অনুচ্ছেদ: বিজয় দিবস ২০২৩
অনুচ্ছেদ: বিজয় দিবস ২০২৩ |
বিজয় দিবস
বাঙালি জাতীয় জীবনে বিজয় দিবস হিসেবে ১৬ই ডিসেম্বর একটি গৌরবজঙ্ক স্মরনীয় দিন ।
এদিনে আমরা একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে গৌরব অর্জন করেছি । আমরা আমাদের বীর
সন্তানদের গৌরবময় কথা স্মরণ করি । ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠনাএ মাধ্যমে আমরা এদিনটি পালন
করি । এদিনে আমাদের দেশ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে । প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও
প্রতিটি বাড়ির শীর্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয় । আমরা স্মৃতিসৌধে যাই এবং শ্রদ্ধা
নিবেদনের প্রতীক হিসেবে পুষ্প অর্পন করি । এদিন আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
। এটা আমাদের জন্য একটি উৎসাহ ও উদ্দীপনার দিন । এটা আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে
বিকশিত করে । ত্রিশ লক্ষ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয় আমাদের কাছে খুবই
গৌরব ও সম্মানের । যেকোন মূল্যেই হোক আমরা আমাদের এ মহান বিজয়কে জাতীয় জীবনে
সমুন্নত রাখব ।
অনুচ্ছেদঃ বিজয় দিবস
আমাদের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় লাভ ।
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বর্বর পাকিস্থানিদের পরাজিত করে
এ দিনটিতে আমরা বিজয় অর্জন করি । আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ হয়েছিল হানাদারমুক্ত ।
আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ, একটি নিজস্ব মানচিত্র ও পতাকা বিশ্বের
দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ঠিকানা ।
এ বিজয়ের গৌরব ও আনন্দ অম্লান হয়ে থাকবে চিরদিন । কিন্তু এ বিজয় লাভ সম্ভব
হয়েছে । পাকিস্থানি বর্বর শাসকগোষ্ঠী বাংলার নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ করে । তারা
হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ করে । বীর বাঙালিও পাকিস্থানিদের এ বর্বর
আক্রমণ রুখে দেয় । দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্থানি
হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ।
তাই এ দিনটিকে বিজয় দিবস বলা হয় । অত্যন্ত ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর ১৬ই
ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিনটি পালন করা হয় । বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় দিবস । তাই
বিজয় দিবসের চেতনাকে জাতীয় জীবনের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে ।
একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই বিজয় দিবসের সত্যিকারের তাৎপর্য আমরা
অনুধাবন করতে সক্ষম হব । বিজয় দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়র জাতীয় উন্নতির জন্য
আমাদের সকলকে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একযোগে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে ।