মুরগির রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
মুরগির রানীক্ষেত রোগ |
রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
মুরগির সংক্রামক রোগের মধ্যে রাণীক্ষেত সবচেয়ে মারাত্মক । এটি একটি ভাইরাস জনিত
ছোয়াছে রোগ । সময়মত টিকা না দিলে এ রোগ অনেক মুরগি মারা যায় । বছরের যে কোন সময় এ
রোগ হতে পারে । তবে সাধারণত হেমন্তের শেষ থেকে শুরু করে শীতের শেষ পর্যন্ত
(অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি) সময় এ রোগ বেশি হতে দেখা যায় । যে কোন বয়সের মুরগিতে এ রোগ
হতে পারে । এ উপমহাদেশে ভারতের রাণীক্ষেত নামক স্থানে এ রোগ প্রথম আবিষ্কৃত হওয়ায়
একে রাণীক্ষেত রোগ বলা হয় । ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল নামক স্থানে এ রোগ সর্বপ্রথম
আবিষ্কৃত হওয়ায় সারা বিশ্বে এটি নিউক্যাসল ডিজিজ নামে পরিচিত ।
ছোয়াছে রোগ । সময়মত টিকা না দিলে এ রোগ অনেক মুরগি মারা যায় । বছরের যে কোন সময় এ
রোগ হতে পারে । তবে সাধারণত হেমন্তের শেষ থেকে শুরু করে শীতের শেষ পর্যন্ত
(অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি) সময় এ রোগ বেশি হতে দেখা যায় । যে কোন বয়সের মুরগিতে এ রোগ
হতে পারে । এ উপমহাদেশে ভারতের রাণীক্ষেত নামক স্থানে এ রোগ প্রথম আবিষ্কৃত হওয়ায়
একে রাণীক্ষেত রোগ বলা হয় । ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল নামক স্থানে এ রোগ সর্বপ্রথম
আবিষ্কৃত হওয়ায় সারা বিশ্বে এটি নিউক্যাসল ডিজিজ নামে পরিচিত ।
রাণীক্ষেত রোগাক্রান্ত মুরগি |
রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ
- এ রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশের এক সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায় ।
-
আক্রান্ত মুরগির শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত এবং মুখ হাঁ করে নিশ্বাস নেয় । অনেক
সময় শ্বাস নেয়ার সময় “কক, কক” শব্দ হয় । মুখ দিয়ে লালা পড়ে । -
আক্রান্ত মুরগি সাদা চুনের মতো পাতলা মল ত্যাগ করে । মলের রঙ অনেক সময়
সবুজ,হলুদ বা এ দুই রঙের মিশ্রণও হতে দেখা যায় । -
পাখা নিচের দিকে ঝুলে পড়ে,মুরগি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয় । মাথা নিচু ও চোখ বন্ধ
করে ঝিমাতে থাকে । - মাঝে মাঝে আক্রান্ত মুরগির ঘাড় বেঁকে যায় এবং খুড়িয়ে চলে ।
- ডিমপাড়া মুরগি ডিম দেওয়া বন্ধ হয়ে যায় ।
-
মুরগি দুর্বল হয়ে ঠোঁট ও বুক মাটিতে লাগিয়ে বসে পড়ে । পাতলা মল পেছনের পালকে
লেগে থাকে । -
রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার দুই একদিনের মধ্যেই মুরগির মৃত্যু ঘটে । দু’একটা
বেঁচে গেলেও তাঁদের উৎপাদন ক্ষমতা একেবারেই কমে যায় ।রাণীক্ষেত রোগাক্রান্ত ছোট বাচ্চা
রানীক্ষেত রোগের টিকার নাম
রানীক্ষেত রোগের কোন চিকিৎসা হয় না । নিয়মিত প্রতিষেধক টিকা দান এ রোগের হাত থেকে
মুরগিকে বাঁচাবার একমাত্র উপায় । বাংলাদেশের সর্বত্র পশুসম্পদ অফিসের মাধ্যমে এ
টিকা বিতরণ করা হয়ে থাকে ।
মুরগিকে বাঁচাবার একমাত্র উপায় । বাংলাদেশের সর্বত্র পশুসম্পদ অফিসের মাধ্যমে এ
টিকা বিতরণ করা হয়ে থাকে ।
রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন
রানীক্ষেত রোগের ভ্যাকসিন দুই রকমের হয় যথাঃ
- বি.সি.আর.ডি.ভি
- আর.ডি.ভি
১। বি.সি.আর.ডি.ভি
১দিন বয়সের বাচ্চাকে এ টিকা দিতে হয় । এ টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাচ্চার ২মাস
বয়সকাল পর্যন্ত ।
বয়সকাল পর্যন্ত ।
টিকা ব্যবহার পদ্ধতি
শিশির টিকা বীজ ৬ সিসি পরিমাণ পরিশ্রুত পানিতে গুলে ড্রপার দিয়ে প্রতি চোখে ১
ফোঁটা দিতে হয় । প্রতি ১০০ মাত্রা টিকা বীজ থাকে ।
ফোঁটা দিতে হয় । প্রতি ১০০ মাত্রা টিকা বীজ থাকে ।
২। আর.ডি.ভি
দুই মাস বয়সের বেশি সকল মোরগ-মুরগিকে বছরে ২বার এ টিকা দিতে হয় ।
টিকা ব্যবহার পদ্ধতি
ভায়েলের বা শিশির টিকা বীজ ১০০ সিসি পরিশ্রুত পানিতে মিশিয়ে রানের মাংসে ১ সিসি
করে ইনজেকশন হিসেবে এ টিকা দিতে হয় । এ টিকা ৬মাস পর পর অর্থাৎ বছরে ২ বার দিতে
হয় ।
করে ইনজেকশন হিসেবে এ টিকা দিতে হয় । এ টিকা ৬মাস পর পর অর্থাৎ বছরে ২ বার দিতে
হয় ।
রানীক্ষেত রোগের প্রতিকার
এ রোগের কোন চিকিৎসা হয় না । তবে আক্রান্ত মুরগিকে ০.০১% পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট
মিশানো পানি খাওয়ানো যেতে পারে । সালফাড়ায় জিন ট্যাবলেট বড় মুরগিকে ৪ ভাগ করে
দিনে ২ বার খাওয়ানো যেতে পারে ।
মিশানো পানি খাওয়ানো যেতে পারে । সালফাড়ায় জিন ট্যাবলেট বড় মুরগিকে ৪ ভাগ করে
দিনে ২ বার খাওয়ানো যেতে পারে ।
রোগ দমনের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পালন ব্যবস্থা খুবই সহায়ক । আক্রান্ত মুরগি আলাদা
রাখতে হবে এবং কোথাও বিক্রি করা যাবে না । মৃত মুরগি মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে ।
রাখতে হবে এবং কোথাও বিক্রি করা যাবে না । মৃত মুরগি মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে ।