১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা
বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমি ১৫ই আগস্ট উপস্থিত বক্তৃতা দেওয়ার জন্য নমুনা স্ক্রিপ্ট লিখে দিলাম আশা করি আপনাদের কাজে আসবে ।
১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা
যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই ।
হ্যাঁ, মাননীয় সভাপতি ও সুধীবৃন্দ এটা শুধু নিছক গান নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির
হৃদয়ের বেদনার্ত হাহাকারের সুর । যে সুরে ধ্বনিত হয়েছে সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ,
পিতার সকরুণ বেদনা, সমগ্র জাতির কন্ঠে এই বেদনাবিধুর সুর ধ্বনিত হয়েছে-
বিশ্ববিধাতার কাছে সকরুণ ফরিয়াদ হিসেবে ।
হৃদয়ের বেদনার্ত হাহাকারের সুর । যে সুরে ধ্বনিত হয়েছে সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ,
পিতার সকরুণ বেদনা, সমগ্র জাতির কন্ঠে এই বেদনাবিধুর সুর ধ্বনিত হয়েছে-
বিশ্ববিধাতার কাছে সকরুণ ফরিয়াদ হিসেবে ।
সম্মানিত সুধীবৃন্দ, আজ ১৫ই আগস্ট । জাতীয় শোক দিবস। এই শোক সমগ্র জাতির । এ
দিনে আমরা হারিয়েছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকে । আমরা এমন এক মহান নেতাকে হারিয়েছি যা কখনো শোকের মাধ্যমে
পূরণ হবার নয় । মহান নেতার শুভাগমনের মধ্য দিয়ে আকাশ-বাতাসে মানুষের মুক্তির
বাণি ধ্বনিত হতো ।
দিনে আমরা হারিয়েছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকে । আমরা এমন এক মহান নেতাকে হারিয়েছি যা কখনো শোকের মাধ্যমে
পূরণ হবার নয় । মহান নেতার শুভাগমনের মধ্য দিয়ে আকাশ-বাতাসে মানুষের মুক্তির
বাণি ধ্বনিত হতো ।
চিরকাল যে মহান নেতা মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন শোষিত বঞ্চিত মানুষকে জীবনের
জয়গান শুনিয়েছেন এবং বাংলার মানুষকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধু হতে পেরেছিলেন। সেই
বাংলার বন্ধুকে, ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন জীবনের পথপ্রদর্শককে আমরা হারিয়েছি। এর
চেয়ে দুঃখজনক, বেদনা-দায়ক আর কি হতে পারে! জাতির জীবনে এর চেয়ে শোকময় ঘটনা
দ্বিতীয় টি নেই ।
জয়গান শুনিয়েছেন এবং বাংলার মানুষকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধু হতে পেরেছিলেন। সেই
বাংলার বন্ধুকে, ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন জীবনের পথপ্রদর্শককে আমরা হারিয়েছি। এর
চেয়ে দুঃখজনক, বেদনা-দায়ক আর কি হতে পারে! জাতির জীবনে এর চেয়ে শোকময় ঘটনা
দ্বিতীয় টি নেই ।
সুধী, সমগ্র জাতির জন্য আজ কান্নাভরা বেদনার দিন । আপনারা জানেন, তিনিই সেই মহান
মুক্তিদাতা যিনি তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষকে মুক্তির উদ্দেশ্য স্বাধীন দেশের
প্রত্য্য নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন । তার আহ্বানেই সমগ্র জাতি একই লক্ষ্যে
অভিন্ন সত্তায় মিলিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ও স্বাধীনতার যুদ্ধ এক অভিন্ন ইতিহাস ।
মুক্তিদাতা যিনি তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষকে মুক্তির উদ্দেশ্য স্বাধীন দেশের
প্রত্য্য নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন । তার আহ্বানেই সমগ্র জাতি একই লক্ষ্যে
অভিন্ন সত্তায় মিলিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ও স্বাধীনতার যুদ্ধ এক অভিন্ন ইতিহাস ।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ পাকিস্তানি সৌরাচারি
শাসনের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন । ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহিদ হন । জীবনের
বিনিময়ে বাঙালিরা স্বাধীনতা অর্জন করেন । বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর
দায়িত্ব গ্রহণ করেন ।
শাসনের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন । ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহিদ হন । জীবনের
বিনিময়ে বাঙালিরা স্বাধীনতা অর্জন করেন । বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর
দায়িত্ব গ্রহণ করেন ।
সমবেত সুধী, আপনারা জানেন যে, এ মহান নেতার মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয় ।
স্বাধীন বাংলাদেশের দুষ্কৃতিকারী কিছু সংখ্যক সামরিক আমলা, ক্ষমতালোভী দেশ
বিরোধীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে
হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায়ের সূচনা করা হয় । বঙ্গবন্ধু
হত্যাকান্ড কেবল ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করে নি, বরং এটি ছিল একটি রাজনৈতিক
দর্শনকে নিশ্চিহ্ন করবার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিলো।
স্বাধীন বাংলাদেশের দুষ্কৃতিকারী কিছু সংখ্যক সামরিক আমলা, ক্ষমতালোভী দেশ
বিরোধীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে
হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায়ের সূচনা করা হয় । বঙ্গবন্ধু
হত্যাকান্ড কেবল ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করে নি, বরং এটি ছিল একটি রাজনৈতিক
দর্শনকে নিশ্চিহ্ন করবার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিলো।
একাত্তরের পরাজিত রাজাকার, আলবদর, পরাজিত পাকিস্তান এবং সাম্রাজ্যবাদের নী নকশায়
ইতিহাসের এই জঘন্যতম নৃশংস হত্যাকান্ড । এই ঘটনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মূল
চেতনা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বিরোধী রাষ্ট্র কায়েম করে ।
ইতিহাসের এই জঘন্যতম নৃশংস হত্যাকান্ড । এই ঘটনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মূল
চেতনা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র বিরোধী রাষ্ট্র কায়েম করে ।
সুধী, এ-কথা আমরা সকলেই জানি যে-বিশবের এমন কিছু দেশ আছে যাদের স্বাধীনতার জন্য
এক একজন মহিরুহ সদৃশ দেশনেতার অবদান সর্বাধিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি পায় । এই
ব্যক্তিই জাতির জনক ও দেশের স্থপতিরূপে নন্দিত হন ।
এক একজন মহিরুহ সদৃশ দেশনেতার অবদান সর্বাধিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি পায় । এই
ব্যক্তিই জাতির জনক ও দেশের স্থপতিরূপে নন্দিত হন ।
বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।
যার নেতৃত্বেই পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটি স্বাধীন দেশের জম্ম হয় তার নাম বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশের নামের সাথে, ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মিশে
আছে, স্বর্ণাক্ষরে লিখিত হয়েছে, অবিনশ্বর ও চির অমর সে নাম । যেমন আছে
যার নেতৃত্বেই পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটি স্বাধীন দেশের জম্ম হয় তার নাম বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশের নামের সাথে, ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মিশে
আছে, স্বর্ণাক্ষরে লিখিত হয়েছে, অবিনশ্বর ও চির অমর সে নাম । যেমন আছে
- আমেরিকায় আব্রাহামলিংকন ।
- ভিয়েতনামে হোচিমিন ।
- চিনে মাওসেতুঙ ।
- তুরুস্কে কামাল আতাতুর্ক ।
- ভারতবর্ষে মহাত্মা গান্ধী ।
- দক্ষিণ আফ্রিকায় নেলসন ম্যান্ডেল ।
- কিউবায় ফিদেল ক্যাস্ট্রো।
- ফিলিস্তিনে ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ ।
এই মহান ব্যক্তিরা ইতিহাসের বাঁক ঘুরে ঘুরে কালকালান্তর মানুষের মাঝে চির
অবিনশ্বর, অক্ষয় অমর । মহানকাল ধরে বাঙালি তথা বাংলাদেশের মানুষের তাঁদের
অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক, বাংলার প্রাণ বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবেঃ
অবিনশ্বর, অক্ষয় অমর । মহানকাল ধরে বাঙালি তথা বাংলাদেশের মানুষের তাঁদের
অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক, বাংলার প্রাণ বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবেঃ
যতদিন রবে পদ্মা-মেঘনা
গৌরী-যমুনা বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান ।
আমার এই ওয়েসাইটে বক্তব্য দেওয়ার আরো অনেক গুলো পোস্ট দেওয়া হয়েছে । সব গুলো পড়ার পর আশা করি আপনি সুন্দর ভাবে ১৫ই আগস্ট বক্তব্য দিতে পারবেন ।