ইসলাম

বিসমিল্লাহর ফজিলত ও আমল

১৯ বার বিসমিল্লাহ পড়ার ফজিলত, ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ার ফজিলত, বিসমিল্লাহ এর তাফসীর, বিসমিল্লাহ নিয়ে হাদিস, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এর অর্থ, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর ক্ষমতা, বিসমিল্লাহ এর ইতিহাস।, বিসমিল্লাহ শরিফের আমল,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম একটি কোরআনের আয়াত এই আয়াতের অনের গুরুত্বপূর্ণ
ফজিলত রয়েছে । যদি কেউ এই আমল গুলো করে আল্লাহ তাকে বরকত ও গায়েবি ভাবে সাহায্য
করবেন ।

বিসমিল্লাহ নিয়ে হাদিস

  •  হয়রত ওমর (রাঃ) শুধু বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লিখিত একটি টুপী
    প্রেরণ করিয়া

    রোমের বাদশাহর শিরঃপীড়া আরোগ্য করিয়াছিলেন । হযরত খালেদ (রাঃ) জনৈক
    অগ্নিপূজকের প্রস্তাবনুযায়ী ইসলামের গৌরব প্রদর্শনকল্পে
    বিসমিল্লাহ বলিয়া তীব্র বিষ পান করিয়াছিলেন । অথচ ইহাতে তাহার কোন
    ক্ষতি হইয়াছিল না ।
  • হযরত নূহ (আঃ) এই আয়াতের কল্যাণে মহাপ্লাবনের সময় রক্ষা পাইয়াছিলেন । নমরূদের
    কন্য বিবি রহীমা ইহার গুনে ভীষণ অগ্নিকুন্ড হইতে রক্ষা পাইয়াছিলেন । ফেরাউনের
    স্ত্রী বিবি আছিয়া ইহার কল্যাণে ফুটন্ত তৈলের মধ্যে নিরাপদে ছিলেন । ফেরাউন
    নিজ প্রাসাদের দরজায় এই পবিত্র আয়াতটি লিখিত রাখায় বহুদিন পর্যন্ত আল্লাহর
    গজব হইতে নিরাপদ ছিল । হয়রত যায়েদ ইবনে হারেস ইহারই কল্যাণে এক ভীষণ শত্রুর
    কবল হইতে রক্ষা পাইয়াছিলেন ।
  • হাদীস শরীফে বর্ণিত হইয়াছে যে, আল্লাহ তায়ালা কোন নবীর প্রতি অহী প্রেরণ
    করিয়াছিলেন, যে
    কেহ জীবনে ৪হাজার বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িয়াছে বলিয়া
    তাহার আমলনামায় লেখা থাকিলে হাশরের দিন তাহার পতাকা আরশের নিকট স্থাপিত
    হইবে ।

    (তাঃ কবীর)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর ক্ষমতা

  • বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পাঠকারীর দিবারাত্রির অধিকাংশ গোনাহ
    আল্লাহ তায়ালা মাফ করিয়া দেন ।
  • কোন ব্যাক্তির অন্তিম উপদেশ মতে তাহার
    মৃত্যুর পর তাহার কপালে ও বুকে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লিখিয়া দেওয়া
    হইয়াছিল ।

    কথিত আছে, ঐ ব্যাক্তি ইহার বরকতে কবর আযাব হইতে সম্পূর্ণ রেহাই পাইয়াছিল ।
    বলাবাহুল্য, এই অবস্থায় আঙ্গুল দ্বারা ইঙ্গিত লিখিয়া দিতে হয় । (দুররুল
    মোখতার)
  • একজন অলী তাহার কাফনে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আয়াত শরীফ লিখিয়া
    দিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন । ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি উত্তর করেন যে,
    হাশরের দিন আমি আল্লাহর নিকট তাহার করুণাময় নামের উপযুক্ত মূল্য দাবী করিব ।
    (তঃ কবীর)
  • অধিক পরিমাণে
    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িলে পড়িলে পরলোকগত মাতা-পিতার গোনাহ মাফ
    হইয়া যায় বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে ।
  • ইমাম গায্‌যালী (রহঃ) বলিয়াছেন যে, কোন সৎ বাসনা পূর্ণ হওয়ার জন্য
    এক হাজার বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িয়া দুই রাকাত নফল নামায
    পড়িবে

    ও নিজের মনের বাসনা সম্বন্ধে মোনাজাত করিবে । এইরূপে ১২হাজার বার একই রাত্রে
    পড়িবে । ইনশাআল্লাহ মনের বাসনে পূর্ণ হইবে ।

  • অধিক সংখ্যায় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িলে আল্লাহ তায়ালা রুযী এত
    বেশি করিয়া দেন

    যে, তাহা ধারণা করা যায় না এবং মানুষ পাঠকারীকে ভয় ও ভক্তি করিয়া থাকে ।

১৯ বার বিসমিল্লাহ পড়ার ফজিলত

  • শয়নকালে ১৯ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িয়া শুইলে সেই
    রাত্রে শয়তান, মানুষ, চোর, ডাকাত, অগ্নিদাহ, দৈব মৃত্যু ও প্রত্যেক প্রকার
    বিপদ হইতে রক্ষা পাওয়া যায় ।
  • পাগল, মৃগীরোগী কিংবা, জ্বি‌নে পাওয়া লোকের কানে
    ৪১ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িয়া ফুকিলে তৎক্ষণাৎ তাহার
    চৈতন্য হয় ।
  • অত্যাচারী
    জালিম ব্যক্তির সম্মুখে ৫০ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িলে
    অত্যাচারী ও জালিম ব্যক্তি নত হইবে

    , তাহাদের মনে ভয় ও ভক্তির উদ্রেক হইবে এবং তাহাদের অত্যাচার হইতে রক্ষা
    পাওয়া যাইবে।

  • একশত বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িয়া বেদনাস্থলে কিংবা
    জাদুগ্রস্ত ব্যক্তির উপর ৭দিন ফুঁকিলে বেদনা ও জাদু দূর হয় ।

২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ার ফজিলত

  • খালেছ নিয়তে
    ২১ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িয়া বৃষ্টির জন্য দোয়া করিলে
    আল্লাহর ফজলে বৃষ্টি হইবে ।
  • প্রত্যেক রবিবারে সূর্যোদয়ের সময় কেবলামুখী হইয়া ৩১৩ বার বিসমিল্লাহির
    রাহমানির রাহিম পড়িয়া ১০০ বার দরূদ শরীফ পড়িলে আশাতীতভাবে রুযী বৃদ্ধি পায় ।
  • ৭দিন রোজা রাখিয়া নির্জন স্থানে বসিয়া বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
    প্রত্যহ ৭৮৭ বার পড়িতে থাকিবে ।
  • বাসনা পূর্ণ হওয়ার জন্য শত্রু বা অত্যাচারীর হাত হইতে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং
    ব্যবসা বাণিজ্যে লাভবান হওয়ার জন্য প্রত্যহ ৭৮৭ বার বিসমিল্লাহির
    রাহমানির রাহিম পড়িতে থাকিবে ।
  • ৪০ দিন পর্যন্ত প্রত্যহ ফজরের নামাজের পর খালেছ নিয়তে ২৫০০
    বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িলে আল্লাহর তায়ালা অন্তর খুলিয়া
    দিবেন ও অন্তরের অদৃশ্য বিষয়ের তত্ত্বসকল প্রকাশ পাইবে । সমস্ত মানুষ তাহার
    ভক্ত ও অনুরক্ত হইবে এবং সে ব্যক্তি লোকের অন্তঃকরণ আকর্ষণ করিতে পারিবে ।
  • সর্বদা দৈনিক এক হাজার বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িলে আল্লাহ
    অতি সহজে দীন-দুনিয়ার মতলব পূর্ণ করিয়া দেন ।

বিসমিল্লাহ পড়ার ফজিলত

  • ২৫০০ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িলে সকল লোক বাধ্য থাকে ।
  • কারারুদ্ধ কিংবা বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি দিবারাত্রি এক হাজার বার পড়িলে জেল হইতে
    মুক্তি লাভ করে ও বিপদ হইতে উদ্ধার পায় ।
  • বর্ষার পানির উপর এক হাজার বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িয়া
    যাহাকে খাওয়াইবে সে অতি প্রিয়পাত্র হইবে এবং ঐ পানি ৭দিন পর্যন্ত সূর্যোদয়ের
    সময় পান করিলে মেধা ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায় ।
  • যে ব্যক্তি উঠিতে বসিতে বিসমিল্লাহ পড়িবে, আল্লাহ তায়ালা তাহার মৃত্যু
    যন্ত্রণা ও মনকির নকিরের সওয়াল জওয়াব সহজ করিয়া দেন এবং তাহার কবর অতি
    প্রশস্ত করিয়া দেন, হিসাব নিকাশ সহজভাবে হয় ও সে অনায়াসে বেহেশতে দাখিল হয় ।
  • ৬২৫ বার লিখিয়া সঙ্গে রাখিলে লোকের নিকট সম্মান লাভ করে কেহ কোন ক্ষতি করিতে
    পারে না ।

৭৮৬ বার বিসমিল্লাহ পড়ার ফজিলত

  • ফজর ও এশার নামাজের পর ৭৮৬ বার বিসমিল্লাহ পড়িলে মনের কামনা পূর্ণ হয় ও সকল
    প্রকার বিপদ হইতে নিরাপদ থাকা যায় ।
  • মনের বাসনা পূর্ণ হওয়ার জন্য রাত্রে কোরআন শরীফের প্রত্যেক ছতরের উপর
    বিসমিল্লাহ বলিয়া আঙ্গুল বুলাইয়া যাইবে, এইভাবে সমস্ত কোরআন শরীফ খতম
    করিবে, ইনশাআল্লাহ মনের বাসনা পূর্ণ হইবে ।
  • কাগজে ১০০ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লিখিয়া মাটির পাত্রের মধ্যে
    ভরিয়া ক্ষেতের মধ্যে পুতিয়া রাখিলে ইনশাআল্লাহ ক্ষেতে বেশি ফসল হইবে ও আপদ
    বিপদ হইতে নিরাপদ থাকিবে ।
বন্ধুরা আজকের বিসমিল্লাহর ফজিলত ও আমল সম্পর্কে লেখা যদি আপনার ভালো লাগে
তাহলে বন্ধুদের কাছে সেয়ার করবেন এবং একটি কমেন্ট করে জানাবেন কেমন লেগেছে আজকের
পোস্ট ।

বিসমিল্লাহ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সঠিক বানান

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
[ ﷽ ] (আরবি: بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ, বি-স্‌মি ল্‌লাহি
র্‌-রাহ্‌মানি র্‌-রাহিম); সংক্ষেপে বিসমিল্লাহ নামেও পরিচিত), বা
তাসমিয়াহ (আরবি: تَسْمِيَّة) হলো একটি ইসলামি বাক্যাংশ যার অর্থ “পরম
করুণাময়, অসীম দয়াবান আল্লাহর নামে”।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর অর্থ কি

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর অর্থ
“পরম করুণাময়, অসীম দয়াবান আল্লাহর নামে”।

১৯ বার বিসমিল্লাহ পড়ার ফজিলত

শয়নকালে ১৯ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িয়া শুইলে সেই রাত্রে শয়তান,
মানুষ, চোর, ডাকাত, অগ্নিদাহ, দৈব মৃত্যু ও প্রত্যেক প্রকার বিপদ হইতে
রক্ষা পাওয়া যায় ।

২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ার ফজিলত

খালেছ নিয়তে ২১ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়িয়া বৃষ্টির জন্য
দোয়া করিলে আল্লাহর ফজলে বৃষ্টি হইবে ।