ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের অনুষ্ঠানে যেভাবে বক্তব্য দেবেন । ৭ই মার্চের ভাষণের উপর বক্তব্য
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আমি আজকে আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো ঐতিহাসিক ৭ই
মার্চের অনুষ্ঠানে আপনারা যেভাবে বক্তব্য রাখবেন এই নিয়ে বিস্তারিত । আমি আপনাদের
৭ই মার্চের একটি স্কিপ্ট লিখে দিবো এই স্কিপ্ট দেখে আপনি সহজে বক্তব্য দিতে
পারবেন ।
মার্চের অনুষ্ঠানে আপনারা যেভাবে বক্তব্য রাখবেন এই নিয়ে বিস্তারিত । আমি আপনাদের
৭ই মার্চের একটি স্কিপ্ট লিখে দিবো এই স্কিপ্ট দেখে আপনি সহজে বক্তব্য দিতে
পারবেন ।
৭ই মার্চের লিখিত ভাষণ সংক্ষিপ্ত
শুরুতেই আমি আজকের অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, সম্মানিত প্রধান অতিথি, বিশেষ
অতিথি এবং মঞ্চের সম্মুখে উপবিষ্ট সুধীজন সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ।
অতিথি এবং মঞ্চের সম্মুখে উপবিষ্ট সুধীজন সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ।
আমার বক্তব্যের শুরুতেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে,শ্রদ্ধাভরে
স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের যাদের রক্তের
বিনিময়ে পেয়েছি একটি রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে,শ্রদ্ধাভরে
স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের যাদের রক্তের
বিনিময়ে পেয়েছি একটি রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ।
স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন । তবে এ স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি । মহান
ভাষা আন্দোলন থেকে সবাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের এই দীর্ঘ বন্ধুর পথে
বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস,সীমাহীন ত্যাগ-তীতিক্ষা,বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক
দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে দেয় ।
ভাষা আন্দোলন থেকে সবাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের এই দীর্ঘ বন্ধুর পথে
বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস,সীমাহীন ত্যাগ-তীতিক্ষা,বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক
দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে দেয় ।
৭ই মার্চের ভাষণ কত মিনিট
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বিকাল ৩.২০ মিনিটে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকন্ঠে ১৮
মিনিটব্যাপী যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ
।
রহমান তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বিকাল ৩.২০ মিনিটে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকন্ঠে ১৮
মিনিটব্যাপী যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ
।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত সংক্ষিপ্ত
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে পরতে পরতে অসামান্য অবদান । তার অনন্য
বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে তিনি তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্তিতি,
বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাঙ্খা একসূত্রে গেঁথে বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেন,
বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে তিনি তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্তিতি,
বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাঙ্খা একসূত্রে গেঁথে বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেন,
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমূহ
এবারের সংগ্রাম
আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম
স্বাধীনতার সংগ্রাম
ঐতিহাসিক ভাষণের সেই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে জাতির পিতা ঘোষণা করেন
বাঙালি জাতির বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা । সঙ্গত কারণে এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ৭ই
মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম । কারণ ৭ই মার্চের ভাষণের পিছনে রয়েছে
দীর্ঘ আথ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ।
বাঙালি জাতির বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা । সঙ্গত কারণে এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ৭ই
মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম । কারণ ৭ই মার্চের ভাষণের পিছনে রয়েছে
দীর্ঘ আথ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ।
৭ই মার্চের ভাষণের উপর বক্তব্য
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের প্রেরণার চিরন্তন উৎস । সম্ভবত
পৃথিবীতে অন্য কোন ভাষণ এতবার উচ্চারিত হয়নি । বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনকের ঐ ভাষণের দিক-নির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্র কঠিন
জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র ।
পৃথিবীতে অন্য কোন ভাষণ এতবার উচ্চারিত হয়নি । বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনকের ঐ ভাষণের দিক-নির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্র কঠিন
জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র ।
অসীম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমিত শক্তির উৎস ছিল
এই ঐতিহাসিক ভাষণ । বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি জনগোষ্ঠীর মুক্তির কালজয়ী এক
মহাকাব্য । এ ভাষণে তার তেজস্বীতা ও সম্মোহনী ক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে । এ ভাষণ
পালটে দিয়েছে একটি দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত ।
এই ঐতিহাসিক ভাষণ । বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি জনগোষ্ঠীর মুক্তির কালজয়ী এক
মহাকাব্য । এ ভাষণে তার তেজস্বীতা ও সম্মোহনী ক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে । এ ভাষণ
পালটে দিয়েছে একটি দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত ।
এ ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতাকামী করে তোলে এদেশের আপামর জনগোষ্ঠীকে । এভাষণ ছিল
বহুমাত্রিকতায় বৈশিষ্ট্যমন্ডত । শুধু বাঙালির জন্যই নয়, বিশবমানবতার জন্যও
অবিস্মরনীয়, অনুকরনীয় এক মহামূল্যবান দলিল ।
বহুমাত্রিকতায় বৈশিষ্ট্যমন্ডত । শুধু বাঙালির জন্যই নয়, বিশবমানবতার জন্যও
অবিস্মরনীয়, অনুকরনীয় এক মহামূল্যবান দলিল ।
৭ই মার্চের ভাষণের বৈশিষ্ট্য
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ সমগ্র
বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে । কোনো ধরনের আপোসের
পথে না গিয়ে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ৩০ লাখ মানুষ
জীবন উৎসর্গ করে, যা বিশ্ব ইতিহাসে নজীরবিহীন ।
বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে । কোনো ধরনের আপোসের
পথে না গিয়ে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ৩০ লাখ মানুষ
জীবন উৎসর্গ করে, যা বিশ্ব ইতিহাসে নজীরবিহীন ।
গণতন্ত্র, উচ্চ মানবিকতা, ত্যাগ ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল আদর্শ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে
ন্যায়ের সংগ্রাম, জাতিভেদে বৈষম্য ও জাতি নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্বমানবতার মুক্তির
সংগ্রামে যুগে যুগে এ ভাষণ অনুপ্রেরণ জোগাবে ।
ন্যায়ের সংগ্রাম, জাতিভেদে বৈষম্য ও জাতি নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্বমানবতার মুক্তির
সংগ্রামে যুগে যুগে এ ভাষণ অনুপ্রেরণ জোগাবে ।
৭ ই মার্চের কবিতা
আজকের বক্তব্য শেষ করবার আগে আমি কবি নির্মলেন্দু গুনের কবিতার কয়েকটি চরন দিয়ে
শেষ করছি আমার বক্তব্য ।
শেষ করছি আমার বক্তব্য ।
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাড়ালেন ।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা,
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা ।
কে রোধে তাহাঁর বজ্রকন্ঠ বানী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তার অমর কবিতাখানি
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ।
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের ।
বন্ধুরা ঠিক এই ভাবে একটি ৭ই মার্চের বক্তব্য দিতে পারবেন । বক্তব্য দেওয়ার আগে
এই স্কিপ্ট খাতায় লিখে নিবেন এবং বক্তব্য দেওয়ার আগে বার বার প্রাকটিস করে নেওয়ার
পর বক্তব্য দিবেন । ধন্যবাদ সবাইকে ।
এই স্কিপ্ট খাতায় লিখে নিবেন এবং বক্তব্য দেওয়ার আগে বার বার প্রাকটিস করে নেওয়ার
পর বক্তব্য দিবেন । ধন্যবাদ সবাইকে ।