রোজা সম্পর্কে বিস্তারিতঃ কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়
কি কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় |
সিয়াম বা রােজা
রােজার পরিচয় ও হুকুম
সিয়াম শব্দটি আরবী। এর আভিধানিক অর্থঃ বিরত রাখা, ফিরিয়ে রাখা, উপবাশ থাকা,
ইত্যাদি।
ইসলামি পরিভাষায় রােযা হলাে- সাহরির শেষ সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল
পানাহার, যৌনক্রিয়া ও রােযার পরিপন্থী যাবতীয় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা।
ইত্যাদি।
ইসলামি পরিভাষায় রােযা হলাে- সাহরির শেষ সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল
পানাহার, যৌনক্রিয়া ও রােযার পরিপন্থী যাবতীয় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা।
রোজা রাখার হুকুম
শরীয়াতে রােযাদারের জন্য অবৈধ বস্তু হতে নিবৃত থাকা। ইসলামি চরিত্র ও ইসলামিক
সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণে রােযা পালনের যে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, বর্তমানে মুসলিম
সমাজ তা হতে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে তাদের আচরণই সে কথা প্রমাণ করছে।
সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণে রােযা পালনের যে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, বর্তমানে মুসলিম
সমাজ তা হতে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে তাদের আচরণই সে কথা প্রমাণ করছে।
সমস্ত উম্মত এ কথার উপর ঐক্যমত পােষণ করেন যে, রমযান মাসের রােযা ফরয়। এস
ফরযিয়্যাত আল্লাহর কিতাব, নবী কারীম (সাঃ) -এর সুন্নত ও মুসলিমদের ইজমা দ্বারা
প্রমাণিত। যদি কোনাে ব্যক্তি শরয়ী ওজর ছাড়া রােযা রাখা হতে বিরত থাকে, তাহলে সে
কবিরা গুনাহে লিপ্ত হলাে।
ফরযিয়্যাত আল্লাহর কিতাব, নবী কারীম (সাঃ) -এর সুন্নত ও মুসলিমদের ইজমা দ্বারা
প্রমাণিত। যদি কোনাে ব্যক্তি শরয়ী ওজর ছাড়া রােযা রাখা হতে বিরত থাকে, তাহলে সে
কবিরা গুনাহে লিপ্ত হলাে।
রোজার গুরুত্ব ও ফযিলত
এ মাসে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক রজনিতে অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি
দান। করেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-
দান। করেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-
وَللّٰهِ عُتَقَا ءُ مِنَ النَّا رِوَذٰلِكَ كُلُّ لَيُلَةٍ
এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে বহু মানুষকে মুক্তি দিয়ে
থাকেন।
থাকেন।
এ মাসে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের দরজাগুলাে খুলে দেন এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ
বন্ধ করে দেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন-
বন্ধ করে দেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন-
اِذَا جَا ءَ رَ مَضَا نُ فُتِحَتُ اَبُوَ ابُ الُجَنَّةِ وَ غُلِّقَتُ
اَبُوَابُ ابُ النَّا رِوَصُفِدَبِ الشَّيَا طِيُنُ .
اَبُوَابُ ابُ النَّا رِوَصُفِدَبِ الشَّيَا طِيُنُ .
যখন রমযান মাসের আগমন ঘটে, তখন জান্নাতের দরজাগুলাে খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের
দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে আবদ্ধ করা হয়।
দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে আবদ্ধ করা হয়।
রােজার উপকারিতা ও ফযিলত
- তাকওয়া অর্জন।
-
শয়তানের কর্তৃত্ব দুর্বল হয়। কারণ যখনই মানুষ কম খায়, তখন তার প্রবৃত্তির
চাহিদা দুর্বল হয়ে যায়। ফলে সে গুনাহের কাজ হতে বিরত থাকে। - গুনাহ-পাপাচার থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সংরক্ষণ করে।
- ধৈর্যের অনুশীলনঃ কারণ রমযান মাস ধৈর্যের মাস।।
- রােযা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- রােযা জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য ঢালস্বরূপ।
-
রােযা গরিব-দুঃখীদের দুঃখ-দুর্দশা অনুধাবন করতে এবং তা লাঘবে এগিয়ে আসতে
ধনীদের উৎসাহ জোগায়।
ফযিলতঃ আল্লাহ অন্যান্য আমলের তুলনায় রােযার আমলকে বিশেষ শ্রেষ্ঠত্ব দান
করেছেন এবং আল্লাহ স্বয়ং রােযার প্রতিদান দেবেন বলে ঘােষণা করেছেন।
করেছেন এবং আল্লাহ স্বয়ং রােযার প্রতিদান দেবেন বলে ঘােষণা করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা হাদিসে কুদসিতে বলেন-
মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য হয়ে থাকে, কিন্তু সিয়াম শুধু আমার জন্য,
আমিই তার প্রতিদান দেব।
আমিই তার প্রতিদান দেব।
রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি
রোজা ভঙ্গের কারণ অনেক গুলো রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১৪টি কারণ নিচে
লিখে দেওয়া হলোঃ-
লিখে দেওয়া হলোঃ-
- ভূলবশতঃ পানাহার করে রােযা নষ্ট হয়েছে মনে করে পুনরায় পানাহার করলে।
- রােযা অবস্থায় মুখ ভরে বমি হলে বা অল্প বমি মুখে আসার পর তা গিলে ফেললে।
-
নাকের সাহায্যে কোনাে নস্য টেনে নিলে। কানের ভেতরে কোনাে ওষুধ ঢেলে দিলে ও
যৌনাঙ্গের ভেতরে কোনাে তরল ওষুধ প্রবেশ করালে। - অচেতন অবস্থায় পানাহার করলে।
- ইচ্ছাকৃতভাবে ওষুধ সেবন করলে।
- কেউ বলপূর্বক কিছু খাওয়ায় দিলে।
- অনিচ্ছায় (যেমন ঘুমন্ত অবস্থায়) স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে।
- কুলি করার সময় গলার ভেতরে পানি চলে গেলে।
- দাঁত থেকে বুট বা ছােলা তদপেক্ষা বড় কোনাে জিনিস বের করে গিলে ফেললে।
- কামােত্তেজিত হয়ে স্ত্রীকে চুম্বন করলে বা কোলে তুলে নেয়ার পর মণি বের হলে।
- সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে বেলা থাকা অবস্থায় ইফতার করলে।
- রাত আছে মনে করে প্রভাতে সাহরী খেলে।
- স্পর্শ, মর্দন এবং চুম্বনে যদি অনিচ্ছা সত্ত্বেও মনি নির্গত হয়ে যায়।
- গুহ্যদ্বারে পিচকারী নিলে।।
যেসব কারণে রােযা ভঙ্গ হলে কাযা ও কাফফারা উভয়টি দিতে হয়
ওপরে বর্ণিত কারণগুলাের জন্য যদি কারাে রােযা ভঙ্গ হয়, তবে শুধু উক্ত রােযার
কাযা আদায় করলেই চলবে। আর নিম্নোক্ত কারণে রােযা ভঙ্গ হলে কাযা ও কাফফারা উভয়
আদায় করতে হবে। যেমনঃ-
কাযা আদায় করলেই চলবে। আর নিম্নোক্ত কারণে রােযা ভঙ্গ হলে কাযা ও কাফফারা উভয়
আদায় করতে হবে। যেমনঃ-
- ইচ্ছে করে রােযা অবস্থায় পানাহার করলে।
- বিনা ওযরে রােযা না রাখলে বা ইচ্ছে করেই রােযা পরিত্যাগ করলে।
- রােযা রাখা অবস্থায় সহবাস করলে।
- ইচ্ছে করে ঔষধ সেবন করলে।
- রােযা রাখা অবস্থায় যেকোনাে উপায়ে মনি নির্গত করালে।
উলেখ্য যে, রােযা রাখা অবস্থায় যদি কেউ এমন ইনঞ্জেকশন গ্রহন করে যা দেহে খাবারের
কাজ করে না, তবে তার রােযা ভঙ্গ হবে না। তাছাড়া ক্ষতস্থানে মলম জাতীয় দ্রব্য
যেমনঃ নিক্স, মিল্লাত বাম ইত্যাদি লাগালেও রােযা নষ্ট হবে না।
কাজ করে না, তবে তার রােযা ভঙ্গ হবে না। তাছাড়া ক্ষতস্থানে মলম জাতীয় দ্রব্য
যেমনঃ নিক্স, মিল্লাত বাম ইত্যাদি লাগালেও রােযা নষ্ট হবে না।
রোজার কাফফারা কয়টি ও কি কি
কাযা মানে হলাে একটি রােযার পরিবর্তে একটি রােযা রাখা। রােযার কাযা ও কাফফারা
উভয়ই আদায় করা যাদের উপর ওয়াজিব হয়ে যায়, তারা একটি রােযার পরিবর্তে একটি
রােযা রাখবে আর কাফফারা স্বরূপ-
উভয়ই আদায় করা যাদের উপর ওয়াজিব হয়ে যায়, তারা একটি রােযার পরিবর্তে একটি
রােযা রাখবে আর কাফফারা স্বরূপ-
-
দুই মাস একাধারে রােযা রাখবে। কোনক্রমে যদি এ ৬০ দিনের মধ্যে একটি রােযাও
ছুটে যায়, তবে আবার প্রথম থেকে ৬০ দিন পূর্ণ করতে হবে। পূর্বের দিনগুলাে
রােযা কোন কাজে আসবে না। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন কাফফারা আদায়
করার সময় বছরের হারামের পাঁচ দিনে না পড়ে। আর স্ত্রীলােকের ক্ষেত্রে যদি
কাফফারা আদায় করা অবস্থায় হায়েয উপস্থিত হয়, তবে হায়েযের সময়সীমার
মধ্যে রােযা না রেখে পবিত্র হওয়া মাত্রই রােযা রাখা আরম্ভ করবে। -
রােযা রাখতে সক্ষম না হলে ৬০ জন মিসকীনকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি সহকারে এক বেলা
আহার করাবে। - খাবার খাওয়াতে সক্ষম না হলে একটি সুস্থ-সবল গােলামকে মুক্ত করে দেবে।
কি কি কারণে রোজা ভাঙ্গা যায়
দুটি পর্যায়ে কোনাে ব্যক্তি রােযা ভঙ্গ করতে পারে। যথাঃ
- সাময়িকভাবে
- স্থায়ীভাবে।
সাময়িকভাবে রোজা ভঙ্গ
নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ সাময়িকভাবে রােযা ভঙ্গ করতে পারেন। যেমনঃ
- এমন রােগাক্রান্ত ব্যক্তিঃ যে রােযা রাখলে রােগ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।
- গর্ভবতী নারীঃ যে রােযা রাখলে সন্তানের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- স্ত্রীলােকের হায়েয-নিফাসের সময়।
- এমন বৃদ্ধ যে রােযা রাখলে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
- মুসাফির ব্যক্তি সফরের সময়।
স্থায়ীভাবে ভেঙ্গে ফেলা
কোন ব্যক্তি যদি উন্মাদ বা পাগল হয়ে যায়, তবে সে সর্বদা রােযা ভঙ্গ করতে পারবে।
তার উপর কোনাে ফিদিয়া বা অন্য কিছু ওয়াজিব হবে না। কারণ সে শরীয়তের বিধানভুক্ত
থাকে না।
তার উপর কোনাে ফিদিয়া বা অন্য কিছু ওয়াজিব হবে না। কারণ সে শরীয়তের বিধানভুক্ত
থাকে না।
কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায়
নিচের কারণে রোজা ভেঙে যায়ঃ
- শিঙ্গা লাগানাে।
- চোখে সুরমা লাগানাে।
- অশ্লীল কথা-বার্তা বলা।
- কাউকে গালি দেয়া।
- মুখ দিয়ে অযথা কোনাে বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করা।
- গীবত করা।
- গরমের কারণে বারবার কুলি করা।
