১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা শিখে নিন
বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের জন্য ১৫ই আগস্ট শোক দিবস উপলক্ষে ৯টি বক্তব্য বা ভাষন
দেওয়ার নমুনা দিলাম ।
দেওয়ার নমুনা দিলাম ।
1. ১৫ আগস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজকে আমি আপনাদের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেওয়ার নমুনা দিলামঃ
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেওয়ার নমুনা দিলামঃ
Related Post:
১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি
বিশেষ অতিথি সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সুধিমন্ডলী
আসসালামু আলাইকুম
বিশেষ অতিথি সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সুধিমন্ডলী
আসসালামু আলাইকুম
সমবেত সকলের মত আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি, রেসকোর্স পার হয়ে যেতে সেই সব
গোলাপের একটি গোলাপ গতকাল আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি ।
আমি তার কথা বলতে এসেছি । শহীদ মিনার থেকে খসে পড়া একটি রক্তাক্ত ইট গতকাল আমাকে
বলেছে । আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি আমি তার কথা বলতে এসেছি ।
গোলাপের একটি গোলাপ গতকাল আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি ।
আমি তার কথা বলতে এসেছি । শহীদ মিনার থেকে খসে পড়া একটি রক্তাক্ত ইট গতকাল আমাকে
বলেছে । আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি আমি তার কথা বলতে এসেছি ।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত
বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ।
বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ।
আজ শোকাবহ ১৫ই আগস্ট । জাতীয় শোক দিবস । বাঙালি জাতির ইতিহাসে বেদনা বিধুর ও
বিভীষিকাময় একটি দিন ।
বিভীষিকাময় একটি দিন ।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ভোরের আলো ফোটার আগেই বাঙালি জাতিকে মুক্তির আলো দেখানো জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল চক্রান্তকারী কিছু
বিপথগামী সেনা সদস্য । ঘাতকেরা ঐদিন নারী ও শিশু কাউকে রেহাই দেয়নি। যা ইতিহাসের
এক কলঙ্কিত অধ্যায় ।
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল চক্রান্তকারী কিছু
বিপথগামী সেনা সদস্য । ঘাতকেরা ঐদিন নারী ও শিশু কাউকে রেহাই দেয়নি। যা ইতিহাসের
এক কলঙ্কিত অধ্যায় ।
বাংলাদেশের কোন বাঙালি তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না এমন দৃঢ় বিশ্বাস
ছিল বঙ্গবন্ধুর । সেজন্যই সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে তিনি থাকতেন তার প্রিয়
ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর নিজ বাসভবনে ।
ছিল বঙ্গবন্ধুর । সেজন্যই সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে তিনি থাকতেন তার প্রিয়
ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর নিজ বাসভবনে ।
বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার এই বাড়িতে থেকেই বঙ্গবন্ধু
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ করার কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন । সেদিন ঘাতকদের
মেশিনগানের মুখে ও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয় ।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ করার কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন । সেদিন ঘাতকদের
মেশিনগানের মুখে ও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয় ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নাম, একটি ইতিহাস বাঙালি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ
সন্তানের জীবন ছিল সংগ্রামমুখর, সংগ্রামের মধ্যেই তিনি বড় হয়েছেন । ১৯২০ সালের
১৭ ই মার্চ তখনকার বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায়
জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান ।
সন্তানের জীবন ছিল সংগ্রামমুখর, সংগ্রামের মধ্যেই তিনি বড় হয়েছেন । ১৯২০ সালের
১৭ ই মার্চ তখনকার বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায়
জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান ।
তিনি ছাত্র অবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন
সংগ্রামী নেতা । শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফার প্রণেতা
ছিলেন । ৭০ এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এ দেশের গণ মানুষের
আশা-আকাঙ্ক্ষায় পরিণত করেন ।
সংগ্রামী নেতা । শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফার প্রণেতা
ছিলেন । ৭০ এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এ দেশের গণ মানুষের
আশা-আকাঙ্ক্ষায় পরিণত করেন ।
পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে ষাটের দশক
থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনাকে পরিণত হন ।
থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনাকে পরিণত হন ।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু
বজ্রদৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন ।
বজ্রদৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন ।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ।
এই ঘোষণায় উদ্দীপ্ত উজ্জীবিত জাতি স্বাধীনতা লড়াই ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক-হানাদার
বাহিনীর বিরুদ্ধে । ৯ মাস এক সাগর রক্ত পেরিয়ে ছিনিয়ে আনে দেশের স্বাধীনতা,
লাল-সবুজ পতাকার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ।
বাহিনীর বিরুদ্ধে । ৯ মাস এক সাগর রক্ত পেরিয়ে ছিনিয়ে আনে দেশের স্বাধীনতা,
লাল-সবুজ পতাকার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ।
আসুন আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে । বঙ্গবন্ধুর
অসাম্প্রদায়িক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি ।
অসাম্প্রদায়িক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি ।
আজকের এই শোকাবাহ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিনম্র শ্রদ্ধা
জানিয়ে শেষ করছি আমার বক্তব্য ধন্যবাদ সবাইকে ।
জানিয়ে শেষ করছি আমার বক্তব্য ধন্যবাদ সবাইকে ।
2. ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য
১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে
উপস্থিত সম্মানিত সভাপতি, সম্মানিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি শিক্ষক
শিক্ষার্থী ও সুধী মন্ডলী আসসালামু আলাইকুম ।
উপস্থিত সম্মানিত সভাপতি, সম্মানিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি শিক্ষক
শিক্ষার্থী ও সুধী মন্ডলী আসসালামু আলাইকুম ।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
শাহাদাত বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি
।
শাহাদাত বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি
।
হে মহান! মহাবীর! গর্ব তুমি বাঙালি জাতির । তুমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান । তুমি রবে ততদিন বাঙালি জাতির হৃদয়ে যতদিন তোমার অর্জিত
বাংলায় লাল রক্তিম সূর্য উদিপ্ত হবে বাংলার পূর্ব আকাশে ।
মুজিবুর রহমান । তুমি রবে ততদিন বাঙালি জাতির হৃদয়ে যতদিন তোমার অর্জিত
বাংলায় লাল রক্তিম সূর্য উদিপ্ত হবে বাংলার পূর্ব আকাশে ।
বছর ঘুরে আবার এসেছে বাঙালি জাতির ইতিহাসে রক্তের অক্ষরে লেখা শোকাবহ ১৫ই
আগস্ট । ইতিহাসে বেদনা বীথুর ও বিভীষিকাময় একটি দিন ।
আগস্ট । ইতিহাসে বেদনা বীথুর ও বিভীষিকাময় একটি দিন ।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ভোরের আলো ফোঁটার আগেই বাঙালি জাতিকে মুক্তির আলো দেখানো
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল
চক্রান্তকারী কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল
চক্রান্তকারী কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ।
ঘাতকেরা ঐদিন নারী ও শিশু কাউকে রেহাই দেয়নি । যা ইতিহাসের এক কলঙ্কিত
অধ্যায় ।
অধ্যায় ।
বাংলাদেশের কোন বাঙালি তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না এমন দৃঢ়
বিশ্বাস ছিল বঙ্গবন্ধুর । সেজন্যই সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে তিনি থাকতেন তার
প্রিয় ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে ।
বিশ্বাস ছিল বঙ্গবন্ধুর । সেজন্যই সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে তিনি থাকতেন তার
প্রিয় ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে ।
বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার এই বাড়িতে থেকে
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ করার কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন ।
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ করার কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন ।
সেদিন ঘাতকদের মেশিনগানের মুখেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয় ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি । তিনি ছিলেন
জাতির পিতা, তিনি ছিলেন ভাষা সৈনিক ।
জাতির পিতা, তিনি ছিলেন ভাষা সৈনিক ।
বাঙালির অধিকার ও স্বতন্ত্র মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে
এদেশের গণমানুষের মুক্তির জন্য পরিচালিত সব আন্দোলনেই তিনি ছিলেন প্রধান
চালিকাশক্তি ।
এদেশের গণমানুষের মুক্তির জন্য পরিচালিত সব আন্দোলনেই তিনি ছিলেন প্রধান
চালিকাশক্তি ।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানই জীবন ছিল সংগ্রাম মুখর, সংগ্রামের মধ্যেই তিনি
বড় হয়েছেন । বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসতেন । তাই তিনি
ছাত্র অবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন
সংগ্রামী নেতা । শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফার প্রণেতা
ছিলেন ।
বড় হয়েছেন । বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসতেন । তাই তিনি
ছাত্র অবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন
সংগ্রামী নেতা । শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফার প্রণেতা
ছিলেন ।
৭০ এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এদেশের গণমানুষের
আশা-আকাঙ্ক্ষায় পরিণত করেন ।
আশা-আকাঙ্ক্ষায় পরিণত করেন ।
পাকিস্তানের সামরিক জানতার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে ৬০ এর দশক
থেকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়কের পরিণত হন ।
থেকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়কের পরিণত হন ।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু
বজ্রদৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেনঃ
বজ্রদৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেনঃ
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ।”
এই ঘোষণায় উদ্দীপ্ত-উজ্জীবিত জাতি স্বাধীনতা লড়াই ঝাঁপিয়ে পড়ে
পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য
দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ।
পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য
দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ।
আসুন আমরা জাতির পিতার হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর
অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি ।
অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি ।
এই শোকাবহ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধায়
স্মরণ করে শেষ করছি আমার আজকের বক্তব্য । ধন্যবাদ সবাইকে ।
স্মরণ করে শেষ করছি আমার আজকের বক্তব্য । ধন্যবাদ সবাইকে ।
3. জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৩
কেমন আছেন প্রিয় বন্ধুরা আমি আরো একটি জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৩ আলোচনা নিয়ে হাজির হয়েছি । আজকের এই বক্তব্য যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অব্যশয়
সেয়ার করে দিবেন । বেশি কথা না বলে শুরু করে দিই ।
সেয়ার করে দিবেন । বেশি কথা না বলে শুরু করে দিই ।
Related Post:
জাতীয় শোক দিবসের ভাষণ
আজ রক্তঝরা ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস ।
দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা, রক্তগঙ্গা বহমান নাহি নাহি ভয় তবু হবে জয়, জয় শেখ
মুজিবুর রহমান ।
মুজিবুর রহমান ।
আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ।
আজ শোকাবহ ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস । বাঙালি জাতির জীবনের সবচেয়ে কলঙ্কময়,
বেদনার দিন । স্বাধীনতার মহান স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ।
বেদনার দিন । স্বাধীনতার মহান স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ।
আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ৭৫ এর কালো রাতের সকল শহীদদের ।
স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ৩০ লাখ শহীদদের, স্মরণ করছি দুই লাখ মা
বোনদের ।
স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ৩০ লাখ শহীদদের, স্মরণ করছি দুই লাখ মা
বোনদের ।
১৯৭৫ সালের এই দিনে কাকডাকা ভোরে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বর
বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে । বাঙালি জাতির ললাটে এঁটে দেয় কলঙ্কের
তিলক ।
বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে । বাঙালি জাতির ললাটে এঁটে দেয় কলঙ্কের
তিলক ।
যে কলঙ্ক থেকে দেশ জাতি আজও পুরোপুরি মুক্তি হতে পারিনি। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার
বিচারের রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। এখনো দন্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন খুনি বিদেশে
পালিয়ে রয়েছে।
বিচারের রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। এখনো দন্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন খুনি বিদেশে
পালিয়ে রয়েছে।
দিনটি ছিল সরকারি ছুটির দিন । এদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তাদের
হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেনঃ
হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেনঃ
- বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
- বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল
- শেখ জামাল
- শিশুপুত্র শেখ রাসেল
- পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল ।
পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যা কান্ড থেকে বাঁচতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের,
ভগ্নিপতি আব্দুর রব ও তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে
যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্তার
স্ত্রী আরজু মনি এবং আব্দুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্ণেল জামিল সহ পরিবারের ১৬ জন
সদস্য ঘনিষ্ঠজন ।
ভগ্নিপতি আব্দুর রব ও তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে
যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্তার
স্ত্রী আরজু মনি এবং আব্দুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্ণেল জামিল সহ পরিবারের ১৬ জন
সদস্য ঘনিষ্ঠজন ।
এসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণী
রক্ষা পান।
রক্ষা পান।
যে কাজটি বর্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীও করার সাহস করেনি, সেটিই করল এ দেশের
কিছু কুলাঙ্গার । স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন
স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তিনি যখন
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গঠন করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তখনই ঘটানো
হয় এ নৃশংস ঘটনা ।
কিছু কুলাঙ্গার । স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন
স্বাধীনতা আন্দোলনের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তিনি যখন
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গঠন করতে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তখনই ঘটানো
হয় এ নৃশংস ঘটনা ।
পরিসমাপ্তিতে ঘটে একটি ইতিহাসের । সে থেকেই বঙ্গবন্ধুর নাম বাংলার আকাশে বাতাসে
ও মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকরা, যা কোনদিন হয়নি,
হবেও না পৃথিবীতে বাঙালি জাতি যতদিন থাকবে ততদিনই থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম, ও তার
কর্ম ।
ও মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে ষড়যন্ত্রকারী ঘাতকরা, যা কোনদিন হয়নি,
হবেও না পৃথিবীতে বাঙালি জাতি যতদিন থাকবে ততদিনই থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম, ও তার
কর্ম ।
আজ শোকাবহ ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস । বাঙালি জাতির শোকের দিন । ইতিহাসের
কলঙ্কিত কালো দিন । ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল এ কলঙ্কিত অধ্যায় ।
কলঙ্কিত কালো দিন । ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল এ কলঙ্কিত অধ্যায় ।
বাঙালির মুক্তির মহানায়ক স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে যখন ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা থেকে
দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তখনই ঘটানো হয়
ইতিহাসের নিমর্ম এই ঘটনা ।
দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তখনই ঘটানো হয়
ইতিহাসের নিমর্ম এই ঘটনা ।
সেই নিমর্ম ঘটনার বর্ণনায় কবি রফিক আজাদ তার ‘এই সিঁড়ি’ কবিতায় লিখেছেন- ‘সিঁড়ি
ভেঙে রক্ত নেমে গেছে-/ স্বপ্নের স্বদেশ ব্যেপে/ সবুজ শস্যের মাঠ বেয়ে/ অমল
রক্তের ধারা বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে’
ভেঙে রক্ত নেমে গেছে-/ স্বপ্নের স্বদেশ ব্যেপে/ সবুজ শস্যের মাঠ বেয়ে/ অমল
রক্তের ধারা বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে’
প্রতি বছর দিনটি আসে বাঙালির হৃদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে । পুরো জাতি
গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করে ।
গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করে ।
আজ জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে পালন করা হবে । সরকারি ও
বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । এছাড়া আওয়ামী লীগসহ
বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ।
বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে । এছাড়া আওয়ামী লীগসহ
বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ।
বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর গোটা বিশ্বে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া । হত্যাকারীদের
প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল ঘৃণা । পশ্চিম জার্মানির নেতা নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী উইলি
ব্রানডিট বলেছিলেন, যে বাঙ্গালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না । যে বাঙালি শেখ
মুজিবকে হত্যা করতে পারে সে যে কোন জঘন্য কাজ করতে পারে ।
প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল ঘৃণা । পশ্চিম জার্মানির নেতা নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী উইলি
ব্রানডিট বলেছিলেন, যে বাঙ্গালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না । যে বাঙালি শেখ
মুজিবকে হত্যা করতে পারে সে যে কোন জঘন্য কাজ করতে পারে ।
- যতদিনই রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান,
- ততদিনই রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান ।
এই বলে আমি আজকের আমার এই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি । ধন্যবাদ সবাইকে
।
।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
4. জাতীয় শোক দিবস লিখিত নমুনা ভাষণ
যতকাল রবে পদ্মা যমুনা
গৌরী মেঘনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান
১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান, অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথি
বৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধিমন্ডলী আসসালামু আলাইকুম ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান, অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথি
বৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধিমন্ডলী আসসালামু আলাইকুম ।
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এততম শাহাদাত বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধার
সাথে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ।
সাথে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে রাজধানী ঢাকায় সংঘটিত হয়েছিল
ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় ।
ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় ।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন ।
সেদিন তিনি ছাড়াও ঘাতকের বুলেট নিহত হন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব । এছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন ।
১৫ আগস্ট নিহত হন মুজিব পরিবারের সদস্যবৃন্দ
- ছেলেঃ শেখ কামাল,শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল ।
- পুত্রবধুঃ সুলতালা কালাম ও রোজী কামাল ।
- ভাইঃ শেখ আবু নাসের ।
- ভগ্নিপতিঃ আব্দুল রব সেরনিয়াবাত ।
- ভাগনেঃ শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি ।
-
বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসেন কর্নেল জামিল উদ্দীন তিনিও তখন নিহত
হন ।
আজকের এই শোক সভায় সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ।
বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর গোটা বিশ্বে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া
হত্যাকারীদের প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল ঘৃণার বিষবাষ্প ।
হত্যাকারীদের প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল ঘৃণার বিষবাষ্প ।
পশ্চিম জার্মানির নেতা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী উইলি ব্রান্ডিট বলেছিলেন-
মুজিবকে হত্যার পর বাঙ্গালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না যে বাঙালি শেখ মুজিব
কে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে ।
কে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে ।
দ্য টাইমস অফ লন্ডনের ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়-
সবকিছু সত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সব সময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাকে ছাড়া
বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব ।
বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব ।
একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে-
6. ১৫ই আগস্ট ঘটনায় জড়িত ছিলেন যারা
7. ১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা
১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা
বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি
হিসেবে বিবেচনা করবে ।
হিসেবে বিবেচনা করবে ।
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ
-
শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত
ব্যক্তিদের আইনি ব্যবস্থা থেকে অনাক্রম্যতা বা শাস্তি এড়াবার
ব্যবস্থা প্রদানের জন্য বাংলাদেশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ আইন প্রণয়ন
করা হয়েছিল । -
১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক
আহমেদ এ ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন । - এই হত্যাকাণ্ডের পর বরগুনায় এর প্রথম প্রতিবাদ হয়।
-
মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মৃধা বরগুনা এসডিও সিরাজ উদ্দিন আহমেদের
সহায়তায় ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন
ছাত্রলীগ কর্মীর ঝটিকা মিছিল করেন । -
পরবর্তীতে এটি বরগুনার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা
কর্মীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে । -
কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, খুলনা, যশোর, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, নেত্রকোনার,
মোহনগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও সহ বিভিন্ন জায়গায় ১৫ ই আগস্ট সকালে
প্রতিবাদ হয় । -
পরবর্তীতে আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ১৭ মুজিব ভক্তকে সাতটি ফ্রন্টে ভাগ
করে ২২ মাস প্রতিরোধ যুদ্ধ করেন । শেরপুর সদর, শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও
নকলা উপজেলায় ৫০০ তরুণের ‘শেরপুরের ৫০০ প্রতিবাদী’র বিদ্রোহ ও লড়াই
আলোচিত ছিল । -
১৮ই অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টার ও দেয়াল লিখনের মাধ্যমে
প্রতিবাদ জানাই ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন । ২০ অক্টোবর প্রতিবাদ
সমাবেশ হয় । -
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার
নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ২ অক্টোবর
ধানমন্ডি থানায় এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়। - ১২ নভেম্বর সংসদে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয় ।
-
১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত সহকারী মুজিব
হত্যাকান্ডের মমলা করেন । -
১ মার্চ ১৯৯৭ সালে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার কার্য শুরু
হয় । -
৮ নভেম্বর ১৯৯৮ সালে জেলা ও দায়রা জজ কাজি গোলাম রসুল ১৫ জনকে
মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেন । -
১৪ নভেম্বর ২০০০ সালে হাইকোর্টে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের দুই
বিচারক বিচারপতি রুহুল আমিন এবং বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক দ্বিমতে
বিভক্ত রায় ঘোষণা করেন । -
এরপর তৃতীয় বিচারপতি ফজলুল করিম ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন । - এর পর পাঁচজন আসামি আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে ।
-
২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল তৃতীয় বিচারক মোঃ ফজলুল করিম ২৫ দিন শুনানির
পর অভিযুক্ত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিত করেন । -
২০০৯ সালে ২৯ দিন শুনানির পর ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচজন
বিচারপতি রায় ঘোষণায় আপিল খারিজ করে ১২ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন । -
আপিল বিভাগ ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর থেকে টানা ২৯ কর্ম দিবস শুনানি করার
পর ১৯ নভেম্বর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন । -
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগে আসামিদের রিভিউ পিটিশন দাখিল এবং
তিন দিন শুনানি শেষে ২৭ জানুয়ারি চার বিচারপতি রিভিউ পিটিশনও খারিজ
করেন । -
এদেরই মধ্যরাতের পর ২৮ জানুয়ারি পাঁচঘাতকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা
হয়। -
ঘাতকের একজন বিদেশে পলাতক অবস্থায় মারা যায় এবং ৬ জন বিদেশে পলাতক
রয়েছে। - এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি ৩৪ বছর পর বাস্তবায়িত হয়।
বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষায় দীর্ঘ সংগ্রামী জীবন আদর্শ ধারণ করে সবাই
মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নেরা সম্প্রদায়িক, ক্ষুদা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার
বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি ।
মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নেরা সম্প্রদায়িক, ক্ষুদা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার
বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি ।
আসুন আমরা জাতির পিতা হারানো শোককে শক্তিতে পরিণত করি। সবাই মিলে
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার
বাংলাদেশ গড়ে তুলি ।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার
বাংলাদেশ গড়ে তুলি ।
জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার
5. ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা ২০২৩
ভুমিকা
যতদিন রবে পদ্মা যমুনা
গৌরি মেঘনা বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান
দ্বিধাবিভক্ত পরাধীন জাতিকে সুসংগঠিত করে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত
করা এবং সঠিক নেতৃত্ব দেওয়া সহজ কাজ নয় । অথচ এই কঠিন কাজটি বঙ্গবন্ধু
খুব সহজেই করতে পেরেছিলেন । স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম সবই
পরিচালনা করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান অসীম দক্ষতা ও যোগ্যতায় । তার ছিল
মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার মতো অসাধারণ বজ্রকন্ঠ । অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে
তার বিপুল খ্যাতি ছিল । অথচ সবার সেরা আর বাঙালির প্রাণপ্রিয় এই নেতাকে
ঘাতকেরা কি নিষ্ঠুরভাবেই না হত্যা করলেন!
করা এবং সঠিক নেতৃত্ব দেওয়া সহজ কাজ নয় । অথচ এই কঠিন কাজটি বঙ্গবন্ধু
খুব সহজেই করতে পেরেছিলেন । স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম সবই
পরিচালনা করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান অসীম দক্ষতা ও যোগ্যতায় । তার ছিল
মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার মতো অসাধারণ বজ্রকন্ঠ । অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে
তার বিপুল খ্যাতি ছিল । অথচ সবার সেরা আর বাঙালির প্রাণপ্রিয় এই নেতাকে
ঘাতকেরা কি নিষ্ঠুরভাবেই না হত্যা করলেন!
