজিলত, মুয়াজ্জিনের গুরুত্ব,
আজানের সূচনা, আযানের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব, ইকামতের ফজিলত, মুয়াজ্জিনের
ফজিলত, ইকামত কে দিবে, নামাজের ইকামত দেওয়ার নিয়ম,