Infoইসলাম

সালাম দেওয়া ও নেওয়ার নিয়ম

পুরো সালাম, সালাম দেওয়ার বিধান কি, সালাম দেওয়ার নিষিদ্ধ সময়, সালাম দেওয়া কি, সালামের উত্তর ছবি, সালাম কত প্রকার, সালামের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব, সালামের শব্দাবলী অর্থসহ ব্যাখ্যা, সালাম দেওয়া কি ওয়াজিব, সালাম দেওয়ার নিয়ম, সালাম অর্থ কি, সালাম দেওয়া কি, সালাম কত প্রকার, সালাম দেওয়া কি ফরজ, সালামের জবাব দেওয়ার নিয়ম, সালামের শব্দাবলী অর্থসহ ব্যাখ্যা, সালাম এর সঠিক উচ্চারণ, সালাম দেওয়ার নিষিদ্ধ সময়, সালামের উত্তর দেওয়া কি ওয়াজিব, সালামের উত্তর কিভাবে দিতে হয়, সালামের সঠিক বানান, সালাম দিলে কত নেকি, সালাম কিভাবে দিতে হয়, সালামের উত্তর বাংলা, ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ এর অর্থ, সালামের সঠিক জবাব, আসসালামু আলাইকুম এর উত্তর, ওয়ালাইকুমুস সালাম, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সালামের উত্তর বাংলা, সালামের উত্তর আরবি, সালামের সঠিক উচ্চারণ, ওয়ালাইকুম আসসালাম নাকি ওয়ালাইকুমুসসালাম, আসসালামু আলাইকুম এর জবাব, ওয়ালাইকুম আসসালাম আরবী, ওয়ালাইকুম আসসালাম অর্থ, ওয়ালাইকুম সালাম, ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
সালাম দেওয়া ও নেওয়ার নিয়ম

Table of Contents

সালাম দেওয়া

আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ ।
অর্থঃ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সালাম নেওয়া

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
অর্থ “আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

সালামের জবাব দেওয়ার বিধান কি?

সালামের অর্থ হলো- আপনার ওপর শান্তি এবং বরকত বর্ষিত হোক। সুতরাং সালামের উত্তরও
সুন্দরভাবে সালাম প্রদানকারীকে শুনিয়ে তার জন্য এভাবে দোয়া করা যে, আপনার ওপরও
শান্তি ও বরকত বর্ষিত হোক।

সালামের ফযিলত

১। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী করীম (সাঃ) কে
জিজ্ঞাসা করে । ইসলামের কোন আদর্শটি সর্বোত্তম? তিনি বলেনঃ তুমি খাবার খাওয়াবে ও
পরিচিত-অপরিচিত সকলকে সালাম দিবে ।
২। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলে করীম (সাঃ) এরশাদ করছেনঃ ঐ
সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, ইমানদার না হওয়া পর্যন্ত তোমারা জান্নাতে
প্রবেশ করতে পারবে না । আর তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি না হওয়া
পর্যন্ত তোমরা কখনো ঈমানদার হতে পারবে না । আমি কি তোমাদেরকে এমন বস্তুর কথা বলব
না, যা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করবে? নিজেদের মধ্যে সালামের
ব্যাপক প্রচলন করো ।
৩। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলে কারীম (সাঃ)
কে বলতে শুনেছিঃ (এতে রয়েছে) হে মানবমন্ডলী! সালামের প্রচলন করো, খাবার খাওয়াও
এবং যখন মানুষ নিদ্রায় থাকে তখন সালাত আদায় করো তবে নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে

সালামের পদ্ধতি

যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হয়, তখন তোমারাও এর চেয়ে উত্তম জবাব প্রদান কর অথবা
তারই অনুরূপ জবাব দাও । নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী ।
ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (সাঃ) এর
নিকট আগমন করে বললঃ “আস্‌সালামু আলাইকুম” তিনি সালামের জবাব দিলেন, অতঃপর সে বসে
পড়ল, তারপর নবী করীম (সাঃ) বললেনঃ দশ নেকি ।
অতঃপর অন্য একজন এসে বললঃ “আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” তিনি তার জবাব
দিলেন, সে বসে পড়ল, নবী করীম (সাঃ) বললেনঃ বিশ নেকি ।
অতঃপর আরো একজন এসে বললঃ “আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ”
তিনি তারও জবাব দিলেন, সে বসে পড়ল, অতঃপর তিনি বললেনঃ ত্রিশ নেকি ।
পুরো সালাম, সালাম দেওয়ার বিধান কি, সালাম দেওয়ার নিষিদ্ধ সময়, সালাম দেওয়া
কি, সালামের উত্তর ছবি, সালাম কত প্রকার, সালামের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব,
সালামের শব্দাবলী অর্থসহ ব্যাখ্যা, সালাম দেওয়া কি ওয়াজিব, সালাম দেওয়ার
নিয়ম, সালাম অর্থ কি, সালাম দেওয়া কি, সালাম কত প্রকার, সালাম দেওয়া কি ফরজ,
সালামের জবাব দেওয়ার নিয়ম, সালামের শব্দাবলী অর্থসহ ব্যাখ্যা,

প্রথমে সালাম প্রদানকারীর ফযিলত

১। আবু আইয়ুব আল-আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম (সাঃ) বলেনঃ তিন রাতের
বেশি কোন মুসলমানের জন্য তার ভাই থেক (কথা না বলে) পৃথক থাকা জায়েয নয় । তাদের
উভয়ের (চলা-ফেরায়) সাক্ষাত ঘটে, কিন্তু একজন তার থেকে বিমুখ হয় অন্যজনও তার থেকে
বিমুখ হয় । মূলতঃ তাদের মধ্যে উত্তম ব্যাক্তি হলো সে, যে ব্যাক্তি প্রথমে সালাম
প্রদান করবে ।
২। আবু উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলে করীম (সাঃ) বলেনঃ নিশ্চয়ই
আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি- যে প্রথমে সালাম দেয় ।

প্রথম যে সালাম দিবে

১। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করীম (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেনঃ যে ছোট সে বড়কে, চলমান ব্যক্তি বসা ব্যক্তিকে এবং কম সংখ্যক বেশি
সংখ্যককে সালাম দিবে ।
২। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেছেনঃ আরোহী
ব্যক্তি পদাতিক ব্যক্তিকে, পদাতিক ব্যক্তি উপবিষ্ট ব্যক্তিকে এবং কম সংখ্যক অধিক
সংখ্যককে সালাম প্রদান করবে ।

মহিলা ও শিশুদের প্রতি সালাম

১। আসমা বিনতে ইয়াযিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী কারীম (সাঃ) আমাদের
কতিপয় মহিলার নিকট দিয়ে অতিবাহিত হওয়ার সময় আমাদের প্রতি সালাম প্রদান করেন ।
২। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) শিশুদের নিকট দিয়ে অতিক্রম
করার সময় তাদের প্রতি সালাম দিয়ে বলেনঃ নবী করীম (সাঃ) এরূপ করতেন ।

ফেতনামুক্ত হলে মহিলাগণ পুরুষকে সালাম দিতে পারবে

উম্মে হানী বিনতে আবু তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি মক্কা বিজয়ের বছর
নবী করীম (সাঃ) এর নিকট গমন করলাম তখন তাঁকে গোসল করা অবস্থায় পেলাম, আর তাঁর
কন্য ফাতেমা তখন তাঁকে আড়াল করেছিল ।
অতঃপর আমি তাঁকে সালাম দিলাম । তিনি বললেনঃ কে এ মহিলা? আমি বললাম আমি উম্মে হানী
বিনতে আবু তালেব । তারপর তিনি বললেনঃ “মারহাবা উম্মে হানী” (উম্মে হানীকে
স্বাগতম) ।

ঘরে প্রবেশের সময় সালাম

১। যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করবে তখন তোমাদের আপনজনদের প্রতি সালাম দাও। উত্তম দোয়া
স্বরূপ, যা আল্লাহর নিকট থেকে বরকতময় ও পবিত্র ।
২। হে ঈমানদারগন! তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্য ঘরে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত
আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম বিনিময় না কর । এটাই তোমাদের জন্যে অতি
উত্তম, যাতে তোমরা মনে রাখ ।

জিম্মীদেরকে সালাম না দেওয়া

১। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলে করীম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ তোমরা ইহুদি ও
খ্রিষ্টানদেরকে সালাম দিবে না । আর যখন তাদের কার সাথে কোন রাস্তায় সাক্ষাত ঘটে
তখন তাঁকে সংকীর্ণ রাস্তাতে বাধ্য কর ।
২। আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) বলেছেনঃ যখন
তোমাদেরকে আহলে কিতাবগন সালাম দিবে তখন জবাবে তোমরা বলোঃ “ওয়া আলাইকুম”

মুসলিম ও কাফেরদের সমাবেশ দিয়ে অতিক্রমকালে শুধু মুসলিমদের উদ্দেশ্যে সালাম
প্রদান করা

রাসূল এর উসামা ইবনে জায়েদ (রা) হতে বর্ণিত, নবী করীম সাদ ইবনে উবাদাহকে দেখতে
আসেন (আর তার মধ্যে রয়েছে) যখন তিনি এমন এক সমাবেশ দিয়ে অতিবাহিত হন যাতে
মুসলমান, পৌত্তলিক, মুশরিক ও ইয়াহুদিদের সংমিশ্রণ ছিল, নবী করীম তাদের প্রতি
সালাম প্রদান করলেন, অতঃপর একটু বিরতি টেনে অবতরণ করেন এবং তাদেরকে আল্লাহর দিকে
দাওয়াত করেন ও তাদের প্রতি কুরআন তেলাওয়াত করেন।

আগমন ও প্রস্থানের সময় সালাম

আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী করীম বলেছেনঃ তােমাদের মধ্যে কোন
ব্যক্তি যখন মজলিশে উপস্থিত হবে, সে যেন সালাম প্রদান করে এবং যখন সেখান থেকে চলে
যাওয়ার ইমপােষণ করে তখনও যেন সালাম প্রদান করে, শেষবারের চেয়ে প্রথমবার সালাম
প্রদান অগ্রাধিকার রাখে । (বং আগমন ও প্রস্থান উভয় সময়ে সালামের বিধান একই)।
সাক্ষাতের সময় প্রণাম করা বা ঝোঁকা নিষেদ
আনাস ইবনে মালেক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি বললঃ হে আল্লাহর
রাসূল! আমাদের মাঝে কোন ব্যক্তি যখন তার ভাই বা বন্ধুর সাথে সাক্ষাত করবে সে কি
তার জন্য ঝোকবে। (মাথা নীচু করে সম্মান জানাবে) তিনি জবাব দিলেনঃ “না” সে বললঃ
তবে তাকে কি জড়িয়ে ধরবে ও চুম্বন দিবে? তিনি বললেনঃ “না”। সে বললঃ তবে কি তার
হাত ধরে মুসাফাহা করবে। তিনি বললেনঃ “হ্যা”।

মুসাফাহার ফযিলত

বারা’ বিন আযেব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলে করীম বলেছেনঃ যখন দুই
মুসলমানের সাক্ষাত ঘটে আর তারা পরস্পরে মুসাফাহা করে তখন তাদের আলাদা হওয়ার আগেই
তাদেরকে মাফ করে দেয়া হয়।

যখন মুসাফাহা ও কোলাকুলি (আলিঙ্গন) করতে হবে

আনাস বিন মালেক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী করীম এর সাহাবীগণ যখন একত্রিত
হতেন তখন পরস্পর মুসাফাহা করতেন এবং যখন কোন সফর থেকে আসতেন তখন পরস্পর কোলাকুলি
(আলিঙ্গন) করতেন।

অনুপস্থিত লোকের সালামের জবাবের নিয়ম

১। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ)-আইতাকে বলেনঃ হে
আয়েশা জিবরাঈল ফেরেশতা তােমাকে সালাম দিয়েছেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)
জবাবে বললেনঃ “ওয়া আলাইহিস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”
আপনি যা প্রত্যাশা করেছেন আমি তাে তা দেখি না।
২। জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট আগমন করে বললঃ আমার পিতা আপনাকে সালাম
দিয়েছেন, তিনি জবাবে বললেনঃ আলাইকাস্সালাম ওয়া আলা আবীকাস্সালাম।

আগন্তুকের সাহায্যার্থে দণ্ডায়মান হওয়া

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, বনু কুরাইয়া (ইয়াহুদিরা) সা’দ ইবনে মু’আযের
ফয়সালা মেনে নিবে বলে স্বীকার করলে নবী করীম (সাঃ) তাকে ডেকে পাঠালেনঃ যখন তিনি
আসলেন নবী করীম (সাঃ) বললেনঃ “তােমাদের সর্দারের (নেতার) দিকে দাঁড়িয়ে যাও,
কিংবা বললেনঃ তােমাদের উত্তম ব্যক্তির দিকে।”
আর মুসনাদে আহমদের বর্ণনায় আছে তােমাদের সর্দারের (নেতার) দিকে দাঁড়াও এবং তাকে
(বাহন থেকে) নামিয়ে এন।
আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ফাতেমার চেয়ে রাসূলে করীম প্রত্যাশা করিনি,
ফাতেমা যখন তাঁর নিকট আসতেন তিনি তার দিকে দাঁড়ায়ে যেতেন। অতঃপর তার হাত ধরতেন
ও তাকে চুম্বন দিতেন এবং তার আসনে তাকে বসাতেন। পক্ষান্তরে রাসূলে করীম যখন
ফাতেমার নিকট আসতেন সে তার দিকে দাড়িয়ে যেত, অতঃপর তার হাত ধরতে ও তাকে চুম্বন
দিত এবং তার আসনে তাঁকে বসাতাে।

যে ব্যক্তি আশা করবে মানুষ তাঁর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে সম্মান করুক তাঁর শাস্তি

মু’আবিয়া (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলে করীমকে বলতে শুনেছিঃ যে
ব্যক্তি পছন্দ করে লােকজন তার জন্য দাঁড়িয়ে সম্মান করুক সে যেন তার বাসস্থান
জাহান্নামে তৈরি করে নেয়।

সালাম শোনা না গেলে তিনবার দেয়ার হুকুম বিধান

আনাস বিন মালেক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করীম থেকে বর্ণনা করেনঃ নবী করীম যখন
কোন কথা বলতেন তা তিনবার পুনরাবৃত্তি করতেন, যেন তা (ভালবাবে) বুঝা যায় এবং যখন
কোন দলের নিকট আসতেন, তাদের প্রতি তিনবার সালাম দিতেন।

জামা’আতের প্রতি সালামের হুকুম

আলী ইবনে আবু তালেব (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম বলেছেনঃ কোন জামা’আত বা দল যদি
অতিবাহিত হয় তবে তাদের মধ্য থেকে একজন সালাম দেয়াই যথেষ্ট। অনুরূপ বসা
ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে একজনের জবাব দেয়াই যথেষ্ট।

পেশাব-পায়খানা করা অবস্থায় সালাম দেয়া-নেয়া নিষেধ

আব্দুয়াহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম পেশাব করছিলেন এমতাবস্থায়
জনৈক ব্যক্তি অতিবাহিত হয় এবং সালাম দেয়, নবী করীম (সাঃ) তার সালামের জবাব
দেননি।
মুহাজির ইবনে কুনফুয (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) পেশাব করেছিলেন,
এমতাবস্থায় সে এসে তাঁকে সালাম দেয়। কিন্তু তিনি ওযু না করা পর্যন্ত তার
সালামের কোনাে জবাব দেননি। অতঃপর তিনি তার নিকট ওজর পেশ করলেন এবং বললেনঃ অপবিত্র
অবস্থায় আমি আল্লাহর নাম জিকির করব তা আমি অপছন্দ করি।”
আগকে বাতু দেখানাে উত্তম ও অপরিচিত ব্যক্তির পরিচয় গ্রহণ করা যাতে করে তাকে
যথার্থ স্থানে রাখতে পারে।
আবু জামরা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) ও লােকদের
মাঝে দোভাষী ছিলাম। অতঃপর তিনি (ইবনে আব্বাস) বললেনঃ আব্দুল কায়েস গােত্রের
প্রতিনিধি দল নবী করীম (সাঃ) এর নিকট আগমন কর তিনি বললেনঃ তােমরা কোন প্রতিনিধি
দল। অথবা বলেন তােমরা কোন গােত্রের লােক? তারা বলল, রাবীআ গােত্রের। অতঃপর তিনি
বলেনঃ “মারহাবা” স্বাগতম! এ গােত্রের প্রতি অথবা প্রতিনিধি দলের প্রতি,
তাদের জন্য কোন ধরনের লাঞ্ছনা ও লজ্জা নেই।

আলাইকাস সালাম” বলে সালাম দেওয়া নিষেধ

১. জাবের ইবনে সুলাইম (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি নবী করীম এর নিকট আগমন
করে বললামঃ “আলাইকাস সালাম। তিনি বললেনঃ আলাইকাস সালাম বলাে না, বরং বলঃ
“আসসালামু আলাইকা
২. অন্য এক বর্ণনায় রয়েছেঃ কেননা “আলাইকাস সালাম” হলাে মৃত
ব্যক্তিবর্গের জন্য সালাম।”
সালাম ও তার জবাব দেয়ার পর যে সকল অভিবাদন বলবে
উম্মে হানী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) এর নিকট গমন করি। তিনি তখন গােসল করতে ছিলেন এবং তাঁর কন্যা ফাতেমা তাকে
পর্দা দ্বারা ঘিরে রেখেছিলেন। উম্মে হানী বলেনঃ আমি তাকে সালাম প্রদান করলে তিনি
বলেনঃ কে? আমি বললামঃ আমি উম্মে হানী বিনতে আবু তালিব। তিনি বললেনঃ উম্মে হানীকে
স্বাগতম! আর তিনি গােসল শেষ করে একটি পােশাক পরিধান করে ৮ রাকা’আত সালাত আদায়
করেন। তিনি সালাত শেষ করলে বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার বৈমাত্রেয় ভাই ধারণা
করছে যে, সে একজন মানুষকে হত্যা করেছে। আর আমি হুবাইরার বেটা ওমুককে নিরাপত্তা
দিয়েছি। তিনি বলেনঃ হে উম্মে হানী! আপনি যাকে নিরাপত্তা দিয়েছেন আমিও তাকে
নিরাপত্তা দান করলাম। উম্মে হানী বলেনঃ সে সময়টা ছিল চাশতের সময়।
সালাম সম্পর্কে আজকের লেখা এখানেই শেষ করলাম ভালো লাগলে কমেন্ট সেয়ার করে জানিয়ে
দিবেন ধন্যবাদ ।
পুরো সালাম, সালাম দেওয়ার বিধান কি, সালাম দেওয়ার নিষিদ্ধ সময়, সালাম দেওয়া
কি, সালামের উত্তর ছবি, সালাম কত প্রকার, সালামের জবাব দেওয়া কি ওয়াজিব,
সালামের শব্দাবলী অর্থসহ ব্যাখ্যা, সালাম দেওয়া কি ওয়াজিব, সালাম দেওয়ার
নিয়ম, সালাম অর্থ কি, সালাম দেওয়া কি, সালাম কত প্রকার, সালাম দেওয়া কি ফরজ,
সালামের জবাব দেওয়ার নিয়ম, সালামের শব্দাবলী অর্থসহ ব্যাখ্যা, সালাম এর
সঠিক উচ্চারণ, সালাম দেওয়ার নিষিদ্ধ সময়, সালামের উত্তর দেওয়া কি ওয়াজিব,
সালামের উত্তর কিভাবে দিতে হয়, সালামের সঠিক বানান, সালাম দিলে কত নেকি, সালাম
কিভাবে দিতে হয়, সালামের উত্তর বাংলা, ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি
ওয়াবারাকাতুহ এর অর্থ, সালামের সঠিক জবাব, আসসালামু আলাইকুম এর উত্তর,
ওয়ালাইকুমুস সালাম, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সালামের উত্তর বাংলা,
সালামের উত্তর আরবি, সালামের সঠিক উচ্চারণ, ওয়ালাইকুম আসসালাম নাকি
ওয়ালাইকুমুসসালাম, আসসালামু আলাইকুম এর জবাব, ওয়ালাইকুম আসসালাম আরবী,
ওয়ালাইকুম আসসালাম অর্থ, ওয়ালাইকুম সালাম, ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *