অনুষ্ঠানের বক্তব্য

ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য – Indian Independence Day 2023 speech in bengali

indian independence day speech in bengali, 15 august speech in bengali, 15 august speech in bengali language, 15 august independence day speech in bengali, 15 august speech, 15 august speech bangla, independence day speech in bengali, indian independence day speech in bengali, independence day speech, independence day speech bangla, bangla independence day speech, bengali speech on independence day, independence day, 15 august speech in bengali, 15 august speech bangla, children independence day speech bangla, history of independence day bengali, 15 august speech, happy independence day, independence day bangla speech, Indian Independence Day 2023 speech in bengali, 2023 Indian Independence Day speech bangla, Indian Independence Day 2023, Indian Republic Day, 15 August speech in bengali, স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা, স্বাধীনতা দিবস, স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য, স্বাধীনতা দিবস বক্তৃতা, স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য, স্বাধীনতা দিবস এর বক্তৃতা, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ, স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস, ১৫ আগস্ট কেন পালিত হয় ভারতের স্বাধীনতা দিবস, স্বাধীনতা দিবস 2023, স্বাধীনতা দিবস ২০২৩, ছোটদের স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য, ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস, ভারতের স্বাধীনতা দিবস 2023, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস, 2023 ভারতের স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য, ভারতের স্বাধীনতা দিবস 2023 বক্তৃতা,
বন্ধুরা, আজকে আমি ১৫ই আগস্টের ভারতের স্বাধীনতা উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে
ধরার চেষ্টা করেছি । এই বক্তব্য আপনি স্কুল-কলেজে বা বিভিন্ন মঞ্চে ভাষন দিতে
পারবেন । তাহলে চলুন বক্তব্য শুরু করে দিই ।

ভারতের স্বাধীনতা দিবসের জন্য বক্তৃতার উদাহরণ

উপস্থিত প্রধানশিক্ষক/ প্রধানশিক্ষকা, সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, অতিথি এবং
বন্ধুদের জানাই ভারতের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
 সকলের সামনে এই বিশেষ দিনে আমাকে কিছু বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য
ধন্যবাদ।
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয়ার দিনটিকে উদযাপন করতে আজ আমরা সবাই এখানে
মিলিত হয়েছি । এখন ভারতের ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু
বলবো আমি।
স্বাধীনতা আমাদের সকলের কাছে এক পরম কাঙ্ক্ষিত বিষয় । স্বাধীনতা ছাড়া কোন জাতি
বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না, তাই পৃথিবীতে স্বাধীনতা একান্ত
প্রয়োজনীয় ।
১৫ই আগস্ট আমাদের ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিবস । ১৯৪৭ সালে এই দিনে আমাদের
দেশ ব্রিটিশদের পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়েছিল ।
তবে এই স্বাধীনতা কোন এক দিনে কিংবা অনুনয় বিনয়ের মাধ্যমে আসেনি। আমরা ইতিহাসে
পড়েছি বহু বিপ্লবী রক্তের সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা এসেছিল।
আজ দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির এত বছর পর ভারত মাতার সেই বীর সন্তানদের প্রতি আমরা
শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই ।
সপ্তদশ শতক থেকে ভারতবর্ষে ইংরেজরা বাণিজ্য করার জন্য বসতি স্থাপন করে । তারপর
ধীরে ধীরে তারা ভারতবর্ষে রাজনৈতিক ক্ষমতার দখল করার দিকে হাত বাড়ায় ।
অবশেষে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধে বাংলা স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার
পরাজয়ের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয় ।
তারপর থেকে ভারতের উপরে চলছে ইংরেজদের শোষণ এবং অত্যাচার সমৃদ্ধ ভারতবর্ষ থেকে
সম্পদ লুট করে নিয়ে গিয়ে ব্রিটেন ফুলে ফেটে উঠেছে । ভারতবর্ষে দেখা দিয়েছে
একের পর এক মহামারী খাদ্যাভাব দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি ।
যত দিন গেছে ভারত-দরিদ্র থেকে দরিদ্রতা হয়েছে । পরাধীনতার বেড়াজালে যতই
ভারতবাসী জড়িয়ে পড়েছে সময়ের সাথে সাথে ততই তীব্র হয়েছে তাদের স্বাধীনতার
আকাঙ্ক্ষা ।
এই দেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা সংস্কৃতির বিস্তারের মাধ্যমে ভারতবাসীর জানতে পেরেছে
ফরাসি বিপ্লবের কথা । বুঝেছে সাম্য মৈত্রী ও স্বাধীনতার গুরুত্ব তারপর থেকেই ধীরে
ধীরে তারা ইংরেজ শাসকের কাছে নিজেদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করতে শুরু করেছিল ।
সেই দাবি দাওয়া গুলির অনাদায়ে ভারতবাসী রাস্তায় নেমেছে শাসকের বিরুদ্ধে
আন্দোলন করেছে এইভাবে ধীরে ধীরে বৃহত্তর আন্দোলন এবং সংগ্রামের ক্ষেত্র প্রস্তুত
হয়েছে।
শুধুমাত্র অনুনয় বিনয় এর মাধ্যমে দাবী দাওয়া পেশ করে স্বাধীনতা আদায় করা
যায়নি। তার জন্য দীর্ঘ ১৯০ বছর ধরে বহু রক্ত ঝরেছে দেশ জুড়ে দেশের উপর ব্রিটিশ
শাসকদের শোষণের নাক পাস যখন তীব্র থেকে তীব্রতার হয়েছে তখন থেকেই ধীরে ধীরে
ভারতবর্ষের মধ্যে খোব দানা বেধেছে ।
এই খোবের প্রথম বহিঃপ্রকাশ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের মাধ্যমে ব্যারাকপুর
সেনাছামনিতে মঙ্গল পান্ডে বিদ্রোহের আগুন জেলে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম
শহীদ হন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিদ্রোহের
আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ।
স্বাধীনতা লাভের আগে পর্যন্ত এই আগুনকে নেভানো যায়নি জাতিকে স্বাধীন করার
আকাঙ্ক্ষায় দেশপ্রেমের এই আগুনে আত্মহতি দিয়েছেন ক্ষুদিরাম বোস থেকে শুরু করে
বিনয়, বাদল, দীনেশ সূর্যসেন, ভগৎ সিং সকলেই ।
বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজীর হাত ধরে এক নতুন
মাত্রা যোগ হয় । সমগ্র দেশের মানুষ একযোগে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলনের
সামিল হন। গান্ধীজীর অহিংসা ও সত্যাগ্রহের মধ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমগ্র দেশজুড়ে
একের পর এক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অসহযোগ, আইন অমান্য এবং সর্বশেষে ভারত ছাড়ো
আন্দোলন এই আন্দোলন গুলোতে ।
ভারত বর্ষ তার বহু বীর সন্তানদের হারায় অন্যদিকে
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস আজাধীন ফৌজ গঠন করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
করেন ।
 দেশের মানুষ দুই হাত তুলেই মহান সংগ্রামকে সমর্থন জানায় ।
একদিকে ব্যাপক গণআন্দোলন আজাধীন ফৌজে আগ্রাসন নৌ বিদ্রোহ আর অন্যদিকে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কা সামলাতে না পেরে ব্রিটেন ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা দানে বাধ্য
হয়। তখন ভারত বর্ষ ও পাকিস্তান এই দুইটি দেশে ভাগ হয়ে যায় ।
অবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট মধ্যরাতে ভারত বর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে ।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু তিরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন।
আমাদের কাছে স্বাধীনতা দিবস এক অনন্ত আনন্দের দিন এই দিন পাড়ায় পাড়ায়,
স্কুলে-কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ।
প্রতিবছর ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পতাকা
উত্তোলনের শামিল হই ।
এই দিন প্রতিটি বিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।
দেশের প্রধানমন্ত্রী এই দিনে দিল্লির লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করে জাতির
উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ।
অন্যদিকে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতীয় সংগীত গেয়ে সংকল্প
গ্রহণ করি যে স্বপ্ন আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেখেছিলেন আমরা সেগুলোকে
সার্থক করে তুলবো। এখন আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি । 
জয় হিন্দ
বন্দেমাতারাম
ভারত মাতা কি জয়।
আমার কিছু কথা
আশা করি, এই বক্তব্য আপনাদের কাজে লাগবে । এই লেখাগুলো অনেক কষ্ট করে লিখেছি,
লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে আপনারা একটু কষ্ট করে ঠিক করে নিবেন ।
পরিশেষে আমার একটা অনুরোধ আমার এই পোস্ট বন্ধুদের কাছে সেয়ার করে আমার কষ্ট
সার্থক করবেন । ধন্যবাদ