- দাঁত হতে বের করে কোনাে কিছু চিবিয়ে খাওয়া।
- অধিক গরমের কারণে গায়ে ভিজা কাপড় জড়িয়ে রাখা।
কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায় না
কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায় না তা নিম্নরূপঃ
- গোঁফে তেল ব্যবহার করা।
- চোখে সুরমা লাগানাে।
- মিসওয়াক করা।
- গােসল করা।
- শরীরে ঢুস ব্যবহার করা।
- অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি করা।
- এমনভাবে কুলি করা, যাতে পেটে পানি প্রবেশের আশঙ্কা না থাকে।
- সতর্ক হয়ে নাকে পানি দেয়া, যাতে ভেতরে পানি চলে না যায়।
- স্ত্রীকে চুমু দেয়া, যদি বীর্যপাতের আশঙ্কা না থাকে।
- স্ত্রীর সাথে স্বাভাবিক মেলামেশা করা, যদি বীর্যপাত ঘটার আশঙ্কা না থাকে।
-
শিঙ্গা লাগানাে, যদি এর দ্বারা রােযাদার দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকে।
স্বামীর পক্ষ থেকে প্রহার বা কোন কিছু হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তরকারির স্বাদ
গ্রহণ করা। - মুসাফির অবস্থায় অসহ্য কষ্ট হলে রােযা ছেড়ে দেয়া।
-
সন্তানকে দুধপান না করালে যদি সন্তানের স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে,
তবে রােযা ছেড়ে দেয়া বৈধ, তবে পরবর্তীতে কাযা আদায় করতে হবে। - বিশেষ প্রয়ােজন মনে করলে সন্তানের মুখে খাবার চিবিয়ে দেয়া।
tag…
রোজা শব্দের বাংলা অর্থ কি, কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায়, মেয়েদের রোজা ভঙ্গের
কারণ, রোজার ইতিহাস, নফল রোজা রাখার নিয়ম, নফল রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া,
রোজা কত প্রকার, রোজা কবে থেকে শুরু ২০২৪রোজা রেখে কি কি করা যাবে না, রোজা
শব্দের বাংলা অর্থ কি, রোজা কবে থেকে শুরু ২০২৪ রোজা শব্দের বাংলা অর্থ কি, রোজা
২০২৪ রোজা কবে, রোজা নাটক, রোজা সম্পর্কে আলোচনা, রোজা কত প্রকার, রোজা ভঙ্গের
কারণ, রোজা রাখার উপকারিতা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা, অটোফেজির উপকারিতা,
রোজার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা, সাওম ভঙ্গের কারণ, রোজা ভঙ্গের কারণ আহলে হক মিডিয়া,
নামাজ ভঙ্গের কারণ, রোজা ভঙ্গের কাফফারা, ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গের কাফফারা, রোজা কত
প্রকার, রোজা ভঙ্গের নিয়ত, মলম লাগালে রোজা,
কারণ, রোজার ইতিহাস, নফল রোজা রাখার নিয়ম, নফল রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া,
রোজা কত প্রকার, রোজা কবে থেকে শুরু ২০২৪রোজা রেখে কি কি করা যাবে না, রোজা
শব্দের বাংলা অর্থ কি, রোজা কবে থেকে শুরু ২০২৪ রোজা শব্দের বাংলা অর্থ কি, রোজা
২০২৪ রোজা কবে, রোজা নাটক, রোজা সম্পর্কে আলোচনা, রোজা কত প্রকার, রোজা ভঙ্গের
কারণ, রোজা রাখার উপকারিতা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা, অটোফেজির উপকারিতা,
রোজার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা, সাওম ভঙ্গের কারণ, রোজা ভঙ্গের কারণ আহলে হক মিডিয়া,
নামাজ ভঙ্গের কারণ, রোজা ভঙ্গের কাফফারা, ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গের কাফফারা, রোজা কত
প্রকার, রোজা ভঙ্গের নিয়ত, মলম লাগালে রোজা,