সেই সাথে ঘাতকেরা শুধু একজন মানুষকেই হত্যা করেনি, হত্যা করেছে ১৬ কোটি
বাঙালির পিতাকে, হত্যা করেছে সমাজের নিরীহ, অত্যাচারিত, শোষিত,
নির্যাতিত সকল মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার সত্য প্রতীককে । ঘাতকেরা বাঙালি
জাতি এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায় রচিত করেছিল ১৯৭৫
সালের ১৫ই আগস্টে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশ
রাষ্ট্রের চিত্রকর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মাধ্যমে ।
১৫ই আগস্ট জাতির জীবনের এক কলঙ্কময় দিন । এই দিবসটি জাতীয় শোক দিবস
হিসেবে পালন করে বাঙালি জাতি ।
বাঙালির পিতাকে, হত্যা করেছে সমাজের নিরীহ, অত্যাচারিত, শোষিত,
নির্যাতিত সকল মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার সত্য প্রতীককে । ঘাতকেরা বাঙালি
জাতি এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায় রচিত করেছিল ১৯৭৫
সালের ১৫ই আগস্টে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশ
রাষ্ট্রের চিত্রকর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মাধ্যমে ।
১৫ই আগস্ট জাতির জীবনের এক কলঙ্কময় দিন । এই দিবসটি জাতীয় শোক দিবস
হিসেবে পালন করে বাঙালি জাতি ।
বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় শোক দিবস
বাঙালি জাতির জীবনে যে অল্প কয়েকজন মানুষ ইতিহাস সৃষ্টি করতে পেরেছেন
তাঁদের মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তার উদার আহ্বানে
একদিন জেগে উঠেছিল সমগ্র বাঙালি জাতি । ত্রিশ লক্ষ বাঙালির রক্তে
রঞ্জিত এ বাংলাদেশের তিনি হয়ে উঠেছিলেন মুক্তির প্রতীক, হয়ে উঠেছিলেন
সকল প্রেরণার উৎসব । পৃথিবীর খুব কম রাজনৈতিক নেতা তাঁর মতো এতো ঈষণীয়
জনপ্রিয়তা লাভ করতে পেরেছিলেন । অথচ তাকেই সেনাবাহিনীর বিপদগামী কিছু
সামরিক অফিসার কি নির্মমভাবেই না হত্যা করলেন ।
তাঁদের মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । তার উদার আহ্বানে
একদিন জেগে উঠেছিল সমগ্র বাঙালি জাতি । ত্রিশ লক্ষ বাঙালির রক্তে
রঞ্জিত এ বাংলাদেশের তিনি হয়ে উঠেছিলেন মুক্তির প্রতীক, হয়ে উঠেছিলেন
সকল প্রেরণার উৎসব । পৃথিবীর খুব কম রাজনৈতিক নেতা তাঁর মতো এতো ঈষণীয়
জনপ্রিয়তা লাভ করতে পেরেছিলেন । অথচ তাকেই সেনাবাহিনীর বিপদগামী কিছু
সামরিক অফিসার কি নির্মমভাবেই না হত্যা করলেন ।
এজন্য এই দিনটিকে বাংলাদেশের ইতিসাহে সবচেয়ে কলঙ্কিত দিবস হিসেবে দেখা
হয় । ঘাতকেরা সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকারকে হত্যা করার
মাধ্যমে বাঙালির যে অপূরনীয় ক্ষতি করেছেন তাঁর প্রতিদান বাঙালি হয়তো
কোনোদিন কোনোসময়ে দিতে পারবে না । বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি
একজন নেতা হিসেবে একজন রাজনৈতিক কর্মীর আদর্শ, পিতা হিসেবে একটি জাতির
আশ্রয় আর ভরসার স্থল, পাহাড়ের ন্যায় কঠিন হয়ে সত্য আর কুসুমের ন্যায়
কোমল হয়ে একজন অভাবী দুঃখী মানুষের ভরসার প্রতীক ।
হয় । ঘাতকেরা সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকারকে হত্যা করার
মাধ্যমে বাঙালির যে অপূরনীয় ক্ষতি করেছেন তাঁর প্রতিদান বাঙালি হয়তো
কোনোদিন কোনোসময়ে দিতে পারবে না । বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি
একজন নেতা হিসেবে একজন রাজনৈতিক কর্মীর আদর্শ, পিতা হিসেবে একটি জাতির
আশ্রয় আর ভরসার স্থল, পাহাড়ের ন্যায় কঠিন হয়ে সত্য আর কুসুমের ন্যায়
কোমল হয়ে একজন অভাবী দুঃখী মানুষের ভরসার প্রতীক ।
এজন্য ঘাতকেরা সহ সবাই জানত এই মানুষটি পারে না এমন কোন অসাধ্য কাজ এই
বাংলায় নেই । সুতরাং সদ্য স্বাধীনতা অর্জন করা স্বাধীন ভূ-খন্ড
বাংলাদেশের অগ্রগতি থামাতে কিংবা বাংলাদেশের জয়রথ বন্ধ করতে এই
মানুষটিকে নির্মূল করা খুব দরকার । ঘাতকের বুলেটের আঘাতে শেখ
মুজিবের দেহাবসান হয়ে থাকলেও শেখ মুজিবের অসসান এই বাংলা থেকে কখনোই
সম্ভব নয় । তিনি আজীবন তাঁর কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন সকল বাঙালি
অন্তরের অন্তঃস্থলে । অকৃতজ্ঞ বাঙালি তাঁর কৃতজ্ঞতার মূল্য দিতে
সারাজীবন ধরে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে যাবে তাঁদের প্রাণপ্রিয় এই নেতাকে ।
সেই জন্য ১৫ই আগস্ট বাঙালির জীবনের সবচেয়ে বিষাদময়, কলঙ্কিত এবং শোকের
দিন । এদিন বাঙালি দুঃখ ভরাক্রান্ত মনে স্মরণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানকে ।
বাংলায় নেই । সুতরাং সদ্য স্বাধীনতা অর্জন করা স্বাধীন ভূ-খন্ড
বাংলাদেশের অগ্রগতি থামাতে কিংবা বাংলাদেশের জয়রথ বন্ধ করতে এই
মানুষটিকে নির্মূল করা খুব দরকার । ঘাতকের বুলেটের আঘাতে শেখ
মুজিবের দেহাবসান হয়ে থাকলেও শেখ মুজিবের অসসান এই বাংলা থেকে কখনোই
সম্ভব নয় । তিনি আজীবন তাঁর কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন সকল বাঙালি
অন্তরের অন্তঃস্থলে । অকৃতজ্ঞ বাঙালি তাঁর কৃতজ্ঞতার মূল্য দিতে
সারাজীবন ধরে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে যাবে তাঁদের প্রাণপ্রিয় এই নেতাকে ।
সেই জন্য ১৫ই আগস্ট বাঙালির জীবনের সবচেয়ে বিষাদময়, কলঙ্কিত এবং শোকের
দিন । এদিন বাঙালি দুঃখ ভরাক্রান্ত মনে স্মরণ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানকে ।
প্রেক্ষাপট
স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ১১ই জানুয়ারি তারিখ হতে ১৯৭৫
সালের ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন কার্যকর ছিল । এ
সময়ে অর্থাৎ মাত্র ৩বছর ৮ মাসের মাথায় স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী
শেখ মুজিবের একক ও সর্বাত্মক নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের পতন
ঘটে ও নেতৃত্বের অবসান হয় । নিচে এর জন্য দায়ী কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা
হলো ।
সালের ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন কার্যকর ছিল । এ
সময়ে অর্থাৎ মাত্র ৩বছর ৮ মাসের মাথায় স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী
শেখ মুজিবের একক ও সর্বাত্মক নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের পতন
ঘটে ও নেতৃত্বের অবসান হয় । নিচে এর জন্য দায়ী কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা
হলো ।
১। সেনাবাহিনীর প্রতি উপেক্ষা
রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা গহণের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের প্রতি সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি ।
পাকিস্তান ফেরত সামরিক অফিসারদের প্রতি বৈরী মনোভাব ও আওয়ামী লীগ
সমর্থিত অফিসারদের দ্রুত পদোন্নতি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়-বরাদ্দের
পরিমাণ ক্রামান্বয়ে হ্রাসকরণ এবং সামরিক বাহিনীর সমান্তরাল
রক্ষীবাহিনী তৈরি ও এর দ্রুত উন্নয়ন এবং এর উপর সরকারের নির্ভরশীলতা
সামরিক বাহিনীর লোকদের মধ্যে স্বাভাবিক কারণেই প্রচন্ড ক্ষোভের সঞ্চার
করে ।
সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের প্রতি সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি ।
পাকিস্তান ফেরত সামরিক অফিসারদের প্রতি বৈরী মনোভাব ও আওয়ামী লীগ
সমর্থিত অফিসারদের দ্রুত পদোন্নতি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়-বরাদ্দের
পরিমাণ ক্রামান্বয়ে হ্রাসকরণ এবং সামরিক বাহিনীর সমান্তরাল
রক্ষীবাহিনী তৈরি ও এর দ্রুত উন্নয়ন এবং এর উপর সরকারের নির্ভরশীলতা
সামরিক বাহিনীর লোকদের মধ্যে স্বাভাবিক কারণেই প্রচন্ড ক্ষোভের সঞ্চার
করে ।
২। রাজনৈতিক কারণ
১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী সংগঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের
সমস্ত রাজনৈতিক তৎপরতা ও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একদলীয়
শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে গনতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করে । ফলে
জনসাধারণের মনে এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয় । তাছাড়া সংবিধানের চতুর্থ
সংশোধনীর পর দেশে স্বৈরশাসন প্রবর্তন করেন, ৪টি বাদে সব সংবাদপত্র
বন্ধ, বিচার বিভাগের ক্ষমতা হ্রাস এবং সর্বোপরি জনগণের মৌলিক অধিকার
খর্ব করার বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করায় আওয়ামী লীগ সরকার জনসাধারণ হতে
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ।
সমস্ত রাজনৈতিক তৎপরতা ও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একদলীয়
শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে গনতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করে । ফলে
জনসাধারণের মনে এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয় । তাছাড়া সংবিধানের চতুর্থ
সংশোধনীর পর দেশে স্বৈরশাসন প্রবর্তন করেন, ৪টি বাদে সব সংবাদপত্র
বন্ধ, বিচার বিভাগের ক্ষমতা হ্রাস এবং সর্বোপরি জনগণের মৌলিক অধিকার
খর্ব করার বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করায় আওয়ামী লীগ সরকার জনসাধারণ হতে
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ।
৩। সামরিক অভ্যুস্থান
সেনাবাহিনীর কতিপয় অফিসারের সঙ্গে সরকারের অপ্রত্যাশিত আচরণের কারণে
তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয় । তাছাড়া আরো নানাবিধ কারণে সেই সময়ে
জনগণের মনে অসন্তোষ দেখা দেয় এবং সরকারের জনপ্রিয়তা দিন দিন হ্রাস পেতে
থাকে ।
তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয় । তাছাড়া আরো নানাবিধ কারণে সেই সময়ে
জনগণের মনে অসন্তোষ দেখা দেয় এবং সরকারের জনপ্রিয়তা দিন দিন হ্রাস পেতে
থাকে ।
খুনিরা সেদিন যাদের হত্যা করে
১৫ই আগস্টের ভোরে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান নিজ
বাসভবনে সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চাভিলাষী বিশ্বাস ঘাতক অফিসারদের হাতে
নিহন হন । সেদিন বঙ্গবন্ধুর সহধমিণী মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা,
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র মুক্তিযোদ্ধা লে. শেখ কামাল, পুত্র লে. জামাল,
কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী
কামাল,বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রব
সেরনিয়াবাত ও তাঁর কন্যা বেবী সেরনিয়াবাত, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত,
দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভ্রাতুস্পুত্র শহীদ সেরনিয়াবাত,
বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্ণেল জামিল
আহমেদ এবং ১৪ বছরের কিশোর নাঈম খান রিন্টু সহ ১৬ জনকে ঘাতকেরা হত্যা
করে । এ সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহনের দুই কন্যা বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাহিরে থাকায় তারা
বেঁচে যান ।
বাসভবনে সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চাভিলাষী বিশ্বাস ঘাতক অফিসারদের হাতে
নিহন হন । সেদিন বঙ্গবন্ধুর সহধমিণী মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা,
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র মুক্তিযোদ্ধা লে. শেখ কামাল, পুত্র লে. জামাল,
কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী
কামাল,বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রব
সেরনিয়াবাত ও তাঁর কন্যা বেবী সেরনিয়াবাত, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত,
দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভ্রাতুস্পুত্র শহীদ সেরনিয়াবাত,
বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্ণেল জামিল
আহমেদ এবং ১৪ বছরের কিশোর নাঈম খান রিন্টু সহ ১৬ জনকে ঘাতকেরা হত্যা
করে । এ সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহনের দুই কন্যা বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাহিরে থাকায় তারা
বেঁচে যান ।
১৫ই আগস্ট পরবর্তী ঘটনাসমূহ
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ হবার
পর দেশে সামরিক শাসন জারি করা হয় । গণতন্ত্রকে হত্যা করে মৌলিক অধিকার
কেড়ে নেওয়া হয়, শুরু হয় হত্যা ও ষড় যন্ত্রের রাজনীতি, কেড়ে নেয় জনগণের
ভোটের অধিকার ।
পর দেশে সামরিক শাসন জারি করা হয় । গণতন্ত্রকে হত্যা করে মৌলিক অধিকার
কেড়ে নেওয়া হয়, শুরু হয় হত্যা ও ষড় যন্ত্রের রাজনীতি, কেড়ে নেয় জনগণের
ভোটের অধিকার ।
বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষার জন্য হত্যাকারীদের বিচারের বিধান রয়েছে,
কিন্তু বাংলাদেশে জাতির জনকের আত্মাস্বীকৃত খুনীদের বিচার থেকে রেহাই
দেবার জন্য ২৬শে সেপ্টেম্বর এক সামরিক অধ্যাদেশ (ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স) জারি করা হয় । জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক শাসনের মাধ্যমে অবৈধভাবে
ক্ষমতা দখল করে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স নামে এক কুখ্যাত আইন সংবিধান সংযুক্ত করে । খুনিদের বিদেশে
অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে ।
কিন্তু বাংলাদেশে জাতির জনকের আত্মাস্বীকৃত খুনীদের বিচার থেকে রেহাই
দেবার জন্য ২৬শে সেপ্টেম্বর এক সামরিক অধ্যাদেশ (ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স) জারি করা হয় । জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক শাসনের মাধ্যমে অবৈধভাবে
ক্ষমতা দখল করে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স নামে এক কুখ্যাত আইন সংবিধান সংযুক্ত করে । খুনিদের বিদেশে
অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে ।
জড়িতদের বিচার কার্যক্রম
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় জাতির জনক শেখ
মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যগণকে হত্যার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের
করা হয় । ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ইনডেনমিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয় । ১ মার্চ ১৯৯৭ ঢাকায় জেলা ও দারয়া জজ আদালতে বিচার
কার্য শুরু হয় । ৮ নভেম্বত ১৯৯৮ সালে জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসূল
৭৬ পৃষ্ঠার রায় ঘোষনায় ১৫ জনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন । ১৪ নভেম্বর
২০০০ সালে হাইকোর্টে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলে দুই বিচারক বিচারপতি
মোঃ রুহুল আমিন এবং বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক দ্বিমতে বিভক্ত রায়
ঘোষণা করেন । এরপর তৃতীয় বিচারপতি মোঃ ফজলুল করিম ১২ জনের বিরুদ্ধে
মৃত্যুদন্ড বহাল রাখার চূরান্ত সিদ্ধান্ত দেন । এরপর ৫জন আসামী আপিল
বিভাগে লিভ টু আপিল করে ।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় জাতির জনক শেখ
মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যগণকে হত্যার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের
করা হয় । ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ইনডেনমিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয় । ১ মার্চ ১৯৯৭ ঢাকায় জেলা ও দারয়া জজ আদালতে বিচার
কার্য শুরু হয় । ৮ নভেম্বত ১৯৯৮ সালে জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসূল
৭৬ পৃষ্ঠার রায় ঘোষনায় ১৫ জনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন । ১৪ নভেম্বর
২০০০ সালে হাইকোর্টে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলে দুই বিচারক বিচারপতি
মোঃ রুহুল আমিন এবং বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক দ্বিমতে বিভক্ত রায়
ঘোষণা করেন । এরপর তৃতীয় বিচারপতি মোঃ ফজলুল করিম ১২ জনের বিরুদ্ধে
মৃত্যুদন্ড বহাল রাখার চূরান্ত সিদ্ধান্ত দেন । এরপর ৫জন আসামী আপিল
বিভাগে লিভ টু আপিল করে ।
২০০২-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময় মামলাটি
কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় । ২০০৭ সালে শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠিত হয়
। ২০০৯ সালে ২৯দিন শুনানির পর ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচজন
বিচারপতি রায় ঘোষনায় আপিল খারিজ করে ১২ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন ।
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগে আসামীদের রিভিউ পিটিশন দাখিল এবং
তিন দিন শুনানির শেষে ২৭ জানুয়ারী চার বিচারপতি রিভিউ পিটিশও খারিজ
করেন । ওইদিন মধ্যরাতের পর ২৮ জানুয়ারি পাঁচ ঘাতকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর
করা হয় ।
কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় । ২০০৭ সালে শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠিত হয়
। ২০০৯ সালে ২৯দিন শুনানির পর ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতিসহ পাঁচজন
বিচারপতি রায় ঘোষনায় আপিল খারিজ করে ১২ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন ।
২০১০ সালের ২ জানুয়ারি আপিল বিভাগে আসামীদের রিভিউ পিটিশন দাখিল এবং
তিন দিন শুনানির শেষে ২৭ জানুয়ারী চার বিচারপতি রিভিউ পিটিশও খারিজ
করেন । ওইদিন মধ্যরাতের পর ২৮ জানুয়ারি পাঁচ ঘাতকের মৃত্যুদন্ড কার্যকর
করা হয় ।
ঘাতকদের একজন বিদেশে পলাতক অবস্থায় মারা গেছে এবং ছয়জন বিদেশে পলাতক
রয়েছে । এই নৃশংস হত্যাকান্ডের দাবি ৩৪ বছর পর বাস্তবায়িত হলো ।
রয়েছে । এই নৃশংস হত্যাকান্ডের দাবি ৩৪ বছর পর বাস্তবায়িত হলো ।
6. ১৫ই আগস্ট ঘটনায় জড়িত ছিলেন যারা
সেদিন এই ঘৃণিত হত্যাকান্ড অংশ নিয়েছিল কয়েকজন তরুণ অসাধু সেনা
কর্মকর্তা । এদের মধ্যে মোট ১২ জন আসামীকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান
করা হয় । এরা হলেনঃ-
কর্মকর্তা । এদের মধ্যে মোট ১২ জন আসামীকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান
করা হয় । এরা হলেনঃ-
- সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক রহমান
- সুলতান শারিয়ার রশিদ খান
- বজলুল হুদা
- শরিফুল হক ডালিম
- এ এম রাশেদ চৌধুরী
- খন্দকার আব্দুল রশিদ
- এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার)
- এম এইচ এম বি নূর চৌধুরী
- আজিজ পাশা (মৃত)
- মুহিউদ্দিন আহমেদ
- রিসালদার মোসলেম উদ্দিন
- আব্দুল মাজেদ
এদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে ।
উপসংহার
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ছিল বাঙালি জাতির জীবনের একটি কালো অধ্যায় । তাই
জাতি এই দিনটি পালন করে শোকের মধ্য দিয়ে । কেননা যিনি জাতির জনক তাঁকেই
যদি এভাবে নির্মমভাবে খুন হতে হয় তাহলে এর বড় বেদনার মুহুর্ত ঐ জাতির
জন্য আর হয় না । তাই দিনটি এ দেশের ১৬ কোটি মানুষ গভীর বেদনার সঙ্গে
স্মরণ করে ।
জাতি এই দিনটি পালন করে শোকের মধ্য দিয়ে । কেননা যিনি জাতির জনক তাঁকেই
যদি এভাবে নির্মমভাবে খুন হতে হয় তাহলে এর বড় বেদনার মুহুর্ত ঐ জাতির
জন্য আর হয় না । তাই দিনটি এ দেশের ১৬ কোটি মানুষ গভীর বেদনার সঙ্গে
স্মরণ করে ।
7. ১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা
বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমি ১৫ই আগস্ট উপস্থিত বক্তৃতা দেওয়ার জন্য নমুনা
স্ক্রিপ্ট লিখে দিলাম আশা করি আপনাদের কাজে আসবে ।
স্ক্রিপ্ট লিখে দিলাম আশা করি আপনাদের কাজে আসবে ।
১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা
যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই ।
হ্যাঁ, মাননীয় সভাপতি ও সুধীবৃন্দ এটা শুধু নিছক গান নয়, সমগ্র বাঙালি
জাতির হৃদয়ের বেদনার্ত হাহাকারের সুর । যে সুরে ধ্বনিত হয়েছে
সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ, পিতার সকরুণ বেদনা, সমগ্র জাতির কন্ঠে এই
বেদনাবিধুর সুর ধ্বনিত হয়েছে- বিশ্ববিধাতার কাছে সকরুণ ফরিয়াদ হিসেবে
।
জাতির হৃদয়ের বেদনার্ত হাহাকারের সুর । যে সুরে ধ্বনিত হয়েছে
সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ, পিতার সকরুণ বেদনা, সমগ্র জাতির কন্ঠে এই
বেদনাবিধুর সুর ধ্বনিত হয়েছে- বিশ্ববিধাতার কাছে সকরুণ ফরিয়াদ হিসেবে
।
সম্মানিত সুধীবৃন্দ, আজ ১৫ই আগস্ট । জাতীয় শোক দিবস। এই শোক সমগ্র
জাতির । এ দিনে আমরা হারিয়েছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । আমরা এমন এক মহান নেতাকে
হারিয়েছি যা কখনো শোকের মাধ্যমে পূরণ হবার নয় । মহান নেতার শুভাগমনের
মধ্য দিয়ে আকাশ-বাতাসে মানুষের মুক্তির বাণি ধ্বনিত হতো ।
জাতির । এ দিনে আমরা হারিয়েছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । আমরা এমন এক মহান নেতাকে
হারিয়েছি যা কখনো শোকের মাধ্যমে পূরণ হবার নয় । মহান নেতার শুভাগমনের
মধ্য দিয়ে আকাশ-বাতাসে মানুষের মুক্তির বাণি ধ্বনিত হতো ।
চিরকাল যে মহান নেতা মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন শোষিত বঞ্চিত
মানুষকে জীবনের জয়গান শুনিয়েছেন এবং বাংলার মানুষকে ভালোবেসে
বঙ্গবন্ধু হতে পেরেছিলেন। সেই বাংলার বন্ধুকে, ১৬ কোটি মানুষের
স্বপ্ন জীবনের পথপ্রদর্শককে আমরা হারিয়েছি। এর চেয়ে দুঃখজনক,
বেদনা-দায়ক আর কি হতে পারে! জাতির জীবনে এর চেয়ে শোকময় ঘটনা দ্বিতীয়
টি নেই ।
মানুষকে জীবনের জয়গান শুনিয়েছেন এবং বাংলার মানুষকে ভালোবেসে
বঙ্গবন্ধু হতে পেরেছিলেন। সেই বাংলার বন্ধুকে, ১৬ কোটি মানুষের
স্বপ্ন জীবনের পথপ্রদর্শককে আমরা হারিয়েছি। এর চেয়ে দুঃখজনক,
বেদনা-দায়ক আর কি হতে পারে! জাতির জীবনে এর চেয়ে শোকময় ঘটনা দ্বিতীয়
টি নেই ।
সুধী, সমগ্র জাতির জন্য আজ কান্নাভরা বেদনার দিন । আপনারা জানেন, তিনিই
সেই মহান মুক্তিদাতা যিনি তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষকে মুক্তির
উদ্দেশ্য স্বাধীন দেশের প্রত্য্য নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন । তার
আহ্বানেই সমগ্র জাতি একই লক্ষ্যে অভিন্ন সত্তায় মিলিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে
ঝাঁপিয়ে পড়ে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতার যুদ্ধ এক
অভিন্ন ইতিহাস ।
সেই মহান মুক্তিদাতা যিনি তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষকে মুক্তির
উদ্দেশ্য স্বাধীন দেশের প্রত্য্য নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন । তার
আহ্বানেই সমগ্র জাতি একই লক্ষ্যে অভিন্ন সত্তায় মিলিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে
ঝাঁপিয়ে পড়ে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতার যুদ্ধ এক
অভিন্ন ইতিহাস ।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ পাকিস্তানি
সৌরাচারি শাসনের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন । ত্রিশ লক্ষ
মানুষ শহিদ হন । জীবনের বিনিময়ে বাঙালিরা স্বাধীনতা অর্জন করেন ।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ।
সৌরাচারি শাসনের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন । ত্রিশ লক্ষ
মানুষ শহিদ হন । জীবনের বিনিময়ে বাঙালিরা স্বাধীনতা অর্জন করেন ।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ।
সমবেত সুধী, আপনারা জানেন যে, এ মহান নেতার মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক
মৃত্যু নয় । স্বাধীন বাংলাদেশের দুষ্কৃতিকারী কিছু সংখ্যক সামরিক আমলা,
ক্ষমতালোভী দেশ বিরোধীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে ১৯৭৫
সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো
অধ্যায়ের সূচনা করা হয় । বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড কেবল ব্যক্তি মুজিবকে
হত্যা করে নি, বরং এটি ছিল একটি রাজনৈতিক দর্শনকে নিশ্চিহ্ন করবার
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিলো।
মৃত্যু নয় । স্বাধীন বাংলাদেশের দুষ্কৃতিকারী কিছু সংখ্যক সামরিক আমলা,
ক্ষমতালোভী দেশ বিরোধীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে ১৯৭৫
সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো
অধ্যায়ের সূচনা করা হয় । বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড কেবল ব্যক্তি মুজিবকে
হত্যা করে নি, বরং এটি ছিল একটি রাজনৈতিক দর্শনকে নিশ্চিহ্ন করবার
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিলো।
একাত্তরের পরাজিত রাজাকার, আলবদর, পরাজিত পাকিস্তান এবং সাম্রাজ্যবাদের
নী নকশায় ইতিহাসের এই জঘন্যতম নৃশংস হত্যাকান্ড । এই ঘটনার মাধ্যমে
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বিরোধী
রাষ্ট্র কায়েম করে ।
নী নকশায় ইতিহাসের এই জঘন্যতম নৃশংস হত্যাকান্ড । এই ঘটনার মাধ্যমে
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বিরোধী
রাষ্ট্র কায়েম করে ।
সুধী, এ-কথা আমরা সকলেই জানি যে-বিশবের এমন কিছু দেশ আছে যাদের
স্বাধীনতার জন্য এক একজন মহিরুহ সদৃশ দেশনেতার অবদান সর্বাধিক মর্যাদা
ও স্বীকৃতি পায় । এই ব্যক্তিই জাতির জনক ও দেশের স্থপতিরূপে নন্দিত হন
।
স্বাধীনতার জন্য এক একজন মহিরুহ সদৃশ দেশনেতার অবদান সর্বাধিক মর্যাদা
ও স্বীকৃতি পায় । এই ব্যক্তিই জাতির জনক ও দেশের স্থপতিরূপে নন্দিত হন
।
বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান । যার নেতৃত্বেই পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটি স্বাধীন দেশের জম্ম হয়
তার নাম বাংলাদেশ । বাংলাদেশের নামের সাথে, ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মিশে আছে, স্বর্ণাক্ষরে লিখিত হয়েছে,
অবিনশ্বর ও চির অমর সে নাম । যেমন আছে
রহমান । যার নেতৃত্বেই পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটি স্বাধীন দেশের জম্ম হয়
তার নাম বাংলাদেশ । বাংলাদেশের নামের সাথে, ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মিশে আছে, স্বর্ণাক্ষরে লিখিত হয়েছে,
অবিনশ্বর ও চির অমর সে নাম । যেমন আছে
- আমেরিকায় আব্রাহামলিংকন ।
- ভিয়েতনামে হোচিমিন ।
- চিনে মাওসেতুঙ ।
- তুরুস্কে কামাল আতাতুর্ক ।
- ভারতবর্ষে মহাত্মা গান্ধী ।
- দক্ষিণ আফ্রিকায় নেলসন ম্যান্ডেল ।
- কিউবায় ফিদেল ক্যাস্ট্রো।
- ফিলিস্তিনে ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ ।
এই মহান ব্যক্তিরা ইতিহাসের বাঁক ঘুরে ঘুরে কালকালান্তর মানুষের মাঝে
চির অবিনশ্বর, অক্ষয় অমর । মহানকাল ধরে বাঙালি তথা বাংলাদেশের
মানুষের তাঁদের অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক, বাংলার প্রাণ
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবেঃ
চির অবিনশ্বর, অক্ষয় অমর । মহানকাল ধরে বাঙালি তথা বাংলাদেশের
মানুষের তাঁদের অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক, বাংলার প্রাণ
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবেঃ
যতদিন রবে পদ্মা-মেঘনা
গৌরী-যমুনা বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান ।
আমার এই ওয়েসাইটে বক্তব্য দেওয়ার আরো অনেক গুলো পোস্ট দেওয়া হয়েছে । সব
গুলো পড়ার পর আশা করি আপনি সুন্দর ভাবে ১৫ই আগস্ট বক্তব্য দিতে পারবেন
।
গুলো পড়ার পর আশা করি আপনি সুন্দর ভাবে ১৫ই আগস্ট বক্তব্য দিতে পারবেন
।
8. 15 ই আগস্ট সম্পর্কে কিছু কথা
যদি রাত পোহালে শোনা যেত,
বঙ্গবন্ধু মরে নাই।
যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো
বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই ।
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা,
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা ।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত
প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ,
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধীমন্ডলি আসসালামু আলাইকুম ।
প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ,
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধীমন্ডলি আসসালামু আলাইকুম ।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা
করছি ।
শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা
করছি ।
আজ শোকাবহ ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস । বাঙালি জাতির ইতিহাসে বেদনাবিধুর
ও বিভীষিকাময় একটি দিন ।
ও বিভীষিকাময় একটি দিন ।
দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রে বাংলার ভাগ্যাকাশে আবারও নেমে আসলো
দুর্যোগের ঘনঘট ।
দুর্যোগের ঘনঘট ।
১৫ই আগস্ট, তখনও ভোর হয়নি, আজানের ধ্বনিও উচ্চারিত হয়নি, ৩২নং সড়কের
৬৭৭নং বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে ঘুমন্ত পরিকল্পনা মাফিক কিছু সংখ্যক
দুষ্কৃতকারী সামরিক আমলা, ক্ষমতালোভী চক্র বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আক্রমণ
চালায় ।
৬৭৭নং বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে ঘুমন্ত পরিকল্পনা মাফিক কিছু সংখ্যক
দুষ্কৃতকারী সামরিক আমলা, ক্ষমতালোভী চক্র বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আক্রমণ
চালায় ।
ঘাতকের দল ট্যাংক, কামান, মেশিনগানসহ অত্যাধুনিক মারণস্ত্র নিয়ে একযোগে
তাঁর বাসভবনে লক্ষ করে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে থাকে ।
তাঁর বাসভবনে লক্ষ করে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে থাকে ।
হঠাৎ বাইরে চিৎকার, হট্টগোল আর গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে বঙ্গবন্ধুর
পরিবারের । কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘাতকেরা চালায় পৃথিবীর সবচেয়ে নারকীয়
হত্যাকান্ড ।
পরিবারের । কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘাতকেরা চালায় পৃথিবীর সবচেয়ে নারকীয়
হত্যাকান্ড ।
একে একে হত্যা করে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে । নিষ্পাপ শিশু রাসেলও
রেহাই পায়নি । একজন ঘাতক রাসেলকে ইয়পরতলা থেকে নিচে নিয়ে আসে । ভয়ে
কাতর, বিহ্বল হয়ে পড়ে ৮বছরের শিশু রাসেল ।
রেহাই পায়নি । একজন ঘাতক রাসেলকে ইয়পরতলা থেকে নিচে নিয়ে আসে । ভয়ে
কাতর, বিহ্বল হয়ে পড়ে ৮বছরের শিশু রাসেল ।
মায়ের কাছে যাবার জন্য কাদতে শুরু করে । কিন্তু ঘাতকের কাছে এই ছোট্ট
শিশুর আকুতিতেও পাষাণ গলেনি বরং উপরে নিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা
করে ।
শিশুর আকুতিতেও পাষাণ গলেনি বরং উপরে নিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা
করে ।
এবার স্টেনগান থেকে বঙ্গবন্ধুর বুক লক্ষ করে গুলি করে ঘাতকের দল । তাঁর
বুক বিদীর্ণ করে ১৮টি গুলি ।
বুক বিদীর্ণ করে ১৮টি গুলি ।
হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, পুত্র
শেখ কামাল, শেখ জামাল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর
সহোদর শেখ নাসের, কৃষক নেতা আব্দুর রব, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি ও
তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, সুকান্ত বাবু্, আরিফ, আব্দুল নাঈম
খান, রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে ।
শেখ কামাল, শেখ জামাল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর
সহোদর শেখ নাসের, কৃষক নেতা আব্দুর রব, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি ও
তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, সুকান্ত বাবু্, আরিফ, আব্দুল নাঈম
খান, রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও
সেই বিভীষিকাময় রাতে নিহত হন আরও ৮জন ।
সেই বিভীষিকাময় রাতে নিহত হন আরও ৮জন ।
৩২ নম্বর থেকে যেন সেই রক্তস্রোত বাংলার সবুজ-শ্যামলকে রাঙিয়ে গড়িয়ে
পড়ে বঙ্গোপসাগরে আবহমান বাংলার সমস্ত ঐতিহ্যকে পদদলিত করে এসব
কুলাঙ্গার বাঙালির নামে এঁকে দেয় কলঙ্ক তিলক আর এ সুযোগের সদ্ব্যবহার
করে পরাজিত শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধীরা ।
পড়ে বঙ্গোপসাগরে আবহমান বাংলার সমস্ত ঐতিহ্যকে পদদলিত করে এসব
কুলাঙ্গার বাঙালির নামে এঁকে দেয় কলঙ্ক তিলক আর এ সুযোগের সদ্ব্যবহার
করে পরাজিত শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধীরা ।
প্রিয় সুধীবৃন্দ, ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুওকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে
সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন-সাধকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছে । কিন্তু
বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না, তাঁর অবদান জাতি কখনোই ভুলতে পারে না ।
সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন-সাধকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছে । কিন্তু
বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না, তাঁর অবদান জাতি কখনোই ভুলতে পারে না ।
বাঙালি জাতির সমত সত্তা জুড়ে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি । বঙ্গবন্ধু শুধু
ব্যক্তি নন, বঙ্গবন্ধু এক অনুপ্রেরণার নাম, তিনি স্বাধীন বাংলার স্থপতি
জাতির পিতা আমাদের ভাবনা অনুচাবনায় প্রতিনিয়ত তাঁর দীপ্ত উপস্থিতিই যেন
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই বিখ্যাত চরণটির কথা স্মরণ করে
দেয়_
ব্যক্তি নন, বঙ্গবন্ধু এক অনুপ্রেরণার নাম, তিনি স্বাধীন বাংলার স্থপতি
জাতির পিতা আমাদের ভাবনা অনুচাবনায় প্রতিনিয়ত তাঁর দীপ্ত উপস্থিতিই যেন
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই বিখ্যাত চরণটির কথা স্মরণ করে
দেয়_
নয়ন-সম্মুখে তুমি নাই
নয়নের মাঝখানে নিয়েছে যে ঠাঁই
সম্মানিত সুধীমন্ডলী, জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় আমাকে কিছু বলার
সুযোগদানের জন্য উপস্থিত সকলকে এবং এরূপ মহতী আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে
আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমার সংক্ষিপ্ত কথা শেষ করছি ।
সুযোগদানের জন্য উপস্থিত সকলকে এবং এরূপ মহতী আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে
আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমার সংক্ষিপ্ত কথা শেষ করছি ।
9. ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।
ওরা ভেবেছিল তোমাকে মারলে হয়ে যাবে সব শেষ ওরা তো জানে না বঙ্গবন্ধু
মানে বাংলাদেশ ।
মানে বাংলাদেশ ।
উপস্থিত ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত আজকের সভার
সম্মানিত সভাপতি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানি শিক্ষক বৃন্দ,
মেহমান বৃন্দ, সকল শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী ভাই ও বোনেরা সবাই আমার
আন্তরিক সালাম গ্রহণ করুন আসসালামু আলাইকুম ।
শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত আজকের সভার
সম্মানিত সভাপতি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানি শিক্ষক বৃন্দ,
মেহমান বৃন্দ, সকল শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী ভাই ও বোনেরা সবাই আমার
আন্তরিক সালাম গ্রহণ করুন আসসালামু আলাইকুম ।
কেঁদেছিল আকাশ ফুটিয়েছিল বাতাস, বৃষ্টিতে নয় ঝরে নয় এই অনুভূতি ছিল
পিতা হারানোর শোকের ।
পিতা হারানোর শোকের ।
প্রকৃতি কেঁদেছিল কারণ মানুষ কাঁদতে পারেনি । ঘাতকের উদত রক্ত চক্ষু
তাদের কাঁদতে দেয়নি । কি নিষ্ঠুর কি ভয়াল কি ভয়ানক সেই রাত ।
তাদের কাঁদতে দেয়নি । কি নিষ্ঠুর কি ভয়াল কি ভয়ানক সেই রাত ।
আজ রক্তঝরা অশ্রু ভেজা ১৫ই আগস্ট । জাতীয় শোক দিবস বাঙালি জাতির শোকের
দিন ।
দিন ।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এই দিনে ভোরের আলো ফোটার আগেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর
নিজ বাসায় । বাংলাদেশ স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল এ দেশের ক্ষমতালোভী নরপশু কুচক্রী মহল ।
নিজ বাসায় । বাংলাদেশ স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল এ দেশের ক্ষমতালোভী নরপশু কুচক্রী মহল ।
সেদিন তিনি ছাড়াও ঘাতকের বুলেটে নিহত হন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা
মুজিব এছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন
।
মুজিব এছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন
।
ঐ সময় দেশের বাহিরে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ।
আজকের এই শোক সভায় সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ।
মুজিব আমার চাদের আলো মিষ্টি রোদের হাসি
দেশের সকল মানুষ মোরা তোমায় ভালোবাসি ।
শেখ মুজিবুর রহমান কেবল এক ব্যক্তির নাম নন । আমার বঙ্গবন্ধু একজন
দার্শনিক যিনি মুক্তিযুদ্ধের ২০ বছর আগ থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের
স্বপ্ন দেখেছিলেন ।
দার্শনিক যিনি মুক্তিযুদ্ধের ২০ বছর আগ থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের
স্বপ্ন দেখেছিলেন ।
আমার বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের ছিনে আনা লাল-সবুজের পতাকা, একটি
ইতিহাস, একটি মহাকাব্য একটি বাংলাদেশ ।
ইতিহাস, একটি মহাকাব্য একটি বাংলাদেশ ।
আমার বঙ্গবন্ধু যিনি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে
দিয়ে গেছেন স্বাধীনতা । বাংলাদেশ যার ফলস্বরূপ ৫৬ বছর বয়সের জীবনে
৪৬৮২ দিন তাকে কাটাতে হয়েছিল কারাগারের কাল কুঠুরিতে । এ বন্দিত্ব
তিনি ভোগ করেছিলেন দুঃখী মানুষের জন্যে ।
দিয়ে গেছেন স্বাধীনতা । বাংলাদেশ যার ফলস্বরূপ ৫৬ বছর বয়সের জীবনে
৪৬৮২ দিন তাকে কাটাতে হয়েছিল কারাগারের কাল কুঠুরিতে । এ বন্দিত্ব
তিনি ভোগ করেছিলেন দুঃখী মানুষের জন্যে ।
স্ত্রী সন্তান নিয়ে তিনি সংসার জীবন কাটিয়ে দিতে পারতেন। অন্য যে কোন
পেশায় নিশ্চিন্তে জীবিকা নির্বাহ করে । কিন্তু তিনি তা করেন নাই
মানুষের কথা ভাবেন বলে ।
পেশায় নিশ্চিন্তে জীবিকা নির্বাহ করে । কিন্তু তিনি তা করেন নাই
মানুষের কথা ভাবেন বলে ।
আমার বঙ্গবন্ধু যিনি ৭ই মার্চের মাত্র ১৮ মিনিটের এক ভাসনে এক আঙ্গুল
উঠিয়ে সারা বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে শিখিয়েছিলেন
মুক্তিযুদ্ধ । স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন স্বাধীনতার ।
উঠিয়ে সারা বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে শিখিয়েছিলেন
মুক্তিযুদ্ধ । স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন স্বাধীনতার ।
স্বাধীনতার পরেই আমার বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলায় ভাসন দিয়ে বাংলা
ভাষার মান সমুন্নত করেছেন ।
ভাষার মান সমুন্নত করেছেন ।
কিন্তু হায় কি দুর্ভাগ্য আমাদের ধরে রাখতে পারেনি, আমরা আমাদের
বঙ্গবন্ধুকে । একদল অকৃতজ্ঞ বাঙালি নৃশংসভাবে হত্যা করে আমাদের
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে । ঘাতক দল ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য
দিয়ে তার নাম ইতিহাস থেকে চিরতরে মুছে ফেলবে কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন
সফল হয়নি ।
বঙ্গবন্ধুকে । একদল অকৃতজ্ঞ বাঙালি নৃশংসভাবে হত্যা করে আমাদের
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে । ঘাতক দল ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য
দিয়ে তার নাম ইতিহাস থেকে চিরতরে মুছে ফেলবে কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন
সফল হয়নি ।
ঘাতকরা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের
মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যে পথ
সৃষ্টি হয়েছিল সেখান থেকে দেশকে সরিয়ে বিপরীতমুখী করার উদ্দেশ্যই ছিল
তাদের একটি বড় লক্ষ্য ।
মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যে পথ
সৃষ্টি হয়েছিল সেখান থেকে দেশকে সরিয়ে বিপরীতমুখী করার উদ্দেশ্যই ছিল
তাদের একটি বড় লক্ষ্য ।
দীর্ঘদিন পরে হলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে । আজ আমার
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলতে গেলে হয়তো মহাকাব্য হয়ে যাবে কিন্তু কথা
ফুরাবেনা ।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলতে গেলে হয়তো মহাকাব্য হয়ে যাবে কিন্তু কথা
ফুরাবেনা ।
আমার বঙ্গবন্ধু একটি চেতনার নাম যিনি জাগ্রত আছেন প্রতিটি বাঙালি হৃদয়
।
।
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে বঙ্গবন্ধু সময় পেয়েছিলেন ২৩
বছর । আর স্বাধীন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর ।
ফলে ২৩ বছরের নেতৃত্বে গড়ার স্বদেশকে তিনি সমমহিমায় সাজাতে পারেননি ।
বছর । আর স্বাধীন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর ।
ফলে ২৩ বছরের নেতৃত্বে গড়ার স্বদেশকে তিনি সমমহিমায় সাজাতে পারেননি ।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা সফল করে তুলতে
পারলেই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে ।
পারলেই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে ।
আসুন আমরা সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক খুদা ও
দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলি জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের
অঙ্গীকার ।
দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলি জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের
অঙ্গীকার ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু ।