বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা – Banking system of Bangladesh
বাংলাদেশে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬১টি তফসিলি ব্যাংক এবং ৫টি অতফসিলি ব্যাংক আছে যা
বাংলাদেশ ব্যাংল নিয়ন্ত্রণ করে । বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো প্রধানত তফসিলি ব্যাংকে
বিভক্ত ।
বাংলাদেশ ব্যাংল নিয়ন্ত্রণ করে । বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো প্রধানত তফসিলি ব্যাংকে
বিভক্ত ।
তফসিলি বা তালিকাভুক্ত ব্যাংক
যে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২-এর ৩৭ ধারানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক
অফিসিয়ালি তালিকাভুক্ত ব্যাংক্রূপে ঘোষিত এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্যভুক্ত ।
সকল ব্যাংকের একটি নির্দিষ্ট পরিশোধিত মূলধন আছে যা আগে ২০০ কোটি, পরে ৪০০ কটি,
এখন ৫০০ কোটি করা হয়েছে । তফসিলি ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করতে পারে, এলসি
খুলতে পারে, ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে পারে । এ ছাড়া তফসিলি বা তালিকাভুক্ত হওয়ার
বিশেষ তাতপর্য হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত ব্যাংকের কাঠামো, মূলধন
সংরক্ষণ, বিধিবদ্ধ তহবিল, সংরক্ষণ, বিবরনী দাখিল ইত্যাদিসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
সর্বপ্রকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মেনে চলার অঙ্গীকার করা । তালিকাভুক্তির মাধ্যমে
ব্যাংকগুলি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্য হিসেবে বিশেষ মর্যাদা লাভ করে এবং কেন্দ্রীয়
ব্যাংক হতে বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, যেমন রি-ডিসকাউন্টিং সুবিধা, মুদ্রা
বাজারে অংশগ্রহণ করা, ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার সদস্য হওয়া, ডিপোজিট স্কিম-এর সদস্য
হওয়া, আইনগত মর্যাদা লাভ ইত্যাদি ।
অফিসিয়ালি তালিকাভুক্ত ব্যাংক্রূপে ঘোষিত এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্যভুক্ত ।
সকল ব্যাংকের একটি নির্দিষ্ট পরিশোধিত মূলধন আছে যা আগে ২০০ কোটি, পরে ৪০০ কটি,
এখন ৫০০ কোটি করা হয়েছে । তফসিলি ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করতে পারে, এলসি
খুলতে পারে, ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে পারে । এ ছাড়া তফসিলি বা তালিকাভুক্ত হওয়ার
বিশেষ তাতপর্য হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত ব্যাংকের কাঠামো, মূলধন
সংরক্ষণ, বিধিবদ্ধ তহবিল, সংরক্ষণ, বিবরনী দাখিল ইত্যাদিসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
সর্বপ্রকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মেনে চলার অঙ্গীকার করা । তালিকাভুক্তির মাধ্যমে
ব্যাংকগুলি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্য হিসেবে বিশেষ মর্যাদা লাভ করে এবং কেন্দ্রীয়
ব্যাংক হতে বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, যেমন রি-ডিসকাউন্টিং সুবিধা, মুদ্রা
বাজারে অংশগ্রহণ করা, ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার সদস্য হওয়া, ডিপোজিট স্কিম-এর সদস্য
হওয়া, আইনগত মর্যাদা লাভ ইত্যাদি ।
অ তালিকাভুক্ত ব্যাংক কয়টি ও কি কি
যে সকল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক তালিকাভুক্ত ঘোষণা করা হয়নি, সেসব ব্যাংক
হচ্ছে অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক । এদের নির্দিষ্ট তেমন কোন মূলধন নেই, বৈদেশিক
লেনদেনে অংশগ্রহণ করে না । এদের কাজের পরিসর সীমিত ।
হচ্ছে অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক । এদের নির্দিষ্ট তেমন কোন মূলধন নেই, বৈদেশিক
লেনদেনে অংশগ্রহণ করে না । এদের কাজের পরিসর সীমিত ।
বাংলাদেশে এখন পাঁচটি অ-তফসিলি ব্যাংক হলোঃ-
- আনসার ভিডিপি ব্যাংক
- কর্মসংস্থান ব্যাংক
- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক
- জুবলী ব্যাংক
- গ্রামীন ব্যাংক
এই ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৫৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ২টি বিশেষায়িত ব্যাংক হিসাবে
ভাগ করা । ৫৯টি ব্যানিজ্যিক ব্যাংক গুলো আবার ৬টি সরকারি ৯টি বিদেশী এবং ৪৪টি
ব্যক্তি মালিকানায় এই তিন ভাগে বিভক্ত । ব্যক্তি মালিকানাধীন ৪৪টি ব্যাংক আবার
১১টি ইসলামিক এবং ৩৩ প্রথাগত এই দুই ভাগে ভাগ করা ।
ভাগ করা । ৫৯টি ব্যানিজ্যিক ব্যাংক গুলো আবার ৬টি সরকারি ৯টি বিদেশী এবং ৪৪টি
ব্যক্তি মালিকানায় এই তিন ভাগে বিভক্ত । ব্যক্তি মালিকানাধীন ৪৪টি ব্যাংক আবার
১১টি ইসলামিক এবং ৩৩ প্রথাগত এই দুই ভাগে ভাগ করা ।
ব্যাংক হিসাব কয় ধরনের
সাধারণ নাগরিক (ব্যক্তি) হিসাবে ব্যাংকে দুই প্রকারের হিসাব খোলা যায় । সঞ্চয়ী
হিসাব এবং চলতি হিসাব এ ছাড়া নির্দিষ্ট মেয়াদে টাকা জমা রাখা যায় যাকে
ফিক্সড ডিপোজিত বলে । প্রচলিত আইনে একজন গ্রাহক বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংকের
হিসাব খুলতে পারেন । তাই কতটি হিসাব খোলা যাবে তার কোন নিয়ম নাই ।
হিসাব এবং চলতি হিসাব এ ছাড়া নির্দিষ্ট মেয়াদে টাকা জমা রাখা যায় যাকে
ফিক্সড ডিপোজিত বলে । প্রচলিত আইনে একজন গ্রাহক বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংকের
হিসাব খুলতে পারেন । তাই কতটি হিসাব খোলা যাবে তার কোন নিয়ম নাই ।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
কি লাগে,সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে,জনতা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে
কি কি লাগে,সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে,অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি
কি লাগে,ব্যাংক একাউন্ট খোলার আবেদন পত্র,পূবালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি
লাগে
সাধারণত ব্যাংক একাউন্ট খুলতে ব্যক্তির যেকোন পরিচয়পত্র যেমন জন্ম সনদ বা এনআইডি
বা পাসর্পোট লাগে এবং সাথে একজন শনাক্তকারী বা ইন্ট্রোডিউসার লাগে তবে ২০২০ সাল
থেকে নতুন নিয়মে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে শনাক্তকারী লাগবে না ।
বা পাসর্পোট লাগে এবং সাথে একজন শনাক্তকারী বা ইন্ট্রোডিউসার লাগে তবে ২০২০ সাল
থেকে নতুন নিয়মে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে শনাক্তকারী লাগবে না ।
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- দুই কপি ছবি
- আবেদন ফর্ম
- নমিনি
- শনাক্তকারী (জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে)
- প্রাথমিক জমা
- ইউটিলিটি বিল যেমনঃ- বিজলী,পানি,গ্যাসের বিল ।
এখন অনেক ব্যাংক ঘরে বসে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সঞ্চয় হিসাব খোলার সুযোগ
দিচ্ছে । তবে এনআইডি না থাকলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না ।
দিচ্ছে । তবে এনআইডি না থাকলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না ।
ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে
ব্যাংক ভেদে ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকায় সঞ্চয় হিসাব এবং ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকায় চলতি
হিসাব খোলা যায় । তবে বাংলাদেশে কিছু ব্যাংক ২৫হাজার, ১লক্ষ, ৪ লক্ষ এমনকি ১০
লক্ষ টাকাও নিচ্ছে ব্যাংক একাউন্ট করতে । বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ টাকায়
সেভিং এবং ১০০০ টাকায় কারেন্ট হিসাব খোলার নির্দেশনা দিয়েছে । যদিও অনেক ব্যাংক
তা অনুসরণ করে না ।
হিসাব খোলা যায় । তবে বাংলাদেশে কিছু ব্যাংক ২৫হাজার, ১লক্ষ, ৪ লক্ষ এমনকি ১০
লক্ষ টাকাও নিচ্ছে ব্যাংক একাউন্ট করতে । বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ টাকায়
সেভিং এবং ১০০০ টাকায় কারেন্ট হিসাব খোলার নির্দেশনা দিয়েছে । যদিও অনেক ব্যাংক
তা অনুসরণ করে না ।
একাউন্ট করলে ব্যাংক কত টাকা কাটে? একাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ নিয়ম অনুযায়ী চলতি আর সঞ্চয় হোক প্রতি ছয়মাসে ব্যাংক
একাউন্ট রক্ষনাবেক্ষ বাবদ ৩০০ টাকার বেশি চার্জ কর্তন করতে পারবে না । সেই হিসাবে
বছরে ছয়শত টাকা পর্যন্ত ব্যাংক চার্জ হতে পারে । তবে যদি সঞ্চয় হিসাবে হয় তাহলে
ব্যাংক চার্জ হবে এরকম ১০হাজার টাকা পর্যন্ত গড় স্থিতিতে কোন চার্জ নেওয়া যাবে না
। ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হলে ১০০ টাকা, ২লক্ষ পর্যন্ত ২০০ টাকা আর ১০লক্ষ টাকা
পর্যন্ত ২৫০ এবং ১০ লক্ষের বেশি যাই হোক ৩০০ টাকা মাত্র প্রতি ছয় মাসে । এই টাকার
সাথে আবার ১৫% সরকারি ভ্যাট যুক্ত হবে ।
একাউন্ট রক্ষনাবেক্ষ বাবদ ৩০০ টাকার বেশি চার্জ কর্তন করতে পারবে না । সেই হিসাবে
বছরে ছয়শত টাকা পর্যন্ত ব্যাংক চার্জ হতে পারে । তবে যদি সঞ্চয় হিসাবে হয় তাহলে
ব্যাংক চার্জ হবে এরকম ১০হাজার টাকা পর্যন্ত গড় স্থিতিতে কোন চার্জ নেওয়া যাবে না
। ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হলে ১০০ টাকা, ২লক্ষ পর্যন্ত ২০০ টাকা আর ১০লক্ষ টাকা
পর্যন্ত ২৫০ এবং ১০ লক্ষের বেশি যাই হোক ৩০০ টাকা মাত্র প্রতি ছয় মাসে । এই টাকার
সাথে আবার ১৫% সরকারি ভ্যাট যুক্ত হবে ।
এক্সইজ ডিউটি বা আবগরি শুল্ক
ব্যাংক জমানো টাকা হো আর ঋণ হোক প্রতি বছরের ডিসেম্বরে সরকার একবার আবগারি শুল্ক
হিসাবে টাকা কেটে নেয় ।
হিসাবে টাকা কেটে নেয় ।
-
যেকোন ধরনের হিসাবের ডেবিট অথবা ক্রেডিট ব্যালেন্স যদি ওই ক্যালেন্ডার বছরের
যেকোন সময়ে এক লক্ষ টাকা ব্যালেন্স অতিক্রম না করে তাহলে কোণ আবগারি শুল্ক
কর্তন করা হয় না । -
এক লক্ষ টাকা ব্যালেন্সের বেশি কিন্তু ৫লক্ষ টাকা বা তার কম হলে বছরে একবার
১৫০.০০ টাকা কর্তন করা হয় । -
৫লক্ষ টাকা ব্যালেন্সের বেশি কিন্তু ১০ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স বা তার কম হলে
৫০০.০০ টাকা আবগারি শুল্ক কাটা হয় । -
১০ লক্ষ টাকা ব্যালেন্সের বেশি কিন্তু এক কোটি টাকা ব্যালেন্স বা তার কম হলে
৩০০০.০০ টাকা । -
এবং ১কোটি টাকার ঊর্ধ্বে কিন্তু পাঁচ কোটি টাকা ব্যালেন্স বা তার কম হলে
১৫০০০.০০ টাকা । - এবং ৫কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হলে ৫০,০০০.০০ টাকা আবগারি শুল্ক করা হয় ।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ব্যাংকের পাশাপাশি ৩৫টির মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে যার টাকা জম রাখে এবং ঋণ দেয়
তবে ব্যাংকে মত চেক, প্র-অর্ডার, ডিমান্ড ড্রাফ্ট ইস্যু করা বা গ্রহণ করতে
পারেনা । এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করতে পারে না ।
তবে ব্যাংকে মত চেক, প্র-অর্ডার, ডিমান্ড ড্রাফ্ট ইস্যু করা বা গ্রহণ করতে
পারেনা । এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন করতে পারে না ।
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে জমানো টাকা কি হবে
কোন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়িত বা বন্ধ হলে প্রত্যেক আমানতকারী সর্বোচ্চ
১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন । ঐ প্রতিষ্ঠানের কোন গ্রাহকের একাধিক
অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ টাকার বেশি থাকলেও তিনি সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকাই পাবেন ,
অবসায়িত হবার তিন মাসের মধ্যে এই টাকার জন্য আবেদন করতে হবে এবং পরের ৯০ দিনে
আমানত বীমা ট্রাস্ট তহবিল থেকে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে । বাকি টাকা ব্যাংকের
সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া হবে । যদি কম থাকে আনুপাতিক হারে দেওয়া হবে আর না থাকলে
গ্রাহক কিছুই পাবেন না ।
১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন । ঐ প্রতিষ্ঠানের কোন গ্রাহকের একাধিক
অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ টাকার বেশি থাকলেও তিনি সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকাই পাবেন ,
অবসায়িত হবার তিন মাসের মধ্যে এই টাকার জন্য আবেদন করতে হবে এবং পরের ৯০ দিনে
আমানত বীমা ট্রাস্ট তহবিল থেকে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে । বাকি টাকা ব্যাংকের
সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া হবে । যদি কম থাকে আনুপাতিক হারে দেওয়া হবে আর না থাকলে
গ্রাহক কিছুই পাবেন না ।
ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৭৪ ধারা অনুসারে কোনো তফসিলি ব্যাংক অবসায়িত হলে
উক্ত ব্যাংকের সম্পদ থেকে সব আমানতকারীদের পাওয়া পরিশোধের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে ।
উক্ত ব্যাংকের সম্পদ থেকে সব আমানতকারীদের পাওয়া পরিশোধের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে ।
১৯৮৪ সালে আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় যে আইন করা হয় সেখানে আমানতের অর্থ
ফেরত দেওয়ার পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার টাকা । পরে ২০০০ সালে আমানত বীমা আইন প্রবর্তন
করে এক লক্ষ টাকা করা হয় । বর্তমানে এই আইনে আমানতকারীরা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত
পাওয়ার নিশ্চয়তা আছে । তবে সরকারকে আইনটি সংশোধন করে এটি বাড়িয়ে ২লক্ষ টাকা করার
প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ।
ফেরত দেওয়ার পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার টাকা । পরে ২০০০ সালে আমানত বীমা আইন প্রবর্তন
করে এক লক্ষ টাকা করা হয় । বর্তমানে এই আইনে আমানতকারীরা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত
পাওয়ার নিশ্চয়তা আছে । তবে সরকারকে আইনটি সংশোধন করে এটি বাড়িয়ে ২লক্ষ টাকা করার
প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ।
প্রতিটি ব্যাংককে গ্রাহকের আমানতের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে
হয়, সেই টাকায় এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় ।
হয়, সেই টাকায় এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় ।
ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নমিনি
ব্যাংকে জমানো টাকাকে পাবে এ নিয়ে অনেক বির্তক থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ
নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক কম্পানি আইনের ধারা ১০৩ মত নমিনিই টাকা পাবেন আর যদি
কোন হিসাবে নমিনি দেওয়া না থাকে বা হিসাবধারীর আগে নমিনি মারা যায় তাহলে
উত্তরাধিকারী টাকা পাবে । তবে তাদেরকে আদালত থেকে সাকশেন সনদ নিতে হবে । যদিও
হাইকোর্টের রায়ে উত্তরাধিকারী টাকা পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল কিন্তু পরে আপিল
বিভাগ সেই রায় স্থগিত রাখে । নমিনি যে কাউকে করা যায় এবং একাধিক ব্যক্তিকেও করা
যায়, তাই নমিনি দিতে সাবধান হতে হবে ।
নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক কম্পানি আইনের ধারা ১০৩ মত নমিনিই টাকা পাবেন আর যদি
কোন হিসাবে নমিনি দেওয়া না থাকে বা হিসাবধারীর আগে নমিনি মারা যায় তাহলে
উত্তরাধিকারী টাকা পাবে । তবে তাদেরকে আদালত থেকে সাকশেন সনদ নিতে হবে । যদিও
হাইকোর্টের রায়ে উত্তরাধিকারী টাকা পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল কিন্তু পরে আপিল
বিভাগ সেই রায় স্থগিত রাখে । নমিনি যে কাউকে করা যায় এবং একাধিক ব্যক্তিকেও করা
যায়, তাই নমিনি দিতে সাবধান হতে হবে ।
ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নাবালক / নমিনি / উত্তরাধিকারী এবং জীবিত অংশীদার
একক হিসাবধারী হলে
- ব্যাংকে জমানো টাকা শুধু নমিনি পাবে ।
- নমিনি না থাকলে উত্তরাধিকারী পাবে, তবে আদালতের সাকসেশন সার্টিফিকেট লাগবে ।
একেক হিসাব ধারি তবে একাধিক নমিনি
- অংশ দেওয়া না থাকলে অংশ মোতাবেক ।
- অংশ দেওয়া না থাকলে হিসাবে সমান ভাগে পাবে ।
-
একই সাথে দাবি না করলে, ইচ্ছুক ব্যক্তি আদালতের আশ্রয় নিয়ে তার অংশ তুলে নিতে
পারবে ।
একাউন্টটি যৌথ হিসাবধারী হলে একজনের মারা যাবার ফলে
প্রথমে একাউন্ট খোলার টাইমে শর্ত দেখে নিতে হবে ।
-
যদি লেখা থাকে যেকোন একজন পরিচালনা করতে পারবে এবং যৌথ স্বাক্ষর পরিচালিত
হবে, তাহলে একজনের মারা যাবার সাথে সাথে হিসাবটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং জীবিত
অংশীদার ও নমিনি বা উত্তরাধিকারী এক সাথে আবেদন করে টাকা তুলে নিতে পারবে ।
আদালতে যাবার প্রয়োজন নাই, উত্তরাধিকারীর জন্য সাধারণ উত্তরাধিকার সনদই
যথেষ্ট । -
যদি লেখা থাকে যেকোন একজন বা জীবিত জন হিসাব পরিচালনা করতে পারবে তাহলে
একাউন্টটি বন্ধ হবে না । এবং জীবিত ব্যক্তি চাইলে সেই একাউন্টের টাকা একাই
নিয়ে নিতে পারবে । নমিনি বা উত্তরাধিকারের কোন অধিকার আসবে না । - নমিনি যে কাউকে করা যায়, একাধিক করা যায়, নাবালকেও করা যায় ।
নমিনি/উত্তরাধিকারী হিসাবে টাকা তুলতে কাগজপত্র
- হিসাবধারীর মৃত্যুসনদ ।
- আবেদনকারীর আইডি কার্ড ।
-
উত্তরাধিকার সনদ (আদালত কর্তৃক সাকসেস আইন ১৯২৫ অধীনে যদি নমিনি দেওয়া না
থাকে তখনই) - ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে ইন্ডোমিটি বন্ড ।
-
সেই ব্যাংকে একাউন্টধারী হলে আর কিছু লাগবে না । কিন্তু একাউন্টধারী না হলে
সেই ব্যাংকে একাউন্ট আছে এমন দুইজন ব্যক্তির শনাক্তকরণ / চেয়ারম্যান কর্তৃক
প্রত্যয়নপত্র ।
tag…
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, জনতা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, অগ্রণী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ব্যাংক একাউন্ট খোলার আবেদন পত্র, পূবালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ব্যাংক হিসাবের শিরোনাম ইংরেজিতে, চলতি হিসাব কত প্রকার, ব্যাংক কয় ধরনের, ব্যাংক হিসাবের শিরোনাম বলতে কি বুঝায়, ব্যাংক হিসাব খোলার পদ্ধতি, ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় কয়টি, ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, হিসাবের শিরোনাম কি, ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে, ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার, ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, দেউলিয়া ব্যাংক তালিকা ২০২৩, কোন কোন ব্যাংক দেউলিয়া হতে পারে, ব্যাংক দেউলিয়া হলে গ্রাহক কত পাবে, সরকারি ব্যাংক কি দেউলিয়া হয়, দেউলিয়া ব্যাংক তালিকা ২০২২, অগ্রণী ব্যাংক কি দেউলিয়া হবে, আমানত সুরক্ষা আইন ২০২২, কখন একজন ব্যক্তিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়,