২৬শে মার্চঅনুষ্ঠানের বক্তব্য

২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য| স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আমি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলো হয়। সে অনুষ্ঠানে আপনি

কিভাবে একটি বক্তব্য রাখতে পারেন এই নিয়ে বিস্তারিত আমি ডেমো স্ক্রিপ্ট এর

মাধ্যমে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি আপনার ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা

ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে কিভাবে বক্তব্য রাখবেন । সেই স্ক্রিপ্ট উপর ভিত্তি করে

আপনার নিজেদের মতো করে গুছিয়ে একটি বক্তব্য তৈরি করতে পারবেন ।

স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য

আমি আমার ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শুরুতেই আজকের অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, সম্মানিত প্রধান

অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং আমার সম্মুখে উপবিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সুধীজন সবাইকে

জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

আজ ২৬ শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালির

অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানি

হানাদার বাহিনী বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ।

বাঙালি জাতির জীবনে স্বাধীনতা দিবস একই সঙ্গে আনন্দ বেদনার দিন। ৫২-এর

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাদিকারের চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তা ধাপে

ধাপে স্বাধীনতার আন্দোলনের রূপ নেয় দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে উপমহাদেশ ভাগের

পর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকেরা বাঙালির উপর শোষণ এবং ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আগ্রাসন

চালাতে থাকে ।

এই প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধিকারের দাবিতে জেগে

ওঠা নিরীহ বাঙালির উপর ২৫ শে মার্চ কাল রাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চালায় বর্বর গণহত্যা ।

See also  ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বক্তব্য

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য

গণহত্যা চালানোর পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতারের পূর্ব

মুহূর্তে বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার

ঘোষণা করেন। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুত হয় ঘটে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ

রাষ্ট্রের ।

জাতির পিতার আহ্বানের সাড়া দিয়ে বাংলার সর্বস্তরে জনগণ জাতি, ধর্ম, বর্ণ

নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ছাপিয়ে পড়ে । দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী

গৌরবোজ্জল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা বোনের

সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাংলার জনগন অর্জন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির ২০ বছরের রক্তঝরা সংগ্রাম শেষে

মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে সারা বাংলার জনগণকে অপরিসীম ত্যাগের সম্মুখীন হতে

হয়েছিল ।

২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে

প্রিয় সুধী,

৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ৫৬-এর সংবিধান প্রণয়নের

আন্দোলন, ৫৮-এর মার্শাল ল বিরোধী আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন,

৬৬-এর বাঙালির মুক্তির সনদ ৬- দফার আন্দোলন, ৬৯-এর রক্তঝরা, গণঅভ্যুস্থানের পথ

পেরিয়ে, ৭০-এর ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন সবই

বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জল ইতিহাসের মাইলফলক ।

পাকিস্তানী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছরের বেশি সময় কারাগারে অভ্যন্তরে থাকা, কয়েকবার

ফাঁসির কাষ্ঠের মুখোমুখি, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় অসংখ্যবার কারাবরণ করার পরও

এদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে প্রেরণা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

রহমান ।

তার অপরিসীম সাহস, দৃঢ়চেতা মনোভাব ও আকর্ষণ নেতৃত্ব পরাধীন বাঙালি জাতিকে

সংগ্রামী হওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল । ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়াদী

উদ্যানের বক্তব্যে বাঙ্গালীদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে স্বাধীনতার অর্জনের

লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস

যুগিয়েছিল ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের মুখে হাসি

ফোটানোই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য। তিনি জেল জুলুম

See also  জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৩

হুলিয়া শত যন্ত্রণা দুঃখ কষ্ট বেদনাকে সহ্য করেও বাংলা কৃষক শ্রমিক জনতার মুখে

হাসি ফোটানোর জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়েছেন ।

বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এই তিনটি বিষয়কে বাংলার জনগণ এক বৃত্তে তিনটি চেতনার

ফুল হিসেবে মনে করে । এই কারণে বিশ্বের মুক্তি আমি মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধু চিরদিন

অম্লান হয়ে থাকবেন এবং বাংলার জনগণের হৃদয়ে ছিল ভাস্বর হয়ে থাকবেন ।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কিছু কথা

সুপ্রিয় সুধী,

স্বাধীনতা রক্ষার জন্য স্বাধীনতাকে মর্যাদা দিতে হয় এবং থাকতে হয় সদা সতর্ক ।

তাই স্বাধীনতার মর্ম উপলব্ধি করে একে রক্ষা করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য ।

আসুন আমরা সবাই মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সুখী

সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি আজকের দিনে এই হোক আমাদের প্রিয়

অঙ্গীকার ।

বন্ধুরা আমি এতক্ষন আলোচনা করলাম ২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ও জাতীয় দিবসে

অনুষ্ঠানে আপনি কিভাবে একটি বক্তব্য রাখতে পারেন এই নিয়ে বিস্তারিত ।

আশা করি আপনারা যারা ২৬ শে মার্চে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে যাচ্ছেন তাদের জন্য

আজকে পোস্ট কাজে লাগবে বক্তব্য রাখার আগে অবশ্যই স্ক্রিপ তৈরি করে ফেলবেন কোন কোন

পয়েন্টে আপনি কথা বলবেন । না দেখে বক্তব্য রাখার চেষ্টা করবেন ।

ধন্যবাদ