শিক্ষক দিবস | Teachers’ Day | Teachers Day Speech in Bengali | শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা PDF
Teachers Day Speech in Bengali
আজ জাতীয় শিক্ষক দিবস এবং আদর্শ শিক্ষক
ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের ১৩৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে সকল শিক্ষককে জানাই আমার
অন্তর থেকে শ্রদ্ধা ।
আমরা সবাই জানি, একজ মানুষের সফলতার পেছনে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,
এ কথা আমরা কোনো দিনই অবিশ্বাস করতে পারি না । একজন আদর্শ শিক্ষক কেবলমাত্র
পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, তিনি ছাত্রকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দিয়ে থাকেন,
ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উতসাহ দেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে দেন ।
তিনি তাকে শুধু মাত্র জীবনে সফল হোয়া নয়, কিভাবে একজন ভাল মানুষ হতে হয় সেটাও
শেখান ।
তাইতো শিক্ষক সম্পর্কে এ.পি.জে আব্দুল কালাম বলেছিলেন,
যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ ক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারে ।
তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক ।
অ্যারিস্টটল বলেছিলেনঃ যারা শিশুদের শিক্ষাদানে ব্রতী তারা অবিভাবকদের
থেকেও অধিক সম্মাননীয় । পিতামাতা আমাদের জীবনদান করেন ঠিকই । শিক্ষকরা সেই
জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন ।
শিক্ষক দিবসের শিক্ষকের বক্তব্য
শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য
১৯৯৫ সাল থেকে প্ররি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্ব ব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক
দিবস ।
তবে ভারতে ৫ই সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষক দিবস পালিত হয় ।
ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি
ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন (৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮) উপলক্ষে ভারতের সকল
ছাত্র-ছাত্রীরা ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন করে থাকেন ।
একজন আদর্শ শিক্ষক
ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ (৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ – ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭৫)
তামিলনাডুর তিরুট্টানিতে এক দরিদ্র ব্রাম্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।
তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (১৯৫২-১৬২) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি
(১৯৬২-১৯৬৭) ছিলেন ।
তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও অধ্যাপক, এই শান্ত মানুষ্টি ছাত্রজীবনে অতি
মেধাবী ছিলেন । জীবনে কোন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি । বিভিন্ন বৃত্তির মাধ্যমে তাঁর
ছাত্রজীবন এগিয়ে চলে । ১৯০৫ সালে তিনি মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনে
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন । তাঁর বিষয়টি ছিল বেদান্ত দর্শনের বিমূর্তি
পূর্বকল্পনা
(The Ethics of the vedanta and its Metaphysical Presuppositions)
প্রিয় শিক্ষক নিয়ে বক্তৃতা
বিশ্বের দরবারে তিনি অতি জনপ্রিয় দার্শনিক অধ্যাপক হিসবেও পরিচিত ছিলেন ।
১৯৩১ সালে তাকে British Knighthood- এ সম্মানিত করা হয় । ১৯৫৪তে ভারতরত্ন
উপাধি পান ।
প্রথম জীবনে তিনি মাইওর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন (১৯১৮)। এসময়ে তিনি
বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পত্রিকায় লিখতেন । সে সময়েই তিনি লেখেন তাঁর প্রথম গ্রন্থ
‘The Philosophy of Religin in Contemporary Philosophy’ প্রকাশিত হয় ১৯২০
সালে । তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন । দেশ-বিদেশের বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বরাবর অধ্যাপনার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন ।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তাঁর গুণমুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে চাইলে
তিনি বলেনঃ জন্মদিনের পরিবর্তে
৫ই সেপ্টেম্বর যদি শিক্ষক দিবস উদযাপিত হয় তবে আমি বিশেষরূপে অনুগ্রহ লাভ করবো
।
সেই থেকে এই দিনটি ভারতে শিক্ষক দিবসরূপে পালিত হয়ে চলেছে ।