আসল স্বর্ণ চেনার উপায় কি এবং সোনা মাপার পদ্ধতি
আমাদের সবার পরিবারে সবাই কম বেশি স্বর্ণ ব্যবহার করি । সবাইকেই মোটামুটি স্বর্ণ
কেনা কাটা করতে হয় বিভিন্ন প্রয়োজনে । আমাদের দেশে সাধারণত স্বর্ণ বিক্রির একক
হিসেবে “ভরি” ব্যবহার করা হয় । স্বর্ণ যেহুতু অনেক মূল্যবান, তাই লোকে অত্যন্ত
অল্প পরিমাণে এটা কিনে থেকে । তাই স্বর্ণের ওজন পরিমাপ সঠিক হওয়া প্রয়োজন । ভূল
হলে অনেক টাকার ক্ষতি হতে পারে ।
কেনা কাটা করতে হয় বিভিন্ন প্রয়োজনে । আমাদের দেশে সাধারণত স্বর্ণ বিক্রির একক
হিসেবে “ভরি” ব্যবহার করা হয় । স্বর্ণ যেহুতু অনেক মূল্যবান, তাই লোকে অত্যন্ত
অল্প পরিমাণে এটা কিনে থেকে । তাই স্বর্ণের ওজন পরিমাপ সঠিক হওয়া প্রয়োজন । ভূল
হলে অনেক টাকার ক্ষতি হতে পারে ।
আমরা অনেকেই জানি না যে কত গ্রামে কতভরি হয় । এটা জানা থাকলে দেশ-বিদেশে
স্বাচ্ছন্দে স্বর্ণ কেনাকাটা করতে পারবেন । সেই সঙ্গে দামের পার্থক্যটাও ধরতে
পারবেন ।
স্বাচ্ছন্দে স্বর্ণ কেনাকাটা করতে পারবেন । সেই সঙ্গে দামের পার্থক্যটাও ধরতে
পারবেন ।
আসল স্বর্ণ চেনার উপায় কি
আসল সোনা ২৪ ক্যারেটের হয়ে থাকে । কিন্তু ২৪ ক্যারেটের সোনা দিয়ে গহনা তৈরি করা
যায় না । কারন এটা এমন নরম হয় যে গহনা তৈরি করা সম্ভব হয় না । গহনা তৈরি করতে
মূলত ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয় ।
যায় না । কারন এটা এমন নরম হয় যে গহনা তৈরি করা সম্ভব হয় না । গহনা তৈরি করতে
মূলত ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয় ।
১। সোনাতে যদি লোহা মিশানো থাকে তাহলে চম্বক ধরলেই টেনে নিবে ।
২। বাজারে কিছু এসিড আছে সেগুলো দিয়ে সোনা পরীক্ষা করা যায় ।
৩। সাদা চিনে মাটির প্লেটে গহনা ঘসলে থালার উপর কালো দাগ পড়লে বুঝতে হবে নকল । আর
যদি হালকা সোনালী রং হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে আসল ।
যদি হালকা সোনালী রং হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে আসল ।
৪। বড় পাত্রে কিছু পানি নিন আর সেখান গহনা বা আংটি ফেলে দিন । পানিতে যদি গহনা
ভেসে উঠে তাহলে বুঝে নিতে হবে নকল ।
ভেসে উঠে তাহলে বুঝে নিতে হবে নকল ।
৫। গহনাতে দাঁত দিয়ে হালকা কামড় দিয়ে ধরে রাখুন । গহনাতে যদি কামড়ের দাগ পড়ে
তাহলে আসল । আর যদি দাগ না পড়ে তাহলে খাদ মিশানো আছে তাহলে সেটা নকল সোনা ।
তাহলে আসল । আর যদি দাগ না পড়ে তাহলে খাদ মিশানো আছে তাহলে সেটা নকল সোনা ।
৬। আসল সোনাতে গায়ের ঘামের গন্ধ ধরে না । আর যদি গহনাতে গন্ধ হয় তাহলে বুঝে নিতে
হবে নকল সোনা ।
হবে নকল সোনা ।
22 ক্যারেট সোনা চেনার উপায় কি
আপনি কত ক্যারেটের স্বর্ণ কিনছেন বা কিনবেন । স্বর্ণ সাধারণত ২৪,২২,২১,১৮
ক্যারেটের হয়ে থাকে বা ১৪ এবং ১০ ক্যারেটের স্বর্ণ পাওয়া যায় ।
ক্যারেটের হয়ে থাকে বা ১৪ এবং ১০ ক্যারেটের স্বর্ণ পাওয়া যায় ।
ক্যারেট অনুযায়ী পিউরিটির একটি তালিকা নিম্নে তুলে ধরছিঃ
- ২৪ ক্যারেট= ৯৯.৯৯% পিউর
- ২২ ক্যারেট= ৯১.৬০% পিউর
- ২১ ক্যারেট= ৮৭.৫০% পিউর
- ১৮ ক্যারেট= ৭৫.০০% পিউর
- ১৪ ক্যারেট= ৫৮.৫% পিউর
- ১০ ক্যারেট= ৪১.৭% পিউর
এ তালিকা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত । তাই আপনি যখই কোন স্বর্ণের অর্ণামেন্টস
কিনবেন অবশ্যই অর্ণামেন্টেস এর গায়ে খোদায় করা ক্যারেট লেখা দেখে নিবেন ।
কিনবেন অবশ্যই অর্ণামেন্টেস এর গায়ে খোদায় করা ক্যারেট লেখা দেখে নিবেন ।
অর্ণামেন্টেস এর গায়ে খোদায় করা লেখা থাকবেঃ-
- ৯৯৯৯ অর্থাৎ ২৪ ক্যারেট
- ৯১৬ অর্থাৎ ২২ ক্যারেট
- ৮৭৫ অর্থাৎ ২১ ক্যারেট
- ৭৫০ অর্থাৎ ১৮ ক্যারেট
স্বর্ণের গায়ে এই সংখ্যা গুলো দেখে স্বর্ণের ক্যারেট চিনতে পারবেন । আর বাংলাদেশ
থেকে স্বর্ণ কিনলে অলংকার এ বি এস টি আই হলো গ্রাম দেখে নিবেন।
থেকে স্বর্ণ কিনলে অলংকার এ বি এস টি আই হলো গ্রাম দেখে নিবেন।
সোনা মাপার পদ্ধতি
স্বর্ণ দুই ভাবে পরিমাপ করা যায় একটি গ্রাম হিসেবে অন্যটি আনা, রতি হিসেবে
১। ভরি ও গ্রামের হিসাবঃ
স্বর্ণের হিসাব পরিমাপ বের করার সূত্র হলো-
১১.৬৬৪= ১ ভরি হয় ।
অর্থাৎঃ
(ক্রয়কৃত স্বর্ণের ওজন ÷ ১১.৬৬৪ ) = ভরি
মনে করুন আপনি একটি স্বর্ণের দোকান থেকে স্বর্ণ কিনলেন যেটার ওজন ৯.৪৪৩ গ্রাম ।
তাহলে এটা ভরি হিসাবে বের করতে হলে ।
তাহলে এটা ভরি হিসাবে বের করতে হলে ।
৯.৪৪৩ গ্রাম ÷ ১১.৬৬৪= ০.৮১ ভরি ।
এখন দাম কিভাবে বের করবেন ১ভরি স্বর্ণের দাম যদি ৫০হাজার হয় তাহলে ।
০.৮১ ভরি × ৫০,০০০ = ৪০,৫০০ টাকা ।
আরও একটি উদাহরণ দিই সেটা হলঃ-
মনে করুন আপনি দোকান থেকে ১৩.৫৪৩ গ্রামের স্বর্ণ কিনলেন ।
১৩.৫৪৩ গ্রাম ÷ ১১.৬৬৪ = ১.১৬ ভরি
প্রতি ভরির দাম যদি ৪০হাজার টাকা হয় ।
১.১৬ ভরি × ৪০,০০০= ৪৬,৪৪৩ টাকা দাম ।
২। ভরি, আনা, রতির হিসাবঃ-
ভরি আনা রতির হিসাব গ্রাম অঞ্চলে বেশি হয়ে থাকে । এই হিসাব বের করার জন্য কিছু
সূত্র জেনে নিতে হবে ।
সূত্র জেনে নিতে হবে ।
- ১ ভরি= ১৬ আনা
- ১ ভরি= ৯৬ রতি
- ১ ভরি= ৯৬০ পয়েন্ট
- ১ আনা = ৬ রতি
- ১ রতি = ১০ পয়েন্ট
আনা রতি থেকে ভরিতে বের করার নিয়মঃ
গহনার ওজনঃ ৫আনা ৪রতি ৪পয়েন্ট
এখন দোকানদার যদি ভুল ভাল বলে আপনার থেকে বেশি টাকা নেয় আপনি কিন্তু কিছু করতে
পারবেন না । বা কম স্বর্ণ দিয়ে বেশি টাকা দিলেও আপনার কিছু করার নাই ।
পারবেন না । বা কম স্বর্ণ দিয়ে বেশি টাকা দিলেও আপনার কিছু করার নাই ।
ভরিতে নেওয়ার সূত্রঃ
= (আনা ÷ ১৬) + (রতি ÷ ৯৬) + (পয়েন্ট ÷ ৯৬০)
= (৫ ÷ ১৬) + (৪ ÷ ৯৬) + (৪ ÷ ৯৬০)
= ০.৩১২৫ + ০.০৪২ + ০.০০৪
= ০.৩৭১ ভরি
৬০ হাজার টাকা ভরি হলে
=০.৩৭১ × ৬০,০০০
=২২,২৬০ টাকা
আশা করি স্বর্ণের পরিমাপ সম্পকে মোটামুটি ধারনা পেয়ে গেছেন । কোথাও বুঝতে সম্যসা
হলে কমেন্ট করে জানাবেন ।
হলে কমেন্ট করে জানাবেন ।
tag…
আসল সোনা চেনার উপায়, কোন সোনা ভালো, সোনা কেনার নিয়ম, সোনা পরীক্ষা করার
উপায়, 22k স্বর্ণ চেনার উপায়, খাঁটি সোনা চেনার উপায়, কোন দেশের স্বর্ণ ভালো,
আসল রূপা চেনার উপায়, সোনা পরীক্ষা করার উপায়, কোন দেশের স্বর্ণ ভালো, খাঁটি
সোনা চেনার উপায়, ২১ ক্যারেট সোনা চেনার উপায়, হলমার্ক সোনা চেনার উপায়
বাংলাদেশ, আসল রূপা চেনার উপায়, সোনা কেনার নিয়ম, Kdm সোনা কি,
উপায়, 22k স্বর্ণ চেনার উপায়, খাঁটি সোনা চেনার উপায়, কোন দেশের স্বর্ণ ভালো,
আসল রূপা চেনার উপায়, সোনা পরীক্ষা করার উপায়, কোন দেশের স্বর্ণ ভালো, খাঁটি
সোনা চেনার উপায়, ২১ ক্যারেট সোনা চেনার উপায়, হলমার্ক সোনা চেনার উপায়
বাংলাদেশ, আসল রূপা চেনার উপায়, সোনা কেনার নিয়ম, Kdm সোনা কি,