বশিকরণ

দূর থেকে ভালোবাসার মানুষকে কাছে আনার উপায় বা আমল

যে কোন মানুষকে বশ করার কুরআনী আমল

সূরায়ে ফাতেহা পড়ে আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলে ফুঁক দিন । অতঃপর আপনি যার নাম নিবেন সেই
আপনার গোলাম হয়ে যাবে, আনুগত্যশীল হয়ে যাবে, সম্পূর্ণ পদ্ধতি নিচে লিখে দেওয়া হলো
। তাই শেষ পর্যন্ত পড়ুন । আপনি যার নাম নিবেন সেই আপনার আনুগত্যশীল হয়ে যাবে,
আপনার কথা মানবে । আপনি যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে । আপনার ইচ্ছামতই সব কিছু হবে ।
কোন কিছু খাওয়ানোর প্রয়োজন হবে না । পান করানোর প্রয়োজন হবে না । আমলটি করতে শুধু
পাঁচ মিনিট সময় লাগবে । ঘরে বসে বসেই আপনার কাজ হয়ে যাবে । অনেক পাওয়ারফুল আমল ।
সুরা ফাতেহা অনেক ফজিলতপূর্ণ সূরা । কুরআনে কারীমের প্রথম সূরা । এই সূরা ছাড়া
নামাজ হয় না । 

আজকের আমলটি অনেক কার্যকারী একটি আমল । যদি ভালোভাবে আমলটি করেন ইনশাআল্লাহ কাজ
হয়ে যাবে । কেউ যদি আপনার কথা না শুনে, কাউকে যদি আপনি নিজের ভালোবাসায় আবদ্ধ
করতে চান, এই আমলটির বরকতে সে আপনার হয়ে যাবে । যদি আপনার স্বামী আপনার সাথে ঝগড়া
করে, মারামারি করে । আপনার কথা মানে না, আপনাকে কষ্ট দেয় । এই আমলের বরকতে সে
আপনার কথা মানবে । আপনি যেভাবে বলবেন সেভাবেই করবে । যদি কোথাও বিবাহ করতে চান,
কিন্তু পরিবারের লোকজন রাজি হচ্ছে না, কোন বাধা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে । তাহলে এই
ওজিফাটি করার বরকতে সকল বাধা দূর হয়ে যাবে । অথবা পরিবারের যারা রাজি না, তাদেরকে
রাজি করানোর জন্য এই আমলটি করতে পারেন । দূর থেকে ভালোবাসার মানুষকে কাছে আনার উপায় বা আমল হিসেবে এটি অত্যন্ত কার্যকর।

ভালোবাসার মানুষকে বশীকরণ

আপনার উদ্দেশ্যকে ব্রেনে রেখে এই আমলটি করুন । ইনশাআল্লাহ আপনার উদ্দেশ্য পূরণ
হয়ে যাবে । এছাড়া যদি আপনার শাশুড়ি অথবা ননদ অথবা অন্য কোন আত্মীয় আপনার সাথে
ঝগড়া করে, আপনাকে কষ্ট দেয়, আপনার কথা মানে না, এই আমল দ্বারা তাকেও আপনার অনুগত
বানাতে পারেন । অর্থাৎ আপনার কথা মানবে, আপনাকে ভালোবাসবে । আপনি আপনার সকল জায়েজ বিষয় তাদেরকে মানাতে পারবেন । দূর থেকে ভালোবাসার মানুষকে কাছে আনার উপায় বা আমল হিসেবে এটি খুবই সহজ।

যে সমস্ত মা বোন শ্বশুর বাড়ীতে থাকেন, শ্বশুর বাড়ির সকল কাজ কর্ম করেন, সকলকে
ইজ্জত সম্মান করেন, প্রত্যেকের দেখাশোনা করেন, কিন্তু তারপরেও আপনার ইজ্জত সম্মান
নেই, ননদ, শাশুড়ি দেবর শশুর কেউ আপনার ইজ্জত করে না । আপনার কথা শুনতে চায়না ।
যদি আপনি তাদেরকে কোন কথা রাজি করাতে চান । এই আমলের বরকতে আপনি তাদেরকে আপনার কথা মানাতে পারবেন । ইনশাআল্লাহ যে কেউ আপনার আনুগত্যশীল হয়ে যাবে । মোট কথা যে কোন জায়েজ উদ্দেশ্যে, জায়েজ বিষয়, জায়েজ কোন কথা মানানোর জন্য এই আমলটি যেকোন
ব্যক্তির জন্যই করতে পারেন । দূর থেকে ভালোবাসার মানুষকে কাছে আনার উপায় বা আমল হিসেবে এই আমলটি আপনার জন্য যথেষ্ট।

এই আমল কিভাবে করবেন

এই আমল পুরুষ মহিলা যে কেউ করতে পারেন । যেকোন সময় করতে পারেন । অথবা যে কোন
নামাজের পরেও করতে পারেন । আমলটি একা একা করবেন যেখানে কেউ ডিস্টার্ব করবে না ।
সম্পূর্ণ ইয়াকিনের সাথে করবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো কাজ হবে । সন্দেহের সাথে
করলে কোন কাজ হবে না । দূর থেকে ভালোবাসার মানুষকে কাছে আনার উপায় বা আমল হিসেবে এটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ।

তাবিজ ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার দোয়া

  • আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাহিম। (৭বার)
  • বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম । (৭বার)
  • সাত বার দরুদ শরীফ ।

অতঃপর আপনার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে যাকে আনুগত্যশীল বানাতে চান, যার মনে আপনার
মহব্বত পয়দা করতে চান, আপনার কথা মানাতে চান, তাঁর নাম তিনবার উচ্চারণ করে আপনার
বৃদ্ধাঙ্গুলে ফুঁক দিন । অতঃপর আঙ্গুল বন্ধ করে নিন । অর্থাৎ হাতের কোষের মধ্যে
নিয়ে নিন । অতঃপর বিসমিল্লাহ সহকারে ৪০ বার সূরা ফাতেহা পড়ুন । বৃদ্দাঙ্গুলে পর
অবশিষ্ট যে চার আঙ্গুল থাকবে প্রতি আঙ্গুলে ১০বার করে সূরা ফাতেহা পড়ুন, আর
আঙ্গুল বন্ধ করে নিন । প্রথম শাহাদাৎ আঙ্গুলিতে দশবার পড়ুন । 

ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার দোয়া

অতঃপর পরের আঙ্গুল, এভাবে কনিষ্ঠ আঙ্গুল পর্যন্ত ১০বার করে পড়ুন আর হাতের মুষ্টি
বন্ধ করে নিন । ৪০ বার সূরা ফাতেহা পড়ে হাতের মুষ্টি বন্ধ করে, পুনরায় আবার ওই
ব্যক্তির নাম ১বার উচ্চারণ করুন । আমলটি যখন করবেন তখন যার জন্য করবেন তাঁর দিকে
খেয়াল করবেন । এভাবে খেয়াল করবেন তাঁর দিকে খেয়াল করবেন । এভাবে খেয়াল করবেন যে সে ব্যক্তি আপনার সামনে উপস্থিত আছে, আপনি আপনার মুষ্টি সেদিকে ছুড়ে মারুন, যেমন কোন বালু মুষ্টি থেকে ছুড়ে মেরেছেন । আমলটি শেষ করে আবার ৭ বার দরুদ শরীফ পড়ুন । দূর থেকে ভালোবাসার মানুষকে কাছে আনার উপায় বা আমল হিসেবে এটি নিশ্চিতভাবে কার্যকর।

যার জন্য করবেন সে কাছে হোক অথবা দূরে হোক অথবা ঘরে হোক এভাবেই আমলটি করবেন ইনশাআল্লাহ কাজ হয়ে যাবে । স্বামী যদি ঝগড়া করে, মারামারি করে, কথা না মানে, কষ্ট দেয় ইনশাআল্লাহ এই আমলের বরকতে স্বামী আপনার কথা মানবে, আপনাকে মহব্বত করবে । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ অবশ্যই আদায় করবেন । হারাম থেকে বেঁচে থাকবেন । ইনশাআল্লাহ আমলে বেশি ফায়দা হবে ।