১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী
১মার্চ ১৯৭১
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দীকী ও সাধারন সম্পাদক শাহজাহান
মিরাজ এবং ডাকসুর সহ-সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস
মাখন এ চার নেতা মিলে বেশ এক বৈঠকে । স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে
।
মিরাজ এবং ডাকসুর সহ-সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস
মাখন এ চার নেতা মিলে বেশ এক বৈঠকে । স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে
।
২ মার্চ ১৯৭১
বাংলাদেশের পতাকা প্রথমবারের মত উত্তোলন করেন তৎকালীন ডাকসু জিপি আ.স.ম আব্দুর রব
। পতাকাটি উত্তোলন করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায়।
। পতাকাটি উত্তোলন করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায়।
৩ মার্চ ১৯৭১
ছাত্র পরিষদ (সংগ্রাম) আহূত পল্টন সমাবেশে স্বাধীনতার ইশতেহার, পাঠ করেন শাহজাহান
সিরাজ । এতে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক বা জাতির জনক’ উপাধি দেওয়া হয়।
সিরাজ । এতে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক বা জাতির জনক’ উপাধি দেওয়া হয়।
৭ মার্চ ১৯৭১
ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ মিনিট
স্থায়ী শেখ মুজিবুর রহমান কতৃক এক ঐতিহাসিক ভাষণই ৭ই মার্চের ভাষণ। উক্ত ভাষণটি
ছিল বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতির আহ্বান।
স্থায়ী শেখ মুজিবুর রহমান কতৃক এক ঐতিহাসিক ভাষণই ৭ই মার্চের ভাষণ। উক্ত ভাষণটি
ছিল বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুতির আহ্বান।
১২ মার্চ ১৯৭১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে আয়ােজিত এক সভায় পটুয়া কামরুল হাসানের আহ্বানে
শাপলাকে বাংলাশের জাতীয় ফুল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গৃহীত করা হয় ।
শাপলাকে বাংলাশের জাতীয় ফুল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গৃহীত করা হয় ।
১৪ মার্চ ১৯৭১
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পাকিস্তানি শাসকদের দেওয়া সকল খেতাব বর্জন করেন ।
১৯মার্চ ১৯৭৯
গাজীপুরের জয়দেবপুরে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরােধ গড়ে তোলে
ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ।
ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ।
২০ মার্চ ১৯৭১
জাতীয় পরিষদ সদস্য শেখ মােহাম্মদ মােবারক হোসেন তার পাকিস্তান খেতাব বর্জন কৱেন।
২৩ মার্চ ১৯৭১
পাকিস্তান দিবসে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে পূর্ব পাকিস্থানের অফিস
আদালতসহ সর্বত্র বাংলাদেশের মানচিত্র স্থাপিত পতাকা উতােলন করা হয় ।
আদালতসহ সর্বত্র বাংলাদেশের মানচিত্র স্থাপিত পতাকা উতােলন করা হয় ।
২৫ মার্চ ১৯৭১
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট (বাঙালি নিধন অভিযানের সাংকেতিক
নাম)- এ স্বাক্ষর করে পাকিস্তান চলে যান। ঐদিন রাত এগারোটায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
প্রখম সেনা অভিযান শুরু হয় । প্রথম আক্রমণের শিকার হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন
বিডিআর পিলখানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২৫ শে মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমান
গ্রেফতার হন।
নাম)- এ স্বাক্ষর করে পাকিস্তান চলে যান। ঐদিন রাত এগারোটায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
প্রখম সেনা অভিযান শুরু হয় । প্রথম আক্রমণের শিকার হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন
বিডিআর পিলখানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২৫ শে মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমান
গ্রেফতার হন।
২৬ মার্চ ১৯৭১
চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে এম.এ হান্নান কর্তিক স্বাধীনতার ঘোষনা
প্রচার।
প্রচার।
২৭ মার্চ ১৯৭১
শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট স্থান স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘােষনা।।
কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘােষনা।।
৩০ মার্চ ১৯৭১
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছিলো।
৪ এপ্রিল ১৯৭১
হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা বাগান কর্নেল এম.এ.জি ওসমানীর নেতৃত্বে মুক্তিফৌজ গঠন।
৬ এপ্রিল ১৯৭১
পাকিস্তানের কলকাতা হাইকমিশন অফিস প্রধান জনাব এম.এ হােসেন আলী বাংলাদেশের প্রতি
আনুগত্য প্রকাশ করেন
আনুগত্য প্রকাশ করেন
১০ এপ্রিল ১৯৭১
মুজিবনগরে (মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে) বাংলাদেশের স্বাধীনতার সনদ”
এবং একটি অস্থায়ী সরকারের গঠনের ঘােষণা দেয়া হয়।
এবং একটি অস্থায়ী সরকারের গঠনের ঘােষণা দেয়া হয়।
১৭ এপ্রিল ১৯৭১
মুজিবনগরে আওয়ামী লীগের গন প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহন
সম্পন্ন। শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবুল মান্নান এবং শপথ বাক্য পাঠ করান
অধ্যাপক ইউসুফ আলী । এই দিনেই স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র গৃহীত হয় ।
সম্পন্ন। শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবুল মান্নান এবং শপথ বাক্য পাঠ করান
অধ্যাপক ইউসুফ আলী । এই দিনেই স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র গৃহীত হয় ।
মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত অপারেশন
অপারেশন সার্চলাইট
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালো রাত্রি নিরীহ বাঙালি জনগোষ্ঠীর উপর পাকিস্তানি
হানাদার বাহিনীর পরিচালিত সামরিক আগ্রাসন বা হত্যাযজ্ঞ।
হানাদার বাহিনীর পরিচালিত সামরিক আগ্রাসন বা হত্যাযজ্ঞ।
অপারেশন জ্যাকপট
১৫ আগষ্ট ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি নৌশক্তিকে ধ্বংস
করার জন্য পরিচালিত অভিযান করা হয়েছিল ।
করার জন্য পরিচালিত অভিযান করা হয়েছিল ।
অপারেশন ক্লোজভোর
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেরে পর সকল প্রকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য এ অপারেশন
পরিচালনা করা হয় ।
পরিচালনা করা হয় ।
৭ই মার্চের ভাষণ
বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণ ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে । ৭ই মার্চের
ভাষণের মূল বক্তব্য ছিল পুনরায় নির্বাচন ।
ভাষণের মূল বক্তব্য ছিল পুনরায় নির্বাচন ।
৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পেশ করেন -৪ দফা দাবি।
ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ দুটি উক্তিঃ-
- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ।
-
রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দিব, এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো
ইশাআল্লাহ।
৭ই মার্চের ভাষনের বিষয়বস্তু ছিলাে ৪টিঃ-
- চলমান সামরিক আইন প্রত্যাহার ।
- সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ।
- গনহত্যার তদন্ত করা ।
- নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা ।
৭ই মার্চের ভাষণের আন্তজাতিক স্বীকৃতি
২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে ডকুমেন্টারী হেরিটেজ বা বিশ্ব
প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন । ডকুমেন্টারী হেরিটেজ
(Documentary Harytage) নামে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরত্বপূর্ণ দলিল গুলোকে সংরক্ষন
করে থাকে। ১৯৯২ সাল থেকে ইউনেস্কো এই গুরত্বপূর্ন নথি সংগ্রহ করে আসছে । ৭
মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ৪২৭ তম নাথি বা দলিল হিসেবে
‘মেমোরি অব দ্যা ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার” নামে অন্তর্ভুক্ত করে।
প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন । ডকুমেন্টারী হেরিটেজ
(Documentary Harytage) নামে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরত্বপূর্ণ দলিল গুলোকে সংরক্ষন
করে থাকে। ১৯৯২ সাল থেকে ইউনেস্কো এই গুরত্বপূর্ন নথি সংগ্রহ করে আসছে । ৭
মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ৪২৭ তম নাথি বা দলিল হিসেবে
‘মেমোরি অব দ্যা ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার” নামে অন্তর্ভুক্ত করে।
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ করে কারা
জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনদের আন্দোলন দুর্বল করতে
এবং কৌশলে নিরস্ত্র করার লক্ষে তাদের অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু মুক্তিকর্মী বাঙালি সৈন্য এবং স্থানীয় জনতা তাদের মতলব বুঝতে পেরে অস্ত্র
জমা না দিয়ে মন্দনা মোড় থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সড়ক অবরােধ করে।
এবং কৌশলে নিরস্ত্র করার লক্ষে তাদের অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু মুক্তিকর্মী বাঙালি সৈন্য এবং স্থানীয় জনতা তাদের মতলব বুঝতে পেরে অস্ত্র
জমা না দিয়ে মন্দনা মোড় থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সড়ক অবরােধ করে।
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র
প্রতিরোধ গড়ে তোলে ।
প্রতিরোধ গড়ে তোলে ।
স্বাধীনতার ইশতেহার
স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন কোথায়
৩ মার্চ ১৯৭১, পল্টন ময়দানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন শাহজাহান সিরাজ।
অস্থায়ী গণপ্রজাতন্তী বাংলাদেশ সরকার
- মুজিবনগর সরকার গঠন ➡➡ ১০ এপ্রিল, ১৯৭১।
- মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহন ➡➡ ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।
-
অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় ➡➡ মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার ভবের পাড়া গ্রামে
(বর্তমানে মুজিবনগর) - বৈদ্যনাথতলার নাম মুজিবনগর রাখেন ➡➡ তাজউদ্দিন আহমদ।
- মুজিবনগর পূর্বে ছিল ➡➡ কুষ্টিয়া জেলার অধীনে ।
- বাংলাদের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় ➡➡ ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে ।
- মুজিবনগরে স্বাধীনতা ঘােষনা করা হয়েছিলা ➡➡ ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সাল।
- বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহন করেন ➡➡ ১৭এপ্রিল,১৯৭১ সাল ।
- বাংলাদেশকে প্রজাতন্ত্র ঘোষনা করা হয়েছিল ➡➡ ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সাল ।
- অস্থায়ী সরকারের শপথ বাক্য পাঠ করান ➡➡ অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ➡➡ শেখ মুজিবুর রহমান (রাষ্ট্রপতি)।
- বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ➡➡ তাজউদ্দিন আহমদ।(অস্থায়ী)।
- অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্টপতি ➡➡ সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
- পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী ছিলেন ➡➡ খন্দকার মােশতাক আহমেদ।
- অর্থ-বানিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ছিলেন ➡➡ এম মনসুর আলী।
-
স্বরাষ্ট্র, কৃষি,ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী ছিলেন ➡➡ এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান
। - চিফ অব স্টাফ ছিলেন ➡➡ কর্নেল আব্দুর রব।
- প্রবাসী সরকারের পুলিশ প্রধান ছিলেন ➡➡ আবদুল খালেক।
- মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ➡➡ মােহাম্মাদ আতাউল গনি ওসমাধী।
- স্বাধীনতার ঘােষনাপত্র পাঠ করেন ➡➡ অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
- অস্থায়ী সরকারের সদ্যস্য সংখ্যা ➡➡ ৬ জন ।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইতিহাস
- অবস্থান ➡➡ চট্টগ্রাঙ্গের কালুরঘাটে।
- বর্তমান নাম ➡➡ বাংলা বেতার ।
- অত্যন্ত জনপ্রিয় দুটি অনুষ্ঠান ➡➡ চরমপত্র ও জল্লাদের দরবারে।
- চরম পত্র পাঠ করেন ➡➡ এম আর আখতার মুকুল।
-
জল্লাদের দরবারে অনুষ্ঠানে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের প্রতীকী চরিত্র ➡➡ কেল্লা
ফতেহ খান । - প্রথম নারী শিল্পী ➡➡ নমিতা ঘোষ।
- প্রথম পত্রিকা পাঠ করেন ➡➡ বেলাল মোহাম্মাদ ।
-
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছিলাে ➡➡ ৩০
মার্চ,১৯৭১ ।
প্রচারিত বিখ্যাত শ্লোগান
- হানাদার পশুরা বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করছে –আসুন আমরা পশু হত্যা করি।
-
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মুক্তিযােদ্ধা একেকটি গ্রেনেড পাহক গ্রেনেড পার্থক্য
শুধু একবার ছুড়ে দিলেও নিঃশেষ হয়ে যায়, আর মুক্তিযদ্ধারা বার বার গ্রেনেড
হয়ে ফিরে আসে।
মুক্তিফৌজ কবে গঠিত হয় কত তারিখে
- মুক্তিফৌজ গঠন করা হয় ➡➡ ৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে ।
- মুক্তিফৌজ গঠনে নেতৃত্ব দেন ➡➡ কর্নেল আতাউল গণি ওসমানী ।
- মুক্তিফৌজ গঠন করা হয় ➡➡ হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে ।
- মুক্তিফৌজকে মুক্তিবাহিনী নামকরন ➡➡ ১১এপ্রিল, ১৯৭১।
- মুক্তিফৌজ নাম পরিবর্তন করে রয়া হয় ➡➡ মুক্তিবাহিনী ।
- তেলিয়াপাড়া অবস্থিতি ➡➡ হবিঞ্জের মাধবপুর উপজেলায়।
বিএলএফ মুজিব বাহিনীর কমান্ডার
ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং শিক্ষিত তুরনদের নিয়ে বিএলএফ (বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রল্ট)
নামে একটি রাজনৈতিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠে । বিএলএফ পরে মুজিব বাহিনী হিসেবে
পরিচিতি লাভ করে। মুজিব বাহিনীর সদশ্যদের মূলত গেরিলা যুদ্ধের উপর বিশেষভাবে
প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
নামে একটি রাজনৈতিক সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠে । বিএলএফ পরে মুজিব বাহিনী হিসেবে
পরিচিতি লাভ করে। মুজিব বাহিনীর সদশ্যদের মূলত গেরিলা যুদ্ধের উপর বিশেষভাবে
প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধের ফোর্স কয়টি
মুক্তিযুদ্ধের ফোর্স মোট তিনটি ।
জেড ফোর্স
- অধিনায়ক ➡➡ মেজর জিয়াউর রহমান ।
- গঠত হয় ➡➡ ৭ জুলাই ১৯৭১ সালে ।
- সদর দপ্তর ➡➡ তেলঢালা, তুরা ।
কে ফোর্স
- অধিনায়ক ➡➡ মেজর খালেদ মোশারফ,মেজর খালেদ চৌধুরী ।
- গঠিত হয় ➡➡ ৭ অক্টোবর ১৯৭১ সালে ।
- সদর দপ্তর ➡➡ আগরতলা, ত্রিপুরা ।
এস ফোর্স
- অধিনায়ক ➡➡ মেজর কে এম শফিউল্লাহ ।
- গঠিত হয় ➡➡ ১ অক্টোবর ১৯৭১ সালে ।
- সদর দপ্তর ➡➡ হেজামারা।
মুক্তিযুকালীন মুবি কালিদ ও মুক্তিবাহিনীর পাশাপাশি সপ্র ৱাহির্মীগন করার
প্রয়ােজনীতা থেকেই ইষ্ট বেঙ্গল রেজিসন আর ইপিআর -এর বাঙালি মৈনিক শিক্ষিত তুরনর
নিয়ে স্থান, নৌ এবং বিমান বাহিনী গঠন করা হয়। বাংনাশে নাবাহিনী ১১ টি ব্বের
মুক্তিবাহিনীর পা থেকে বিন্নি জেলায় অমন পরিচালনা করে ।
প্রয়ােজনীতা থেকেই ইষ্ট বেঙ্গল রেজিসন আর ইপিআর -এর বাঙালি মৈনিক শিক্ষিত তুরনর
নিয়ে স্থান, নৌ এবং বিমান বাহিনী গঠন করা হয়। বাংনাশে নাবাহিনী ১১ টি ব্বের
মুক্তিবাহিনীর পা থেকে বিন্নি জেলায় অমন পরিচালনা করে ।
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার তালিকা
- স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বাংলাদেশকে ভাগ করা হয় ➡➡ ১১টি সেক্টরে।
- ১১টি সেক্টরে ভাগ করার জন্য নির্দেশ দেন ➡➡ তাজউদ্দিন আহমেদ ।
- তাজউদ্দিন আহমদের নির্দেশে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন ➡➡ এম জি ওসমানী ।
- একমাত্র নৌ সেক্টর ➡➡ ১০নং সেক্টর ।
- ব্যাতিক্রমধর্মী সেক্টর ➡➡ ১০ নং সেক্টর ।
- নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিল না ➡➡ ১০নং সেক্টর ।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ফেনি ছিল ➡➡ ১ নং সেক্টর ।
- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর ছিল ➡➡ ২ নং সেক্টর ।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর ছিল ➡➡ ৮ নং সেক্টরে ।
- মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর ছিল ➡➡ ৬৪ টি ।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় সিলেটের পশ্চিমাঞ্চল ছিল ➡➡ ৫নং সেক্টর ।
সেক্টর কমান্ডার তালিকা
সেক্টর ১
দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডারঃ
- মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল – জুন)
- মেজর রফিকুল ইসলাম (জুন – ডিসেম্বর)
- সদর দপ্তরঃ হরিনা, ত্রিপুরা ।
সেক্টর ২
দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডারঃ
- মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল – সেপ্টেম্বর)
- মেজর হায়দার (সেপ্টেম্বর – ডিসেম্বর)
- সদর দপ্তরঃ মেলাঘর,ত্রিপুরা ।
সেক্টর ৩
দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডারঃ
- মেজর শফিউল্লাহ (এপ্রিল – সেপ্টেম্বর)
- মেজর নুরুজ্জমান (সেপ্টেম্বর – ডিসেম্বর)
- সদর দপ্তরঃ কলাগাছি,ত্রিপুরা ।
সেক্টর ৪
দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডারঃ
- মেজর সি আর দত্ত ।
- সদর দপ্তরঃ করিমগঞ্জ / নাছিমপুর, আসাম ।
সেক্টর ৫
দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডারঃ
- মেজর মীর শত্তকত আলী ।
- সদর দপ্তরঃ বাঁশতলা সুনামগঞ্জ ।
সেক্টর ৬
দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডারঃ
- উইং কমান্ডার বাশার ।
- সদর দপ্তরঃ বুড়িমারি,পাটগ্রাম ।
সেক্টর ৭
দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডারঃ
- মেজর কাজী নুরুজ্জামান ।
- সদর দপ্তরঃ তরঙ্গপুর,পশ্চিমবঙ্গ ।
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহিদ
- প্রথম শহিদ ➡➡ ফারুক ইকবাল ।
- শহিদ হন ➡➡ ৩ মার্চ ১৯৭১ সালে ।
- ছাত্র ছিলেন ➡➡ মালিবাগ আবুজর গিফারী কলেজের ।
- সমাহিত করা হয় ➡➡ মৌচাক মোড়ে ।
ফারুক ইকবালের প্রথম শহিদের বর্ণনাঃ
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ আবুজর গিফারী কলেজ প্রাঙ্গন হতে একটি মিছিল রামপুরায় পৌছালে
পুলিশের গুলিতে নিহত হয় কিশোর ফারক ইকবাল। ফারুকের লাশ মৌচাক মােড়ে নিয়ে আসলে
এলাকাবাসীর দাবিতে সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।
পুলিশের গুলিতে নিহত হয় কিশোর ফারক ইকবাল। ফারুকের লাশ মৌচাক মােড়ে নিয়ে আসলে
এলাকাবাসীর দাবিতে সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।
অপরদিকে, দেশ স্বাধীন করে মালিবাগে নিজ পৈতৃক নিবাসে ফেরার পথে ১৭ ডিসেম্বর
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবিতে মারা যায় আরেক কিশাের মুক্তিযোদ্ধা তসলিম। তাকেও এখানে
সমাহিত করা হয় ।
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবিতে মারা যায় আরেক কিশাের মুক্তিযোদ্ধা তসলিম। তাকেও এখানে
সমাহিত করা হয় ।
বাংলার প্রথম ও শেষ শহীদ ব্যক্তি কে
- ফারুক ও তসলিমকে বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ও শেষ শহিদ ।
- ফারুক – তসলিম স্মৃতি চত্বর, মৌচাক নির্মান করা হয় ➡➡ ২০০৮ সালে ।
পেশা অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী হত্যার সংখ্যা
- শিক্ষক ➡➡ ৯৯১ জন ।
- ঢাকা বিশববিদ্যালয়ের শিক্ষক ➡➡ ১৯ জন ।
- আইনজীবী ➡➡ ৪২ জন ।
- সাংবাদিক ➡➡ ১৩ জন ।
- চিকিৎসক ➡➡ ৪৯ জন ।
- লেখক,শিল্পী ও প্রকৌশলী ➡➡ ১৬ জন ।
- ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি গনহত্যা হয় ➡➡ চুকনগর,খুলনায় ।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা
- সেলিনা পারভীন ➡➡সাংবাদিক ছিলেন ।
- মুক্তিযুদ্ধে নিহত একমাত্র নারী সাংবাদিক ।
- জহির রায়হান ➡➡ লেখক ও চলচ্চিত্রাকার ছিলেন । শহীদুল্লাহ কায়সারের ছোট ভাই ।
-
মুনির চৌধুরী ➡➡ শিক্ষক ও সাহিত্যিক ছিলেন । ঢাবির বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা
করতেন । - শহীদুল্লাহ কায়সার ➡➡ আলচিত সাংবাদিক ছিলেন ।
- আনোয়ার পাশা ➡➡ শিক্ষক ছিলেন । ঢাবির বাংলা বিভাগে শিক্ষতা করতেন ।
-
গোবিন্দ চন্দ্র দেব ➡➡ শিক্ষক ও দার্শনিক । ঢাবির দর্শন বিভাগে শিক্ষকতা
করতেন । -
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ➡➡ রাজনীতিবিদ ও ভাষা সৈনিক ছিলেন । বাংলা ভাষার
প্রাস্তাবক । -
আলতাফ মাহমুদ ➡➡ গীতিকার ও সুরকার ছিলেন । মুক্তিযুদ্ধকালীন বহু গানের রচয়িতা
। -
জ্যেতির্ময় গুহঠাকুরতা ➡➡ শিক্ষক ছিলেন । ঢাবির ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা করতেন
।
বীরশ্রেষ্ট পরিচিতি
-
বাংলাদেশ সরকার এক প্রজ্ঞাপনে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে বীরশ্রেষ্ট ঘোষণা করে ➡➡
১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে । - বীরশ্রেষ্টদের মধ্যে প্রথম শহিদ হন ➡➡ ইপিআর মুন্সী আব্দুর রউফ ।
- ইপিআর মুন্সী আব্দুর রউফ প্রথম শহিদ হন ➡➡ ৮ এপ্রিল ১৯৭১ সালে ।
- বীরশ্রেষ্ট সিপাহী মোস্তফা কামাল শহিদ হন ➡➡ ১৮ এপ্রিল ১৯৭১ সালে ।
- বীরশ্রেষ্ট ইপিআর নূর মোহাম্মাদ শেখ শহিদ হন ➡➡ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে ।
- ১নং সেক্টরে কর্মরত ছিলেন ➡➡ ইপিআর মুন্সী আব্দুর রউফ ।
- ২নং সেক্টরে কর্মরত ছিলেন ➡➡ সেনাবাহিনী সিপাহী মোস্তফা কামাল ।
- ৮নং সেক্টরে কর্মরত ছিলেন ➡➡ ইপিআর নূর মোহাম্মাদ শেখ ।
- নূর মোহাম্মাদ শেখ এর সমাধি ➡➡ যশোরের শর্শা উপজেলার কাশিম্পুর গ্রামে ।
বীরশ্রেষ্ঠ কতজন ও কে কে
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থানের বিমান বাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন
➡➡ মতিউর রহমান । - বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমান শহিদ হন ➡➡ ২০ আগষ্ট ১৯৭১ সালে ।
- সিপাহী হামিদুর রহমান ➡➡ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন ।
- ৪নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন ➡➡ সিপাহী হামিদুর রহমান ।
- বীরশ্রেষ্ট সিপাহী হামিদুর রহমান শহিদ হন ➡➡ ২৮ অক্টোবর ১৯৭১ সালে ।
-
বীরশ্রেষ্ট খেতাবপ্রাপ্ত শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কনিষ্ঠ ➡➡ সিপাহী
হামিদুর রহমান । - নৌবাহিনীর স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন ➡➡ রুহুল আমিন ।
- ২নং এবং ১০নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন ➡➡ রুহুল আমিন ।
- বীরশ্রেষ্ট রুহুল আমিন ➡➡ ৬নং বীরশ্রেষ্ট ।
- ৭নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন ➡➡ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর ।
- বীরশ্রেষ্ট মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর শহিদ হন ➡➡ ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ।
- বীরশ্রেষ্টদের মধ্যে সবশেষে শহিদ হন ➡➡ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ।
বীরশ্রেষ্ট তথ্যকনিকা
- বীরশ্রেষ্টদের মধ্যে সিপাহী ➡➡ ২জন ।
- ল্যান্স নায়েক ➡➡ ২জন ।
- ক্যাপ্টেন ➡➡ ১জন ।
- ফ্লাইট লেফট্যান্ট ➡➡ ১জন ।
- স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার ➡➡ ১জন ।
বাহিনীভিত্তিক বীরশ্রেষ্ট কারা
- সেনাবাহিনী ➡➡ ৩জন ।
- নৌবাহিনী ➡➡ ১জন ।
- বিমানবাহিনী ➡➡ ১জন ।
- ইপিআর (পুলিশ বাহিনী) ➡➡ ২জন ।
গেরিলা বাহিনী কারা
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন একদল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত একটি গেরিলা
দল ➡➡ ক্র্যাক প্লাটুন । -
ক্র্যাক প্লাটুন গেরিলা বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ➡➡ ২নং
সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ এবং এটিএম হায়দার । - ঢাকা শহরে ক্র্যাক প্লাটুন অপারেশন পরিচালনা করেন ➡➡ মোট ৮২ টি ।
-
ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম সদস্য বদিউল আলম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি
ছাত্র । -
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সশস্ত্র গেরিলা বাহিনীর নাম ➡➡ হেমায়েত
বাহিনী । -
হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে ফরিদপুর অঞ্চলে পাকিস্থান হানাদার বাহিনীকে
প্রতিরোধ করার জন্য গড়ে উঠে হেমায়েত বাহিনী । -
মুক্তিযুদ্ধের সাহসী অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়
➡➡ হেমায়েত উদ্দিন কে । -
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সম্যে গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ন স্বতন্ত্র
সশস্ত্র গেরিলা বাহিনীর নাম ➡➡ কাদেরিয়া বাহিনী । - কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান ছিলেন ➡➡ আব্দুল কাদের সিদ্দীকী ।
- কাদেরিয়া বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ➡➡ প্রায় ৫০ হাজার ।
-
কাদেরিয়া বাহিনীর সদর দপ্তর ছিল ➡➡ টাঙ্গাইলের সখিপুরের মহানন্দনপুর গ্রামে ,
সেখানে একটি বিজয় স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে ।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মুদ্রা ও ডাকটিকেট
- মুক্তিযুদ্ধকালীন নিজস্ব ডাকটিকিট প্রকর্তন করা হয় ➡➡ ২৯ জুলাই ১৯৭১ সালে ।
- ডাকবিভাগের প্রথম পোস্ট মাস্টার ছিলেন ➡➡ মত্তদুদ আহমেদ ।
- প্রথম ডাকটিকিটের নকশা করেন ➡➡ বিমান মল্লিক ।
-
মুক্তিযুদ্ধকালীন ডাকটিকেটগুলো ছাপানো হয় ➡➡ ইংল্যান্ডের ফরম্যাট
ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস হতে ।
পাক বাহিনীর আত্মসমর্পন
- জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পনের জন্য যোগাযোগ করেন ➡➡ মার্কিন দূতাবাসে ।
- পাকবাহিনী আত্মসমর্পন করেন ➡➡ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বিকাল ৪ঃ৩১ মিনিটে ।
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ➡➡ ২৬ মার্চ ।
- বাংলাদেশের বিজয় দিবস ➡➡ ১৬ ডিসেম্বর ।
- আত্মসমর্পনের অনুষ্টানের স্বাক্ষর করেন ➡➡ ২জন ।
- পাকিস্থানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ➡➡ জেনারেল নিয়াজী ।
- যৌথ বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন ➡➡ লে জে জগজিৎ সিং অরোর ।
- বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন ➡➡ এ কে খন্দকার ।
- উপস্থিত ছিলেন না ➡➡ আতাউল গনি ওসমানী (তিনি সেদিন সিলেট ছিলেন) ।
-
বাংলাদেশের পক্ষে আত্মসমর্পন দলিল তৈরী করেন ➡➡ জ্যাকর নাগরা ও কাদের
সিদ্দীকী । -
পাকিস্থানের পক্ষে আত্মসমর্পন দলিল তৈরী করেন ➡➡ নিয়াজী রাত্ত ফরমান ও জামশেদ
। - নিয়াজী আত্মসমর্পন করেন ➡➡ মোট ৯১,৫৪৯ জন সৈন্য নিয়ে (বলা হয় প্রায় ৯৩ হাজার)
-
মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র মহিলা কমান্ডার ➡➡ আশালতা বৈদ্য
কোটালিপাড়া,গোপালগঞ্জের ।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী বিভিন্ন দেশ ও স্বীকৃতিদানের তারিখ
- বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ ➡➡ ভুটান ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল ।
- বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী আরব দেশ ➡➡ ইরাক ।
- বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দ্বিতীয় দেশ ➡➡ ভুটান ৭ডিসেম্বর ।
-
বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী অনাবর মুসলিম দেশ ➡➡ মালয়েশিয়া ২৫
ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ । -
বাংলাদেশে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী সমাজতান্ত্রিক দেশ ➡➡ পোল্যান্ড ১২ জানুয়ারি
১৯৭২ সাল । -
স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় ➡➡ ৪ এপ্রিল
১৯৭২ সাল । - বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী ওশেনিয়ান দেশ ➡➡ ফিজি ।
মুক্তিযুদ্ধের উপাধি বা খেতাব
- মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য খেতাব প্রধান করা হয় ➡➡ ৪টি ।
-
চারটি রাষ্ট্রিয় খেতাব যথাক্রমে ➡➡ বীরশ্রেষ্ট, বীরউত্তম, বীরবিক্রম এবং
বীরপ্রতিক । - সর্বচ্চ রাষ্ট্রিয় খেতাব ➡➡ বীরশ্রেষ্ট ।
- জীবিত ব্যক্তিদের দেওয়া সর্বচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব ➡➡ বীরউত্তম ।
- বীরশ্রেষ্ট খেতাব দেওয়া হয় ➡➡ ৭জনকে ।
- বীরউত্তম খেতাব ➡➡ ৬৮/৬৯ জন ।
- বীরবিক্রম খেতাব ➡➡ ১৭৫ জন ।
- বীরপ্রতিক খেতাব ➡➡ ৪২৬ জন ।
- মুক্তিযুদ্ধের খেতাব প্রাপ্ত মোট সদস্য ➡➡ ৬৭৬ জন / ৬৭৭ জন ।
- বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ➡➡ শহীদুল ইসলাম লালু ।
- শহীদুল ইসলাম লালুর খেতাব ছিল ➡➡ বীর প্রতিক ।
-
সাহিত্যিক মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন ➡➡ আব্দুস
সাত্তার । - দেশের একমাত্র আদিবাসি বীরবিক্রম ➡➡ ইউকে চিং (মারমা)
- একমাত্র বিদেশী বীর প্রতীক ➡➡ ডব্লিউ এইচ ওডারল্যান্ড ।
- নারী বীর প্রতীক ➡➡ ক্যাপ্টেন সেতারা বেগম ।
- বীরপ্রতীক ➡➡ মোহাম্মাদ আব্দুল মতিন ।
- বীরবিক্রম ➡➡ মেজর খন্ডকার নাজমুল হুদা ।
- বীর উত্তম ➡➡ লে কর্নেল আব্দুল রব (চীফ অব স্টাফ) ।
মুক্তিযুদ্ধে খেতবপ্রাপ্ত মহিলা
- বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মহিলা ২ জন ।
- ক্যাপ্টেন ডাঃ সেতারা বেগম ।তারামন বিবি
- সেতারা বেগম নিজ জেলা ➡➡ কিশোরগঞ্জে ।
- সেতারা বেগম যুদ্ধ করেন ➡➡ ২নং সেক্টরে ।
- তারামন বিবিকে বীরপ্রতীক খেতাব প্রদান করা হয় ➡➡ ১৯৯৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর ।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণ দৈর্ঘ চলচ্চিত্র
- ওরা ১১জন (১৯৭২) ➡➡ চাষী নজরুল ইসলাম ।
- অরুণোদয়ের অগ্নিস্বাক্ষী (১৯৭২) ➡➡ সুভাষ দত্ত ।
- আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩) ➡➡ খান আতাউর রহমান ।
- ধীর বহে মেঘনা (১৯৭৩) ➡➡ আলমগীর কবির ।
- আমার জন্মভূমি (১৯৭৩) ➡➡ আলমগীর কুসুম ।
- সংগ্রাম (১৯৭৪) ➡➡ চাষী নজরুল ইসলাম ।
- আলোর মিছিল (১৯৭৪) ➡➡ নারায়ন ঘোষ মিতা ।
- জয়যাত্রা (২০০৪) ➡➡ তৌকির আহমেদ ।
মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা pdf, বাংলাদেশের
ইতিহাস রচনা, মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০০ শব্দের, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য
ইংরেজিতে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৩য় শ্রেণি, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ রচনা,
অনুচ্ছেদ রচনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস pdf,
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের
পটভূমি সংক্ষেপে, মুক্তিযুদ্ধের কারণ, স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে
১০টি বাক্য, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখ ।
ইতিহাস রচনা, মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০০ শব্দের, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১০টি বাক্য
ইংরেজিতে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৩য় শ্রেণি, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ রচনা,
অনুচ্ছেদ রচনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস pdf,
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের
পটভূমি সংক্ষেপে, মুক্তিযুদ্ধের কারণ, স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে
১০টি বাক্য, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখ ।