১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজকে আমি আপনাদের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেওয়ার নমুনা দিলামঃ
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেওয়ার নমুনা দিলামঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।
ওরা ভেবেছিল তোমাকে মারলে হয়ে যাবে সব শেষ ওরা তো জানে না বঙ্গবন্ধু মানে
বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ ।
উপস্থিত ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত
বার্ষিকী উপলক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত আজকের সভার সম্মানিত সভাপতি,
প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানি শিক্ষক বৃন্দ, মেহমান বৃন্দ, সকল শ্রেণীর
ছাত্র-ছাত্রী ভাই ও বোনেরা সবাই আমার আন্তরিক সালাম গ্রহণ করুন আসসালামু আলাইকুম
।
বার্ষিকী উপলক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত আজকের সভার সম্মানিত সভাপতি,
প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানি শিক্ষক বৃন্দ, মেহমান বৃন্দ, সকল শ্রেণীর
ছাত্র-ছাত্রী ভাই ও বোনেরা সবাই আমার আন্তরিক সালাম গ্রহণ করুন আসসালামু আলাইকুম
।
কেঁদেছিল আকাশ ফুটিয়েছিল বাতাস, বৃষ্টিতে নয় ঝরে নয় এই অনুভূতি ছিল পিতা হারানোর
শোকের ।
শোকের ।
প্রকৃতি কেঁদেছিল কারণ মানুষ কাঁদতে পারেনি । ঘাতকের উদত রক্ত চক্ষু তাদের কাঁদতে
দেয়নি । কি নিষ্ঠুর কি ভয়াল কি ভয়ানক সেই রাত ।
দেয়নি । কি নিষ্ঠুর কি ভয়াল কি ভয়ানক সেই রাত ।
আজ রক্তঝরা অশ্রু ভেজা ১৫ই আগস্ট । জাতীয় শোক দিবস বাঙালি জাতির শোকের দিন ।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এই দিনে ভোরের আলো ফোটার আগেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর নিজ
বাসায় । বাংলাদেশ স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে
হত্যা করেছিল এ দেশের ক্ষমতালোভী নরপশু কুচক্রী মহল ।
বাসায় । বাংলাদেশ স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে
হত্যা করেছিল এ দেশের ক্ষমতালোভী নরপশু কুচক্রী মহল ।
সেদিন তিনি ছাড়াও ঘাতকের বুলেটে নিহত হন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
এছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন ।
এছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন ।
ঐ সময় দেশের বাহিরে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ।
হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ।
আজকের এই শোক সভায় সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ।
মুজিব আমার চাদের আলো মিষ্টি রোদের হাসি
দেশের সকল মানুষ মোরা তোমায় ভালোবাসি ।
শেখ মুজিবুর রহমান কেবল এক ব্যক্তির নাম নন । আমার বঙ্গবন্ধু একজন দার্শনিক যিনি
মুক্তিযুদ্ধের ২০ বছর আগ থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন ।
মুক্তিযুদ্ধের ২০ বছর আগ থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন ।
আমার বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের ছিনে আনা লাল-সবুজের পতাকা, একটি ইতিহাস, একটি
মহাকাব্য একটি বাংলাদেশ ।
মহাকাব্য একটি বাংলাদেশ ।
আমার বঙ্গবন্ধু যিনি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দিয়ে গেছেন
স্বাধীনতা । বাংলাদেশ যার ফলস্বরূপ ৫৬ বছর বয়সের জীবনে ৪৬৮২ দিন তাকে কাটাতে
হয়েছিল কারাগারের কাল কুঠুরিতে । এ বন্দিত্ব তিনি ভোগ করেছিলেন দুঃখী মানুষের
জন্যে ।
স্বাধীনতা । বাংলাদেশ যার ফলস্বরূপ ৫৬ বছর বয়সের জীবনে ৪৬৮২ দিন তাকে কাটাতে
হয়েছিল কারাগারের কাল কুঠুরিতে । এ বন্দিত্ব তিনি ভোগ করেছিলেন দুঃখী মানুষের
জন্যে ।
স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি সংসার জীবন কাটিয়ে দিতে পারতেন। অন্য যে কোন পেশায়
নিশ্চিন্তে জীবিকা নির্বাহ করে । কিন্তু তিনি তা করেন নাই মানুষের কথা ভাবেন বলে
।
নিশ্চিন্তে জীবিকা নির্বাহ করে । কিন্তু তিনি তা করেন নাই মানুষের কথা ভাবেন বলে
।
আমার বঙ্গবন্ধু যিনি ৭ই মার্চের মাত্র ১৮ মিনিটের এক ভাসনে এক আঙ্গুল উঠিয়ে সারা
বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে শিখিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ । স্বপ্ন
দেখিয়েছিলেন স্বাধীনতার ।
বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে শিখিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ । স্বপ্ন
দেখিয়েছিলেন স্বাধীনতার ।
স্বাধীনতার পরেই আমার বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলায় ভাসন দিয়ে বাংলা ভাষার মান
সমুন্নত করেছেন ।
সমুন্নত করেছেন ।
কিন্তু হায় কি দুর্ভাগ্য আমাদের ধরে রাখতে পারেনি, আমরা আমাদের বঙ্গবন্ধুকে ।
একদল অকৃতজ্ঞ বাঙালি নৃশংসভাবে হত্যা করে আমাদের বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে । ঘাতক
দল ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তার নাম ইতিহাস থেকে চিরতরে মুছে ফেলবে
কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন সফল হয়নি ।
একদল অকৃতজ্ঞ বাঙালি নৃশংসভাবে হত্যা করে আমাদের বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে । ঘাতক
দল ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তার নাম ইতিহাস থেকে চিরতরে মুছে ফেলবে
কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন সফল হয়নি ।
ঘাতকরা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত
স্বাধীন বাংলাদেশের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যে পথ সৃষ্টি হয়েছিল সেখান থেকে
দেশকে সরিয়ে বিপরীতমুখী করার উদ্দেশ্যই ছিল তাদের একটি বড় লক্ষ্য ।
স্বাধীন বাংলাদেশের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যে পথ সৃষ্টি হয়েছিল সেখান থেকে
দেশকে সরিয়ে বিপরীতমুখী করার উদ্দেশ্যই ছিল তাদের একটি বড় লক্ষ্য ।
দীর্ঘদিন পরে হলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে । আজ আমার বঙ্গবন্ধুকে
নিয়ে বলতে গেলে হয়তো মহাকাব্য হয়ে যাবে কিন্তু কথা ফুরাবেনা ।
নিয়ে বলতে গেলে হয়তো মহাকাব্য হয়ে যাবে কিন্তু কথা ফুরাবেনা ।
আমার বঙ্গবন্ধু একটি চেতনার নাম যিনি জাগ্রত আছেন প্রতিটি বাঙালি হৃদয় ।
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে বঙ্গবন্ধু সময় পেয়েছিলেন ২৩ বছর । আর
স্বাধীন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর । ফলে ২৩ বছরের
নেতৃত্বে গড়ার স্বদেশকে তিনি সমমহিমায় সাজাতে পারেননি ।
স্বাধীন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর । ফলে ২৩ বছরের
নেতৃত্বে গড়ার স্বদেশকে তিনি সমমহিমায় সাজাতে পারেননি ।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা সফল করে তুলতে পারলেই তার
প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে ।
প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে ।
আসুন আমরা সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক খুদা ও দারিদ্র্যমুক্ত
সোনার বাংলা গড়ে তুলি জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার ।
সোনার বাংলা গড়ে তুলি জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু ।