শিক্ষক দিবসের বক্তব্য

শিক্ষক দিবস | Teachers’ Day | Teachers Day Speech in Bengali | শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা PDF

শিক্ষক দিবস | Teachers' Day | Teachers Day Speech | শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা, Teachers Day Speech in Bengali, শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য, শিক্ষক দিবসের উপস্থাপনা, Teachers day speech in bengali, শিক্ষক দিবসের শিক্ষকের বক্তব্য, প্রিয় শিক্ষক নিয়ে বক্তৃতা, শিক্ষক সম্পর্কে কিছু কথা, শিক্ষক দিবস ২০২২ উদযাপন, শিক্ষক দিবস সম্পর্কে দুটি বাক্য,

Teachers Day Speech in Bengali

আজ জাতীয় শিক্ষক দিবস এবং আদর্শ শিক্ষক
ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের ১৩৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে সকল শিক্ষককে জানাই আমার
অন্তর থেকে শ্রদ্ধা ।

আমরা সবাই জানি, একজ মানুষের সফলতার পেছনে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,
এ কথা আমরা কোনো দিনই অবিশ্বাস করতে পারি না । একজন আদর্শ শিক্ষক কেবলমাত্র
পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, তিনি ছাত্রকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দিয়ে থাকেন,
ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উতসাহ দেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে দেন ।
তিনি তাকে শুধু মাত্র জীবনে সফল হোয়া নয়, কিভাবে একজন ভাল মানুষ হতে হয় সেটাও
শেখান ।

তাইতো শিক্ষক সম্পর্কে এ.পি.জে আব্দুল কালাম বলেছিলেন,

যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি
দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ ক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারে ।
তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক ।

অ্যারিস্টটল বলেছিলেনঃ যারা শিশুদের শিক্ষাদানে ব্রতী তারা অবিভাবকদের
থেকেও  অধিক সম্মাননীয় । পিতামাতা আমাদের জীবনদান করেন ঠিকই । শিক্ষকরা সেই
জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন ।

শিক্ষক দিবসের শিক্ষকের বক্তব্য

শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য
১৯৯৫ সাল থেকে প্ররি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্ব ব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক
দিবস ।

তবে ভারতে ৫ই সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষক দিবস পালিত হয় ।

ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি
ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন (৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮) উপলক্ষে ভারতের সকল
ছাত্র-ছাত্রীরা ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালন করে থাকেন ।

একজন আদর্শ শিক্ষক
ডাঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ (৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ – ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭৫)
তামিলনাডুর তিরুট্টানিতে এক দরিদ্র ব্রাম্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।
তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (১৯৫২-১৬২) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি
(১৯৬২-১৯৬৭) ছিলেন ।

তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও অধ্যাপক, এই শান্ত মানুষ্টি ছাত্রজীবনে অতি
মেধাবী ছিলেন । জীবনে কোন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি । বিভিন্ন বৃত্তির মাধ্যমে তাঁর
ছাত্রজীবন এগিয়ে চলে । ১৯০৫ সালে তিনি মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনে
স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন । তাঁর বিষয়টি ছিল বেদান্ত দর্শনের বিমূর্তি
পূর্বকল্পনা
(The Ethics of the vedanta and its Metaphysical Presuppositions)

প্রিয় শিক্ষক নিয়ে বক্তৃতা

বিশ্বের দরবারে তিনি অতি জনপ্রিয় দার্শনিক অধ্যাপক হিসবেও পরিচিত ছিলেন ।
১৯৩১ সালে তাকে British Knighthood- এ সম্মানিত করা হয় । ১৯৫৪তে ভারতরত্ন
উপাধি পান ।

প্রথম জীবনে তিনি মাইওর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন (১৯১৮)। এসময়ে তিনি
বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পত্রিকায় লিখতেন । সে সময়েই তিনি লেখেন তাঁর প্রথম গ্রন্থ
‘The Philosophy of Religin in Contemporary Philosophy’ প্রকাশিত হয় ১৯২০
সালে । তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন । দেশ-বিদেশের বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বরাবর অধ্যাপনার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন ।

রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তাঁর গুণমুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে চাইলে
তিনি বলেনঃ জন্মদিনের পরিবর্তে
৫ই সেপ্টেম্বর যদি শিক্ষক দিবস উদযাপিত হয় তবে আমি বিশেষরূপে অনুগ্রহ লাভ করবো

সেই থেকে এই দিনটি ভারতে শিক্ষক দিবসরূপে পালিত হয়ে চলেছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *