পিসি সরকারের ১৬টি জাদু শিক্ষা – pc sorcar magic tricks
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন, আজকে আমি আপনাদের জন্য ১৬টি জাদু নিয়ে একটি পোস্ট
করলাম । আসলে জাদু বলতে কিছু হয় না সবই হাত সাফাই বা কৌশল । নিচে ১৬টি জাদুর কৌশল
দেওয়া হলো ।
করলাম । আসলে জাদু বলতে কিছু হয় না সবই হাত সাফাই বা কৌশল । নিচে ১৬টি জাদুর কৌশল
দেওয়া হলো ।
খুজে নিন সঠিক কার্ড
খুজে নিন সঠিক কার্ড এটা এমন একটি ট্রিক যা আপনাকে আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের
চোখে বানাবে জাদুকর। আর পরিবেশটিকে করে তুলবে আনন্দময়। আর দেরি না করে এবার জেনে
নিই ট্রিকটিঃ
চোখে বানাবে জাদুকর। আর পরিবেশটিকে করে তুলবে আনন্দময়। আর দেরি না করে এবার জেনে
নিই ট্রিকটিঃ
সবাই দেখবে ৫২ টা কার্ডের মধ্য হতে আপনার সামনের মানুষ যে কার্ড টি তুলবে আপনি
ঠিক সেই কার্ডটি খুজে বের করে দিচ্ছেন।
ঠিক সেই কার্ডটি খুজে বের করে দিচ্ছেন।
প্রস্তুতিঃ
প্রথমে এক সেট নতুন কার্ড নিবেন, তারপর এই সবগুলো কার্ডের পিছনের দিক একই রকম
করতে হবে।
করতে হবে।
পদ্ধতিঃ
-
কার্ডগুলো সাজানোর পর সামনের মানুষটিকে যে কোন একটি কার্ড বেছে নিতে বলতে
হবে। -
কার্ডটি সামনের মানুষটিকে ভালো করে দেখে আবার সবগুলো কার্ডের মধ্যে ঢুকিয়ে
দিতে হবে। ওই কার্ডটি যেন সামনের মানুষটি বাদে আর কেউ না দেখে। -
যখন ওই কার্ডটি দেখে ঢুকানো হবে তখন হাতের সবগুলো কার্ড উলটে ঘুরিয়ে এরপর ওই
কার্ডটি ঢুকাতে হবে। এতে করে আপনার সবগুলো কার্ড এর মধ্য একটি কার্ডের পিছনের
দিক অন্যরকম থাকবে। এবং আপনি তা খুজে বের করে সামনের মানুষটিকে চমকিয়ে দিতে
সক্ষম হবেন।
সতর্কতাঃ
-
আপনি যে সবগুলো কার্ডের পিছনের দিক একই রকম রেখেছেন তা যেন সামনের মানুষটি
টের না পায়। -
কার্ডটি ঢুকানোর আগে যে আপনি বাকি কার্ড গুলো ঘুরিয়েছেন তা যেন সামনের
মানুষটি টের না পায়।
লেবু কাটলে রক্ত বের হবে
ম্যাজিক শেখার প্রতি ব্যাপারে আমাদের সকলেরই কম বেশি আগ্রহ থাকে। কিন্তু ম্যাজিক
শিখতে যখন অনেক সময় লেগে যায়, তখন আমাদের শেখার আগ্রহটা আস্তে আস্তে কমে যায়। তাই
আমি সংক্ষিপ্তভাবে ম্যাজিক গুলো আপনাদেরকে শিখাব। শুরু করা যাক আমাদের আজকের
ম্যাজিকঃ
শিখতে যখন অনেক সময় লেগে যায়, তখন আমাদের শেখার আগ্রহটা আস্তে আস্তে কমে যায়। তাই
আমি সংক্ষিপ্তভাবে ম্যাজিক গুলো আপনাদেরকে শিখাব। শুরু করা যাক আমাদের আজকের
ম্যাজিকঃ
প্রথমে একটি লেবু এবং ছুরি নিন। অন্য একজনকে ছুরি দিয়ে এই লেবুটি কাটটে বলুন।
দেখবেন লেবু থেকে লেবুর রস না বের হয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
দেখবেন লেবু থেকে লেবুর রস না বের হয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
যে কারণে রক্ত বের হবে, আপনি যে ছুরি দিয়ে লেবু কাটবেন। ২/৩ ঘন্টা আগে সে ছুরিতে
জবা ফুল ভালো ভাবে ঘসে রোদে শুকান। শুকানোর পর যে কাউকে ঐ ছুরি দিয়ে লেবুটি কাটটে
বলুন। দেখবেন লেবু থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
জবা ফুল ভালো ভাবে ঘসে রোদে শুকান। শুকানোর পর যে কাউকে ঐ ছুরি দিয়ে লেবুটি কাটটে
বলুন। দেখবেন লেবু থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
কারনঃ
শুকনো জবা ফুল লেবুর রস পেলে লাল রক্তের মতো দেখাবে। আশাকরি ম্যাজিকটা আপনারা
বুঝতে পেরেছেন।
বুঝতে পেরেছেন।
এক বেলুনের হাওয়া অন্য বেলুনে পাঠানো
রেডিও স্টেশন থেকে বেতার তরঙ্গে গান, বাজনা ভেসে আসে। আমরা হাজার হাজার মাইল দূরে
বসে অনায়েসে তা শুনতে পায় রেডিও এর মাধ্যমে। ঠিক তেমনি ভাবে জাদুকারেরা এক জায়গা
থেকে হাওয়া ছেড়ে অন্য জাগায় সেই হাওয়া ধরাতে পারেন জাদুর মাধ্যমে।
বসে অনায়েসে তা শুনতে পায় রেডিও এর মাধ্যমে। ঠিক তেমনি ভাবে জাদুকারেরা এক জায়গা
থেকে হাওয়া ছেড়ে অন্য জাগায় সেই হাওয়া ধরাতে পারেন জাদুর মাধ্যমে।
এই জিনিসটা দেখাবার জন্য জাদুকর একটা রবারের বেলুন একজন দর্শকের হাতে দিয়ে
তাকেসেটা ফুলাতে বলবেন। আর একটা বেলুন জাদুকর নিজের হাতে রাখলেন। এবার দর্শককে
তার বেলুনটা থেকে একটু একটু করে হাওয়া ছাড়তে বলা হল। দর্শক যখন তার ফোলানো
বেলুনটা থেকে একটু করে হাওয়া ছাড়লেন, তখন জাদুকরের হাতের বেলুনটা আপনা আপনি ফুলে
উঠতে লাগল ঐ হাওয়া ঢুকে।
তাকেসেটা ফুলাতে বলবেন। আর একটা বেলুন জাদুকর নিজের হাতে রাখলেন। এবার দর্শককে
তার বেলুনটা থেকে একটু একটু করে হাওয়া ছাড়তে বলা হল। দর্শক যখন তার ফোলানো
বেলুনটা থেকে একটু করে হাওয়া ছাড়লেন, তখন জাদুকরের হাতের বেলুনটা আপনা আপনি ফুলে
উঠতে লাগল ঐ হাওয়া ঢুকে।
এ ঘটনাটি শুনে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। ঘটনাটি অবাক করার মত হলেও কৌশলটা কিন্তু
খুবই সহজ। দর্শকের হাতে যে বেলুনটা দেওয়া হল সেটা অতি সাধারণ একটা বেলুন। কোন
কৌশলই নেই ওতে। আর জাদুকরের হাতের যে বেলুনটা আছে তার মধ্যে এক টুকরা ভিজে তুলো
দেওয়া আছে। তাছাড়াও ঐ বেলুনটার মুখের কাছে এক টুকরা ক্যালশিয়াম কারবাইড (গ্যাস
বাতি জ্বালাতে যা কাজে লাগে) আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরা আছে, যেন ভিতরে না পড়ে যায়।
দর্শক যখন ফুলানো বেলুন থেকে একটু একটু করে হাওয়া ছাড়তে আরম্ব করেছেন। তখন জাদুকর
আঙ্গুলটা একটু আলগা করতেই কারবাইডের টুকরাটা ভেতরে পড়ে গেল, এবং সঙ্গে সঙ্গে
মুখটা আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে রাখলেন। এখন কারবাইডের সাথে পানির রাসায়নিক ক্রিয়ার
এসিটিলিন গ্যাস আপনা আপনি তৈরি হয়ে বেলুন ফুলতে থাকবে। বেশ খানিকটা ফেলবার পর
মুখটা একটু খুলে রাখতে হবে, যাতে বেশি গ্যাস তৈরি হয়ে বেলুনটা ফেটে না যায়।
খুবই সহজ। দর্শকের হাতে যে বেলুনটা দেওয়া হল সেটা অতি সাধারণ একটা বেলুন। কোন
কৌশলই নেই ওতে। আর জাদুকরের হাতের যে বেলুনটা আছে তার মধ্যে এক টুকরা ভিজে তুলো
দেওয়া আছে। তাছাড়াও ঐ বেলুনটার মুখের কাছে এক টুকরা ক্যালশিয়াম কারবাইড (গ্যাস
বাতি জ্বালাতে যা কাজে লাগে) আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরা আছে, যেন ভিতরে না পড়ে যায়।
দর্শক যখন ফুলানো বেলুন থেকে একটু একটু করে হাওয়া ছাড়তে আরম্ব করেছেন। তখন জাদুকর
আঙ্গুলটা একটু আলগা করতেই কারবাইডের টুকরাটা ভেতরে পড়ে গেল, এবং সঙ্গে সঙ্গে
মুখটা আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে রাখলেন। এখন কারবাইডের সাথে পানির রাসায়নিক ক্রিয়ার
এসিটিলিন গ্যাস আপনা আপনি তৈরি হয়ে বেলুন ফুলতে থাকবে। বেশ খানিকটা ফেলবার পর
মুখটা একটু খুলে রাখতে হবে, যাতে বেশি গ্যাস তৈরি হয়ে বেলুনটা ফেটে না যায়।
এই জিনিসটা আপনারা গ্যাসবাতির দোকানে গেলেই পেয়ে যাবেন। তাদের কাছে এটা গ্যাসের
মসলা নামে পরিচিত।
মসলা নামে পরিচিত।
অংকের ছোট ম্যাজিক
এই ম্যাজিকটি ছোট হলেও মানুষকে কিন্তু অবাক করে দিবে। প্রথমে দর্শককে অনুরোধ করুন
পাশাপাশি তিনটি একই রকম অংক লিখতে। যেমনঃ (১১১,২২২) ইত্যাদি।
পাশাপাশি তিনটি একই রকম অংক লিখতে। যেমনঃ (১১১,২২২) ইত্যাদি।
তারপর তাকে ঐ অংক ৩ টির যোগফল দিয়ে ঐ তিন অংকের নির্বাচিত সংখ্যাকে ভাগ করতে
বলুন। আবার আপনি বলুন, এই অংকের ম্যাজিকে আমি কিছুই শুনিনি বা দেখিনি। আপনি ইচ্ছা
মত তিনটি একই রকম সংখ্যা লিখে, সংখ্যা তিনটির যোগফল দিয়ে ভাগ করেছেন। তভুও আমি
জাদুর সাহায্যে বলে দিতে পারি তার উত্তর। ( এবার আপনি এমনিএক ভাব করেন যেন কোন
জিন থেকে উত্তরটি শুনে নিচ্ছেন। ব্যাস বলে দিন ৩৭।
বলুন। আবার আপনি বলুন, এই অংকের ম্যাজিকে আমি কিছুই শুনিনি বা দেখিনি। আপনি ইচ্ছা
মত তিনটি একই রকম সংখ্যা লিখে, সংখ্যা তিনটির যোগফল দিয়ে ভাগ করেছেন। তভুও আমি
জাদুর সাহায্যে বলে দিতে পারি তার উত্তর। ( এবার আপনি এমনিএক ভাব করেন যেন কোন
জিন থেকে উত্তরটি শুনে নিচ্ছেন। ব্যাস বলে দিন ৩৭।
সবাই অবাক রেজাল্ট সঠিক। কি ভাবে?? আসলে মূল কথা হল সে একই রকম তিন অংকের যে
সংখ্যাটি লিখুক না কেন উত্তর সর্বদা ৩৭ হবেই।
সংখ্যাটি লিখুক না কেন উত্তর সর্বদা ৩৭ হবেই।
যেমন, ৪৪৪ কে ১২ (৪+৪+৪) দ্বারা ভাগ করলে ৩৭ হয়। এর উত্তরটি সব সময় এক হয়।
বেলুন ফুলিয়ে জ্বলন্ত আগুনে রাখা
চিন্তা করুন, যদি একটি বেলুন ফুলিয়ে জ্বলন্ত আগুনের শিখার উপর ধরা হয় তাহলে কি
ঘটবে। নিশ্চয় বেলুনটি ফেটে যাবে। কিন্তু যদি এমন হয় যে, বেলুন ফুলিয়ে জ্বলন্ত
আগুনের শিখার উপর ধরলেও বেলুনটি না ফাটে তাহলে কেমন হয়। আর এটা কি আদেও সম্ভব।
হ্যা অবশ্যই সম্ভব। চলুন দেখি কি ভাবে এই অসম্ভাবকে সম্ভাব করা যায়।
ঘটবে। নিশ্চয় বেলুনটি ফেটে যাবে। কিন্তু যদি এমন হয় যে, বেলুন ফুলিয়ে জ্বলন্ত
আগুনের শিখার উপর ধরলেও বেলুনটি না ফাটে তাহলে কেমন হয়। আর এটা কি আদেও সম্ভব।
হ্যা অবশ্যই সম্ভব। চলুন দেখি কি ভাবে এই অসম্ভাবকে সম্ভাব করা যায়।
এটা করতে যা যা লাগবেঃ
- একটি বেলুন।
- একটি মোমবাতি।
- কিছু পরিমাণ পানি।
প্রথমে মোমবাতিটি জ্বালান। এরপর বেলুনটিতে সামান্য পরিমাণ পানি দ্বারা ভর্তি
করুন। এরপর বেলুনটি ফুলিয়ে পানি বরাবর মোমবাতির জ্বলন্ত শিখার উপর রেখে তাপ দিন।
এখন দেখুনতো বেলুনটি ফাটে কিনা? কি দেখলেন, বেলুনটি ফাটলো না। হ্যা আপনি ঠিকই
দেখলেন, বেলুন আর ফাটবে না।
করুন। এরপর বেলুনটি ফুলিয়ে পানি বরাবর মোমবাতির জ্বলন্ত শিখার উপর রেখে তাপ দিন।
এখন দেখুনতো বেলুনটি ফাটে কিনা? কি দেখলেন, বেলুনটি ফাটলো না। হ্যা আপনি ঠিকই
দেখলেন, বেলুন আর ফাটবে না।
ডিম বোতলের ভিতর ঢুকানো
একটি ডিম কিভাবে বোতলের ভিতর প্রবেশ করাবেন। অবশ্য হাত দিয়ে চাপ দিয়ে ঢুকানো যায়।
কিন্তু হাত দিয়ে বা কোন কিছু দিয়ে চাপ না দিয়েও ডিমটি ভিতরে ঢুকানো সম্ভব। সেটা
কিভাবে সম্ভব চলুন তা দেখে নিইঃ
কিন্তু হাত দিয়ে বা কোন কিছু দিয়ে চাপ না দিয়েও ডিমটি ভিতরে ঢুকানো সম্ভব। সেটা
কিভাবে সম্ভব চলুন তা দেখে নিইঃ
এটা করতে যা যা লাগবেঃ
- খুব ভালো করে সিদ্ধ করা একটি ডিম।
- ডিরে মাঝের অংশের ব্যাসার্ধের চেয়ে কম ব্যাসার্ধের মুখওয়ালা।
- একটি কাঁচের বোতল।
- কাগজ।
- দিয়াশলাই।
এটা যেভাবে করতে হবেঃ
প্রথমে ডিমটির খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর বোতলের মুখে ডিমটি ধরবেন। তারপর দেখবেন
ডিমটি ভিতরে ঢুকল না। এখন এক টুকরা কাগজকে কয়েক ভাজ করে ডিয়াশলাইয়ের সাহায্যে
আগুন ধরিয়ে বোতরের ভিতর রাখি। এবং ৪/৫ সেকেন্ড পর ডিমটি বোতলের মুখের উপর রেখে
দিন। তারপর অপেক্ষা করুন আর দেখুন। কি দেখলেন, ডিমটি আস্তে করে বোতলের ভিতর ঢুকে
গেল।
ডিমটি ভিতরে ঢুকল না। এখন এক টুকরা কাগজকে কয়েক ভাজ করে ডিয়াশলাইয়ের সাহায্যে
আগুন ধরিয়ে বোতরের ভিতর রাখি। এবং ৪/৫ সেকেন্ড পর ডিমটি বোতলের মুখের উপর রেখে
দিন। তারপর অপেক্ষা করুন আর দেখুন। কি দেখলেন, ডিমটি আস্তে করে বোতলের ভিতর ঢুকে
গেল।
কয়েন অদৃশ্য করার ম্যাজিক
একটা কয়েনকে একটা গ্লাসের নিচে রাখলে। রাখার আগে গ্লাস টাকে কিছু দিয়ে ঢেকে নিলে।
ঢাকার পরে গ্লাসের ঢাকনিটা তুললে। কয়েনটি অদৃশ্য হয়ে গেল। সবাই অবাক কয়েনটি কোথায়
গেল গ্লাসের মধ্য হতে কয়েনটি কে উঠিয়ে নিল।
ঢাকার পরে গ্লাসের ঢাকনিটা তুললে। কয়েনটি অদৃশ্য হয়ে গেল। সবাই অবাক কয়েনটি কোথায়
গেল গ্লাসের মধ্য হতে কয়েনটি কে উঠিয়ে নিল।
আবার গ্লাসটিকে ঢাকনি দিয়ে ঢাকো। তারপর আবার ঢাকনিটি তুলো। এবার আবারও সবাই অবাক
কয়েনটি আবার কোথা থেকে এল। ম্যাজিকটি তো তুমিই করলে, তাও বুঝতে পারছ না কীভাবে
হলো? চলো তাহলে এবার বুঝে নেওয়া যাক এ অদ্ভুদ ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো।
কয়েনটি আবার কোথা থেকে এল। ম্যাজিকটি তো তুমিই করলে, তাও বুঝতে পারছ না কীভাবে
হলো? চলো তাহলে এবার বুঝে নেওয়া যাক এ অদ্ভুদ ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো।
এটি করতে যা যা লাগবেঃ
- A4 সাইজের একই রঙের দুইটি কাগজ।
- কাচি
- আঠা
- কলম
- সম্পূর্ণ গ্লাস আড়াল করার মত একটি কাগজ বা কাপড়ের ঢাকনি।
কয়েন অদৃশ্য যেভাবে করবেনঃ
- A4 সাইজের কাগজটিকে যেখানে ম্যাজিক দেখাবে সেই টেবিলে রাখবে।
-
২য় A4 সাইজের কাগজটি দিয়ে গ্লাসের মুখটার সমান করে একটা বৃত্ত এঁকে কাটবে।
এবার এই বৃত্তাকৃতির কাগজটি দিয়ে গ্লাসের মুখটা শক্ত করে আটকে দিবো। শক্ত করে
আটকানোর জন্য আঠা ব্যবহার করতে পার। গ্লাসের মুখে যদি কোন বাড়তি কাগজ থেকে
থাকে তবে কেটে মাপ মত করে নিবে। আমরাতো গ্লাসের মুখ আটকে দিলাম। এবার কয়েনটি
কিভাবে ভিতরে যাবে? এখানেই হল মূল ম্যাজিকের বিষয়। আমরা আসলে কয়েনটিকে
গ্লাসের ভিতর ঢুকাবোই না। সামনের ধাপ গুলো বললে বিয়য়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট
হয়ে যাবে। -
এখন গ্লাসটিকে একটি কাগজ বা কাপড়ের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ফেলবেন। এবার ঢাক
অবস্থায়, গ্লাসটি দিয়ে কয়েনটিকে চাপা দিবেন। কাজটি খুব দ্রুত করতে হবে।
গ্লাসটিকে উচু করে না এনে, একটু সাইড করে টান দিয়ে আনবেন। যেন দর্শক নিজের
কাগজের অস্তিত্ব টের না পায়। -
এখন গ্লাসের ঢাকনিটি খুলব। গ্লাসের ভিতর একদম ফাকা। এখানে কোন কয়েন নেই।
থাকবেই বা কি করে? কয়েনতো গ্লাসের মুখ লাগানো কাগজের নিচে। যেহেতু ম্যাজিকটি
যে তলে দেখানো হচ্ছে সেই তলের কাগজ আর গ্লাসের মুখে আটকানো কাগজ একই ধওনের
এবং রঙের। তাই গ্লাসের ভিতর যে কাগজ লাগানো আছে এটা বুঝা সহজ না। দর্শকের এই
না বুঝার সুযোগটাই আমরা কাজে লাগাব। -
আবার গ্লাসটিকে উপরের ঢাকনিটি দিয়ে গ্লাসটিকে আড়াল করে ফেলি। এবং কয়েনের উপর
থেকে গ্লাসটি সড়িয়ে দেখায় যে কয়েন ফিরে এসেছে। চমৎকার না ম্যাজিকটি।
সতর্কতা
এই ম্যাজিকটি করার পূর্বে বেশ কয়েকবার ট্রাই করে যখন পরিপূর্ণ কনফিডেন্স চলে
আসবে। তখন লোকদের সামনে দেখাবেন।
আসবে। তখন লোকদের সামনে দেখাবেন।
ধোঁয়া উড়বে হাত দিয়ে আগুন ছাড়াই
ধোঁয়া উড়বে হাত দিয়ে আগুন ছাড়াই। এটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি যে, কোন প্রকার
আগুন ছাড়াই আপনার হাত দিয়ে ধেঁয়া উড়বে। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের
ম্যাজিক।
আগুন ছাড়াই আপনার হাত দিয়ে ধেঁয়া উড়বে। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের
ম্যাজিক।
উপকরণঃ
৬০-৭০ টি ম্যাজের কাঠি ও কাচ।
প্রথমে ম্যাজের কাঠির মাথা থেকে বারুদগুলো ব্লেড অথবা ছুরি দিয়ে ভালোভাবে ছাড়িয়ে
একটা কাচের উপরে রাখুন। এবার তাতে আ ন ধরিয়ে দিন। পুড়ে যাওয়ার পর ছাইগুলো সাবধানে
সরিয়ে নিলে দেখা যাবে যে, কাচের উপর হালকা হলুদ রঙের কিছু তেল জমেছে। এবার ঐ তেল
হাতের দুই আঙ্গুলে ঘসে নিন। এখন ঐ দুই আংগুল একসাথে ঘসা দিলেই দেখতে পাবেন ধোঁয়া
উড়ছে। আপনি চাইলে ঐ ছোট বোতলে ভরে রেখে যে কোন সময় এই ম্যাজিক দেখাতে পারেন।
একটা কাচের উপরে রাখুন। এবার তাতে আ ন ধরিয়ে দিন। পুড়ে যাওয়ার পর ছাইগুলো সাবধানে
সরিয়ে নিলে দেখা যাবে যে, কাচের উপর হালকা হলুদ রঙের কিছু তেল জমেছে। এবার ঐ তেল
হাতের দুই আঙ্গুলে ঘসে নিন। এখন ঐ দুই আংগুল একসাথে ঘসা দিলেই দেখতে পাবেন ধোঁয়া
উড়ছে। আপনি চাইলে ঐ ছোট বোতলে ভরে রেখে যে কোন সময় এই ম্যাজিক দেখাতে পারেন।
বারুদে আগুন ধরানোর সময় সাবধান থাকবেন। আর বারুদ যতবেশি যোগার করতে পারবেন তত
ভালো ফল পাবেন।
ভালো ফল পাবেন।
ওজন দেখে তাসের সংখ্যা বলা
প্রথমে যাকে ম্যাজিক দেখাবেন তাকে বলুন এক প্যাকেট তাস হতে ১০ এর বেশি যতগুলো
ইচ্ছা তাস নিতে। তারপর আপনাকে না জানিয়ে তাসগুলো গুনতে বলুন।
ইচ্ছা তাস নিতে। তারপর আপনাকে না জানিয়ে তাসগুলো গুনতে বলুন।
গুনা শেষ হলে তাকে বলুন যে সংখ্যক তাস সে গুনেছেতার একক ও দশক মান যোগ করতে।
অথ্যাৎ যদি সে ২১ টি তাস গুনে থাকে তবে এখানে একক সংখ্যাটি হল ২ এবং দশক সংখ্যাটি
হল ১। সুতরাং একক ও দশক সংখ্যার যোগফল হল (২+১=৩)
অথ্যাৎ যদি সে ২১ টি তাস গুনে থাকে তবে এখানে একক সংখ্যাটি হল ২ এবং দশক সংখ্যাটি
হল ১। সুতরাং একক ও দশক সংখ্যার যোগফল হল (২+১=৩)
এবার একক ও দশক মানের যোগফলের সমান সংখ্যক তাস তার মোট নেয়া তাস হতে বাদ দিতে
বলুন। ( অথ্যাৎ যদি সে ২১ টি তাস গুনে থাকে তবে আপনার কথামত দর্শকটি ৩টি তাস তার
নেয়া ২১ টি তাস হতে বাদ দিল। তাহলে তার হাতে থাকল ২১-৩= ১৮ টি তাস )
বলুন। ( অথ্যাৎ যদি সে ২১ টি তাস গুনে থাকে তবে আপনার কথামত দর্শকটি ৩টি তাস তার
নেয়া ২১ টি তাস হতে বাদ দিল। তাহলে তার হাতে থাকল ২১-৩= ১৮ টি তাস )
এবার আপনি তার কাছ থেকে অবশিষ্ট তাসগুলি হাতে নিয়ে তাসের পরিমাণ অনুযায়ী তাকে
অনায়েসে বলে দিতে পারবেন যে সেখানে ১৮ টি তাস আছে। কিন্তু কি ভাবে তা নিয়ে নিচে
আলোচনা করা হলঃ
অনায়েসে বলে দিতে পারবেন যে সেখানে ১৮ টি তাস আছে। কিন্তু কি ভাবে তা নিয়ে নিচে
আলোচনা করা হলঃ
এই ম্যাজিকটির কৌশলটা খুবই সোজা। ম্যাজিক দেখানোর আগে আপনাকে শুধু দেখে নিতে হবে
৯টি তাস কতখানি মোটা, ১৮ টি তাস কতখানি মোটা, ঠিক তেমনি ২৭,৩৬ ও ৪৫ টি তাস কতখানি
মোটা। শুধু এতটুকুই ধারণা থাকলেই চলবে। কারণ দর্শক ইচ্ছামত যত তাসই গ্রহণ করুক না
কেন, তার একক ও দশকের যোগফলের সংখ্যক তাস বাদ দিলে সেখানে ৯,১৮,২৭,৩৬,৪৫ এর যে
কোন একটির সংখ্যক তাস অবশ্যই থাকবে।
৯টি তাস কতখানি মোটা, ১৮ টি তাস কতখানি মোটা, ঠিক তেমনি ২৭,৩৬ ও ৪৫ টি তাস কতখানি
মোটা। শুধু এতটুকুই ধারণা থাকলেই চলবে। কারণ দর্শক ইচ্ছামত যত তাসই গ্রহণ করুক না
কেন, তার একক ও দশকের যোগফলের সংখ্যক তাস বাদ দিলে সেখানে ৯,১৮,২৭,৩৬,৪৫ এর যে
কোন একটির সংখ্যক তাস অবশ্যই থাকবে।
তো বুঝতেই পারছেন কত সহজ ও চমৎকার একটি ম্যাজিক। এ ম্যাজিকটি দিয়ে আপনি আপনার
বন্ধুদেরকে চমকিয়ে দিতে পারবেন।
বন্ধুদেরকে চমকিয়ে দিতে পারবেন।
বরফ দিয়ে আগুন ধরানো
বন্ধুগণ আজকে আমরা এমন একটি পদ্ধতি শিখব যার মাধ্যমে আপনি বরফ দিয়ে আগুন ধরাতে
পারবেন।
পারবেন।
উপকরনঃ
- এক টুকরা বরফ
- বড় সাইজের একটা মগ।
প্রথমে মগের ভিতর আধা মগ পানি নিয়ে ফ্রিজে রেখে বরফ বানান। তারপর বরফ হয়ে গেলে
বের করে নিন। এখন ঐ টুকরাটাকে হাত দিয়ে ঘসতে থাকুন। দেখবেন পানি পড়তে থাকবে। যখন
পানি পড়বে তখন লক্ষ্য করে দেখেন আপনার বরফের টুকরাটা স্বচ্ছ হয়েছে কিনা? যতক্ষুণ
আপনার বরফের টুকরাটা এমন স্বচ্ছ না হবে যে আপনি এ পিঠ থেকে অন্য পিঠ দেখতে
পাচ্ছেন। ততসময় ঘসতে থাকুন। তারপর আপনি সে র্যের দিকে মুখ করে ঐ বরফের টুকরাকে
রাখুন। এরপর একটু নাড়াচাড়া করুন। দেখবেন আলোক রশ্নি কেন্দ্রীভূত হয়েছে। যখন আলোক
রশ্নি কেন্দ্রীভূত হবে, তখন আপনি ঐ অবস্থাতে রেখে নিচে একটা শুকনো পাতা বা কাগজের
টুকরা রাখেন। দেখবেন কিছুক্ষণ পর আগুন ধরে গেছে।
বের করে নিন। এখন ঐ টুকরাটাকে হাত দিয়ে ঘসতে থাকুন। দেখবেন পানি পড়তে থাকবে। যখন
পানি পড়বে তখন লক্ষ্য করে দেখেন আপনার বরফের টুকরাটা স্বচ্ছ হয়েছে কিনা? যতক্ষুণ
আপনার বরফের টুকরাটা এমন স্বচ্ছ না হবে যে আপনি এ পিঠ থেকে অন্য পিঠ দেখতে
পাচ্ছেন। ততসময় ঘসতে থাকুন। তারপর আপনি সে র্যের দিকে মুখ করে ঐ বরফের টুকরাকে
রাখুন। এরপর একটু নাড়াচাড়া করুন। দেখবেন আলোক রশ্নি কেন্দ্রীভূত হয়েছে। যখন আলোক
রশ্নি কেন্দ্রীভূত হবে, তখন আপনি ঐ অবস্থাতে রেখে নিচে একটা শুকনো পাতা বা কাগজের
টুকরা রাখেন। দেখবেন কিছুক্ষণ পর আগুন ধরে গেছে।
হালকা পানি ভারী করা
অনেকের মনে প্রশ্ন পানি আবার হালকা বা ভারী কি? পানি ঠান্ডা হোক আর গরম হোক তাতো
পানিই। এই ঠান্ডা গরম পানি নিয়ে আজকে আমরা একটি মজার ম্যাজিক করব।
পানিই। এই ঠান্ডা গরম পানি নিয়ে আজকে আমরা একটি মজার ম্যাজিক করব।
যা যা সংগ্রহ করতে হবেঃ
- দুটো খালি বোতল
- ঠান্ডা পানি, গরম পানি
- রং
- ড্রইং কাগজ এক টুকরা।
এবার যা যা করতে হবেঃ
দুটো বোতলের একটাই গরম পানি আরেকটাই ঠান্ডা পানি ভরে নিন। গরম পানির বোতলে কিছুটা
রঙ ঢেলে ঐ পানি রঙ করুন। এখন ঠান্ডা পানির বোতলের মুখে কাগজ চাপা দিন। আর তার
মুখে গরম পানির বোতলটা উল্টে ধরুন। ঐ ভাবে ধরে রেখে কাগজটাকে আস্তে আস্তে টেনে
সরিয়ে নিন। এবার দেখুন খেলাটা। ঠান্ডা পানি উপরের বোতল থেকে নিচের বোতলে নেমে
আসছে। সেই সাথে নিচের রঙিন পানি উপরের বোতলে উঠে যাচ্ছে।
রঙ ঢেলে ঐ পানি রঙ করুন। এখন ঠান্ডা পানির বোতলের মুখে কাগজ চাপা দিন। আর তার
মুখে গরম পানির বোতলটা উল্টে ধরুন। ঐ ভাবে ধরে রেখে কাগজটাকে আস্তে আস্তে টেনে
সরিয়ে নিন। এবার দেখুন খেলাটা। ঠান্ডা পানি উপরের বোতল থেকে নিচের বোতলে নেমে
আসছে। সেই সাথে নিচের রঙিন পানি উপরের বোতলে উঠে যাচ্ছে।
পানির উপর সুই ভাসবে
এই ম্যাজিকটি দেখানোর জন্য প্রথমেই আপনার যা যা প্রয়জোন হবেঃ
- মগ ভর্তি পানি
- একটি টিসু
- ছোট আকৃতির একটা সুই
যা করতে হবেঃ
প্রথমে মগ ভর্তি পানির মধ্যে টিসুটি রাখুন। তারপর সুইটি টিসুটির উপর রাখুন প্রায়
৪০/৪৫ সেকেন্ড। এবার ধীরে ধীরে হালকা কোন কাঠি দিয়ে টিসুটি নিচের দিক থেকে আস্তে
আস্তে তুলে আনুন। তবে সাবধান থাকবেন পানিতে যেন খুব বেশি নাড়াচড়া না লাগে। এবং
সুইয়ের সাথে যেন কাঠিটি না লাগে। এবার দেখবেন পানিতে ভাসছে আপনার সুইটি। এই কাজটি
কিন্তু খুব সতর্কতার সাথে করতে হবে যাতে পানি সহজে নড়তে না পারে।
৪০/৪৫ সেকেন্ড। এবার ধীরে ধীরে হালকা কোন কাঠি দিয়ে টিসুটি নিচের দিক থেকে আস্তে
আস্তে তুলে আনুন। তবে সাবধান থাকবেন পানিতে যেন খুব বেশি নাড়াচড়া না লাগে। এবং
সুইয়ের সাথে যেন কাঠিটি না লাগে। এবার দেখবেন পানিতে ভাসছে আপনার সুইটি। এই কাজটি
কিন্তু খুব সতর্কতার সাথে করতে হবে যাতে পানি সহজে নড়তে না পারে।
শূন্যে ভাসা গ্লাস
এই ম্যাজিকটি করতে আমাদের লাগবে একটি কাগজের গ্লাস। দর্শকেরা দেখবে যে আমার ডান
হাত এবং বাম হাত দিয়ে একটা গ্লাসকে না ধরে তার আশেপামে শুধু আঙ্গুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে
গ্লাসটিকে উপরে তুলে ফেলব। কিন্তু কিভাবে, সেটা শুধু আমরাই জানবো। এই পুরা
ম্যাজিকটা খুবই সোজা। সেটা হল, আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি।
হাত এবং বাম হাত দিয়ে একটা গ্লাসকে না ধরে তার আশেপামে শুধু আঙ্গুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে
গ্লাসটিকে উপরে তুলে ফেলব। কিন্তু কিভাবে, সেটা শুধু আমরাই জানবো। এই পুরা
ম্যাজিকটা খুবই সোজা। সেটা হল, আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি।
এখন বৃদ্ধাঙ্গুলিগুলো যেহেতু গ্লাসের ভিতর শক্ত অবস্থানে আটকে আছে আমরা আমাদের
দুই হাতের বাকি আঙ্গুলগুলোকে দুইদিকে ছড়িয়ে দিব। আর হাতটাকে উপরের দিকে নিয়ে
আসবো। মনে হবে যেন আমরা হাত দিয়ে একদম স্পর্শ না করেই আমরা গ্লাসটিকে তুলে
ফেলেছি।
দুই হাতের বাকি আঙ্গুলগুলোকে দুইদিকে ছড়িয়ে দিব। আর হাতটাকে উপরের দিকে নিয়ে
আসবো। মনে হবে যেন আমরা হাত দিয়ে একদম স্পর্শ না করেই আমরা গ্লাসটিকে তুলে
ফেলেছি।
এখন দর্শকদের মনে একটু সন্দেহ হতে পারে। তাই তাদের এ সন্দেহ দূর করার জন্য একটা
একটা করে হাত পুরোপুরিভাবে গ্লাস থেকে সরিয়ে উপরে তুলে নাড়িয়ে দেখতে পারো। দর্শক
আরেকটু বিভ্রান্ত হবে। এই সুযোগে তুমি আরো সুক্ষ ভাবে তোমার কারসাজি সেরে ফেলতে
পারবে। এখানে পুরা বিষয়টি প্রাকটিস এর নির্ভর করবে। তুমি যত বেশি প্রাকটিস করবে,
দর্শকদের সামনে ততো ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারবে।
একটা করে হাত পুরোপুরিভাবে গ্লাস থেকে সরিয়ে উপরে তুলে নাড়িয়ে দেখতে পারো। দর্শক
আরেকটু বিভ্রান্ত হবে। এই সুযোগে তুমি আরো সুক্ষ ভাবে তোমার কারসাজি সেরে ফেলতে
পারবে। এখানে পুরা বিষয়টি প্রাকটিস এর নির্ভর করবে। তুমি যত বেশি প্রাকটিস করবে,
দর্শকদের সামনে ততো ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারবে।
কার্ড থেকে কয়েন বানানো
সবাই যা দেখবে
দুটি আলাদা কার্ড হাতে নিন। এবার একটা কার্ডের উপর আরেকটি কার্ড রাখুন। এবার
কার্ডগুলোতে হালকা করে টোকা দিন। তারপর কার্ড দুটির মাঝখান থেকে বের হয়ে আসবে
একটি কয়েন। বিষয়টি কিন্তু আসলে মানুষকে চমকে দিবে। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের
আজকের ম্যাজিকটিঃ
কার্ডগুলোতে হালকা করে টোকা দিন। তারপর কার্ড দুটির মাঝখান থেকে বের হয়ে আসবে
একটি কয়েন। বিষয়টি কিন্তু আসলে মানুষকে চমকে দিবে। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের
আজকের ম্যাজিকটিঃ
উপকরণঃ
এখানে তেমন কিছুর দরকার পড়বে না। শুধু লাগবে দুইটি কার্ড ও একটি কয়েন।
-
প্রথমে বাম হাতে দুটি কার্ড নিন। কার্ড দুটির নিচে কয়েনটিকে লুকিয়ে রাখুন।
যেন দর্শকেরা দেখতে না পারে। -
উপরের কার্ডটি বাম হাতে নিন। এবং দর্শকদেরকে দেখান। এবার কৌশলে বাম হাতে থাকা
কয়েনটি কার্ডের নিচ দিয়ে ডান হাতে নিন। তারপর বাম হাতে থাকা কার্ডটি
দর্শকদেরকে দেখান। -
ডান হাতে থাকা কার্ডটি বাম হাতের কার্ডের উপর নিন, যার নিচে কয়েনটি থাকবে।
অথ্যাৎ দুই কার্ডের মাঝে কয়েনটি থাকবে।
এবার দর্শকদের দেখানোর জন্য কার্ড দুইটির উপর হালকা টোকা দিন, এবং আপনার মন মতো
একটা একটা জাদুমন্ত্র বলুন।
একটা একটা জাদুমন্ত্র বলুন।
এবার দুই কার্ডের ফাঁকা দিয়ে কয়েনটি বের কজরে এনে দর্শকদের দেখান। দেখবেন সবাই
চমকে যাবে।
চমকে যাবে।
রুমাল কেটে জোড়া লাগানো
মঞ্চে জাদুকর এসে তার পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে দর্শকদেরকে বলল, আমি এই
রুমালটি কেটে আবার জোড়া লাগিয়ে দিব। এ শুনে আমরা অনেকেই ভাবি এটা কোন কঠিন
জাদুমন্ত্র হবে হয়ত। তো চলুন আজকে আমরা দেখব এটা কি ভাবে করা যায়।
রুমালটি কেটে আবার জোড়া লাগিয়ে দিব। এ শুনে আমরা অনেকেই ভাবি এটা কোন কঠিন
জাদুমন্ত্র হবে হয়ত। তো চলুন আজকে আমরা দেখব এটা কি ভাবে করা যায়।
উপকরণঃ
এই অবাক করা জাদুর খেলাটি দেখাতে চাইলে লাগবে ১২ ইঞ্চি সাইজের হলদে রঙের সিল্কের
রুমাল। একই ধরণের হলদে সিল্কের একটা তিন ইঞ্চি সাইজের রুমাল অথবা কাপড়। আধা ইঞ্চি
লম্বা এবং এক ইঞ্চি ব্যসযুক্ত একটা কাগজের টিউব। আর একটা ধারালো কাচি।
রুমাল। একই ধরণের হলদে সিল্কের একটা তিন ইঞ্চি সাইজের রুমাল অথবা কাপড়। আধা ইঞ্চি
লম্বা এবং এক ইঞ্চি ব্যসযুক্ত একটা কাগজের টিউব। আর একটা ধারালো কাচি।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
যে কোন শক্ত ধরনের একটা কাগজ পাকিয়ে আট ইঞ্চি লম্বা এবং এক ইঞ্চি ব্যসযুক্ত
টিউবটি তৈরি করে নাও। টিউবটা তৈরি হওয়ার পর কাগজের খোলা দারটা আঠা দিয়ে জুড়ে
নিবে। যাতে এটা খুলে না যায়। আঠা শুকিয়ে যাওয়ার পর একটা স্থায়ী টিউব তৈরি হয়ে
গেল। তিন ইঞ্চি সাইজের স্কিলের টুকরোটি টিউবের যে কোন একটা প্রান্ত দিয়ে ভিতরে
ঢুকিয়ে রাখবে। যাতে বাইরে থেকে সেটা দেখতে না পাওয়া যায়। আবার খুব বেশি ভিতরেও
ঢুকিয়ে দেবে না। এমন জায়গায় সেটা থাকবে যাতে ইচ্ছামতো আঙ্গুলদিয়ে বের করে আনা
চলে। এই কায়দা করা টিউব এবং কাঁচিটা থাকবে টেবিলের উপর। বারো ইঞ্চি সাইজের
রুমালটা ভাজ করে পকেটে রেখে দিবে। এখন তুমি খেলাটা দেখানোর জন্য প্রস্তুত।
টিউবটি তৈরি করে নাও। টিউবটা তৈরি হওয়ার পর কাগজের খোলা দারটা আঠা দিয়ে জুড়ে
নিবে। যাতে এটা খুলে না যায়। আঠা শুকিয়ে যাওয়ার পর একটা স্থায়ী টিউব তৈরি হয়ে
গেল। তিন ইঞ্চি সাইজের স্কিলের টুকরোটি টিউবের যে কোন একটা প্রান্ত দিয়ে ভিতরে
ঢুকিয়ে রাখবে। যাতে বাইরে থেকে সেটা দেখতে না পাওয়া যায়। আবার খুব বেশি ভিতরেও
ঢুকিয়ে দেবে না। এমন জায়গায় সেটা থাকবে যাতে ইচ্ছামতো আঙ্গুলদিয়ে বের করে আনা
চলে। এই কায়দা করা টিউব এবং কাঁচিটা থাকবে টেবিলের উপর। বারো ইঞ্চি সাইজের
রুমালটা ভাজ করে পকেটে রেখে দিবে। এখন তুমি খেলাটা দেখানোর জন্য প্রস্তুত।
কৌশলঃ
১২ ইঞ্চি সাইজের রুমালটা নিয়ে বলবেন এটা আমি কেটে ফেলবো। আবার জোড়া লাগিয়ে দিব।
হাতের রুমালটা টিউবের ভিতর প্রবেশ করান এবং একটি অংশ বাহিরে রাখুন। আবার টিউবের
অন্য প্রান্তে এর ভেতরের আগের থেকে রেখে দেওয়া রুমালের কিছু অংশ বের করে দেন।
তাহলে দেখা যাবে যে, টিউবের দু পাশে রুমালের দু অংশ বের হয়ে আছে। এবার একটা
ধারালো কাচি দিয়ে ঠিক মাঝখান দিয়ে কেটে দিন। তাহলে টিউবটি দু খন্ড হয়ে যাবে। সবাই
ভাববে সত্যি সত্যি রুমালটা কেটে গেছে।
হাতের রুমালটা টিউবের ভিতর প্রবেশ করান এবং একটি অংশ বাহিরে রাখুন। আবার টিউবের
অন্য প্রান্তে এর ভেতরের আগের থেকে রেখে দেওয়া রুমালের কিছু অংশ বের করে দেন।
তাহলে দেখা যাবে যে, টিউবের দু পাশে রুমালের দু অংশ বের হয়ে আছে। এবার একটা
ধারালো কাচি দিয়ে ঠিক মাঝখান দিয়ে কেটে দিন। তাহলে টিউবটি দু খন্ড হয়ে যাবে। সবাই
ভাববে সত্যি সত্যি রুমালটা কেটে গেছে।
এবার রুমালটা জোড়া লাগানোর পালাঃ
কাটা টিউবটা একসাথে ধরে রুমালের দুমাথা ভিতরে রেখে দিন। এবার আগে থেকে রাখা তিন
ইঞ্চির রুমালটা বের করে সবাইকে দেখান যে রুমালটা ঠিকই আছে।
ইঞ্চির রুমালটা বের করে সবাইকে দেখান যে রুমালটা ঠিকই আছে।
স্পর্শ ছাড়া বোতল ঘুরানো
আমরা জানি কোন বস্তুকে ঘুরাতে হলে তাতে স্পর্শ করা আবশ্যক। তবে স্পর্শ ছাড়াই
নিম্ন প্রক্রিয়ার সাহায্যে একটা বোতল বা কৌটা ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব। এবার দেখে
নেওয়া যাক সেটা কিভাবে সম্ভবঃ
নিম্ন প্রক্রিয়ার সাহায্যে একটা বোতল বা কৌটা ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব। এবার দেখে
নেওয়া যাক সেটা কিভাবে সম্ভবঃ
এটি করতে যা যা লাগবেঃ
- খালি টিনের কৌটা
- হাতুরি
- পেরেক
- শক্ত সূতো
- পানি।
প্রথমে কৌটার মুখের ধার বরাবর সমান দূরত্বে তিনটি ছোট ছিদ্র করে নিতে হবে। কৌটার
গা বরাবর আরো ৫টি ছোট ছিদ্র সমান দুরত্বে রেখে করে নিতে হবে। কৌটার উপরের দিকের
ছিদ্র তিনটির সঙ্গে সুতো বেধে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। এবারে কৌটায় পানি বর্তি করা হল।
দেখা যাবে যে, ছিদ্র গুলি দিয়ে পানি বেরিয়ে আসছে সেই সঙ্গে কৌটাটিও ঘুরতে শুরু
করেছে। কেমন লাগলো। আশা করি ম্যাজিকটি বুঝতে পেরেছেন।
গা বরাবর আরো ৫টি ছোট ছিদ্র সমান দুরত্বে রেখে করে নিতে হবে। কৌটার উপরের দিকের
ছিদ্র তিনটির সঙ্গে সুতো বেধে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। এবারে কৌটায় পানি বর্তি করা হল।
দেখা যাবে যে, ছিদ্র গুলি দিয়ে পানি বেরিয়ে আসছে সেই সঙ্গে কৌটাটিও ঘুরতে শুরু
করেছে। কেমন লাগলো। আশা করি ম্যাজিকটি বুঝতে পেরেছেন।
জাদু শেখার বই pdf, সহজ ম্যাজিক, জাদু মন্ত্র, ম্যাজিক দেখাও, ম্যাজিক ফুল মুভি,
ভয়ংকর ম্যাজিক শেখা, জাদু শেখার ভিডিও, Magek, জাদু শেখার উপায়, কোকা পন্ডিত বই
ডাউনলোড pdf, বাচ্চাদের ম্যাজিক বই, জাদু বুক, বাংলা ম্যাজিক বই, ম্যাজিক বুক,
বশীকরণ মন্ত্র বই pdf, লজ্জাতুন নেছা বই ডাউনলোড, জাদু শেখার বই pdf, জাদু শেখার
ভিডিও, জাদু মন্ত্র, টাকার জাদু, জাদু খেলা, জাদু দেখাও, ম্যাজিক দেখাও, জাদুর
বই,
ভয়ংকর ম্যাজিক শেখা, জাদু শেখার ভিডিও, Magek, জাদু শেখার উপায়, কোকা পন্ডিত বই
ডাউনলোড pdf, বাচ্চাদের ম্যাজিক বই, জাদু বুক, বাংলা ম্যাজিক বই, ম্যাজিক বুক,
বশীকরণ মন্ত্র বই pdf, লজ্জাতুন নেছা বই ডাউনলোড, জাদু শেখার বই pdf, জাদু শেখার
ভিডিও, জাদু মন্ত্র, টাকার জাদু, জাদু খেলা, জাদু দেখাও, ম্যাজিক দেখাও, জাদুর
বই,